ফুলহ্যামের বিরুদ্ধে ইপিএলের ম্যাচ খেলতে নেমেছিল চেলসি। এমনিতে এ বারের লিগে চেলসির হাল একেবারে ভালো নয়। ১৮টা ম্যাচ খেলে মাত্র ৭টা এসেছে জয়।
Image Credit source: Twitter
লন্ডন: সবে আতলেতিকো মাদ্রিদ ছেড়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলতে নেমেছিলেন। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে তাঁকে নিয়েও এসেছিল ইপিএলের নামী ক্লাব। কিন্তু অভিষেক ম্যাচের মেয়াদ দাঁড়াল মাত্র ৫৮ মিনিট। আর তাতেই কিনা ক্ষতির পরিমাণ ২.৪ মিলিয়ন ইউরো! ভারতীয় টাকায় যা দাঁড়াচ্ছে ২১ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা। আপাতত ইপিএলের (EPL) লিগ টেবল নিয়ে আলোচনা থেমে গিয়েছে। প্রথম চারের লড়াই নিয়েও আগ্রহ কম। যত আলোচনা একটা লাল কার্ড নিয়ে। ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে দামি লাল কার্ড (Red Card) হয়ে যেতে পারে কিনা, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। কে দেখেছেন এই লাল কার্ড? কেন ২১ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে ইপিএলের একটা বড় টিমকে? তুলে ধরল TV9 Bangla।
ফুটবলারের নাম জোয়াও ফেলিক্স। ফুলহ্যামের বিরুদ্ধে ইপিএলের ম্যাচ খেলতে নেমেছিল চেলসি। এমনিতে এ বারের লিগে চেলসির হাল একেবারে ভালো নয়। ১৮টা ম্যাচ খেলে মাত্র ৭টা এসেছে জয়। হারও সাতটা। যার তিনটে আবার শেষ পাঁচটা ম্য়াচে। ফুলহ্যাম থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছিল চেলসি। যার কেন্দ্রে ছিলেন খোদ জোয়াও। আতলেতি থেকে এসে এই ম্যাচেই প্রথম নেমেছিলেন চেলসির হয়ে। সেখানেই কিন্তু ঘটিয়ে ফেললেন কাণ্ড। ম্যাচের ৫৮ মিনিটের মাথায় ফুলহ্যামের কেনি টেটেকে বাজে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন তিনি। ভিএআর-এ স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, ফাউল করার জন্য তাঁর বুটের স্টাড বসে গিয়েছে টেটের বাঁ পায়ে। রেফারি সরাসরি লাল কার্ড দেখান তাঁকে। তবে টেটে বড় চোট এড়িয়ে গিয়েছেন।
মারাত্মক ফাউল এবং সরাসরি লাল কার্ড দেখার ফলে আগামী তিনটে ম্যাচে খেলতে পারবেন না জোয়াও ফেলিক্স। চেলসির তিনটে ম্যাচ ক্রিস্টল প্যালেস, লিভারপুল ও ফুলহ্যামের সঙ্গে। এই ম্যাচগুলো খেলতে না পারার পাশাপাশি ৩০ দিন মাঠের বাইরেও থাকতে হবে তাঁকে। আতলেতি থেকে ফেলিক্সকে লোনে নিতে গিয়ে ইতিমধ্যে প্রায় ২৩.৬ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে ফেলেছে চেলসি। ট্রান্সফার ও তাঁর মাইনে ধরে এই খরচ। তার মধ্যে বাড়তি ২.৪ মিলিয়ন অপচয় হয়ে যাচ্ছে ফেলিক্সের দায়িত্বজ্ঞানহীন ফুটবল খেলার জন্য। টিম ম্যানেজমেন্টকে যে বেশ চাপে ফেলে দিয়েছে, তাতে আর সন্দেহ কী!