আপাতত নির্বাসিত করা হয়েছে দ্যুতিকে। তবে লম্বা সময়ের জন্য সাসপেন্ড হতে পারেন ভারতীয় স্প্রিন্টার।
Image Credit source: Twitter
নয়াদিল্লি: এশিয়ান গেমসের (Asian Games) আগে বড়সড় ধাক্কা। ডোপ টেস্টে ধরা পড়ায় নির্বাসিত ভারতীয় স্প্রিন্টার দ্যুতি চাঁদ (Dutee Chand)। ৯ বছর আগেই এক বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। ২০১৪ কমনওয়েলথ গেমস থেকে বাদ পড়েছিলেন দ্যুতি চাঁদ। তাঁর লিঙ্গ পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। যদিও তারপরও আশা ছাড়েননি ওড়িশার অ্যাথলিট। লুসেনের ক্রীড়া আদালতে মামলা চালান দ্যুতি। এক বছর বাদে দ্যুতির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়। ২০১৮ জাকার্তা এশিয়া গেমসে ১০০ মিটার আর ২০০ মিটারে রুপো জেতেন দ্যুতি। ২০১৯ দোহা এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ২০০ মিটারে ব্রোঞ্জ পান। তবে ২৬ বছরের অ্যাথলিট এ বার বড়সড় ধাক্কার সামনে পড়লেন। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
দ্যুতির নমুনা পরীক্ষায় নিষিদ্ধ অ্যানাবোলিক স্টেরয়েড পাওয়া গিয়েছে। আর তার জেরেই দ্যুতিকে সাসপেন্ড করল ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (NADA)। দ্যুতিকে চিঠিতে নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছে নাডা। গত বছর ভুবনেশ্বরে ৫ ডিসেম্বর দ্যুতির নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
সাসপেন্ড হওয়ার পর দ্যুতি বলেন, ‘আমার এই বিষয়ে কোনও ধারণাই নেই। ধনলক্ষ্মী এবং আরও অনেকের সঙ্গে যখন এমনটা হয়েছিল, তখন বিশ্বের অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (WADA) থেকে চিঠি এসেছিল। আমি এই সাসপেনশনের বিরুদ্ধে পাল্টা আবেদন করব।’
দ্যুতি আরও বলছেন, ‘গত এক দশক ধরে আমি সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়মিত নামছি। পারফরম্যান্স বাড়ানোর মতো কোনও কিছু ককনও নিইনি। যখনই চাওয়া হয়েছে, আমি আমার নমুনা দিয়েছি। এখনও পর্যন্ত আমি কোনও চিঠি পাইনি ডোপিং সংস্থা থেকে। ফেডারেশন কর্তারাও কিছু জানাননি। প্রচার মাধ্যমের তরফে এই খবর জেনেছি। আমি কোনও পথে এগোব, সেটা এখনই বলা মুশকিল।’
আপাতত নির্বাসিত করা হয়েছে দ্যুতিকে। তবে লম্বা সময়ের জন্য সাসপেন্ড হতে পারেন ভারতীয় স্প্রিন্টার।