টুইটারে রেসলিং ফেডারেশনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন টোকিও অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ী কুস্তিগির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও সেই টুইটে ট্যাগ করে বিষয়টিতে অবগত করেন।
Image Credit source: Twitter
নয়াদিল্লি: যন্তর মন্তরে এ বার ধর্নায় বসলেন কুস্তিগিররা। যে মঞ্চে এতদিন রাজনৈতিক নেতাদের দেখা যেত, সেখানে এ বার খেলোয়াড়রা। কিন্তু কেন? রেসলিং ফেডারেশনের পক্ষপাতদুষ্ট মনোভাব আর চরম অব্যবস্থার অভিযোগ ভারতীয় কুস্তিগিরদের (Indian Wrestling)। আর তার প্রতিবাদেই দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্নায় বসলেন অলিম্পিকে পদকজয়ী কুস্তিগিররা। রেসলিং ফেডারেশনের (WFI) বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন বজরং পুনিয়া (Bajrang Punia), সাক্ষী মালিকরা। টুইটারে রেসলিং ফেডারেশনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন টোকিও অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ী কুস্তিগির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও সেই টুইটে ট্যাগ করে বিষয়টিতে অবগত করেন। রেসলিং ফেডারেশনের অপসারণের দাবিতে এরপর পথে নামেন কুস্তিগিররা। বিস্তারিত TV9 Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
দিল্লির যন্তর মন্তরে বজরং পুনিয়া ছাড়াও অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ী সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগত, সঙ্গীতা ফোগত, সোনম মালিক, অংশুরাও ধর্নায় বসেন। বুধবার ঠিক দুপুর বারোটায় জাতীয় পতাকা হাতে প্রায় বারো জয় কুস্তিগির ধর্না মঞ্চে বসেন বজরং, সাক্ষীরা। অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ী কুস্তিগির বজরং পুনিয়া বলেন, ‘ফেডারেশন যে ভাবে পরিচালনা করছে তার প্রতিবাদ জানাতেই এই ধর্না মঞ্চে আমাদের উপস্থিতি। চরম অব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে কুস্তিগিররা। ফেডারেশনের পক্ষপাতদুষ্ট মনোভাবে ক্ষতি হচ্ছে রেসলারদের। এখানে আমাদের কোনও রাজনৈতিক অভিসন্ধি নেই। এটা সম্পূর্ণ কুস্তিগিরদের প্রতিবাদ।’
একই সঙ্গে বজরং বলেন, ‘আমাদের আওয়াজ তুলে ধরতেই আমরা এখানে এসেছি। দীর্ঘদিন ধরে কুস্তিগিররা ভুগছে। রেসলিং ফেডারেশনের একক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই আমাদের প্রতিবাদ। আমাদের দাবি না মানলে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক স্তরে আমরা অংশ নেব না। আমরা জিতলে সবাই সেলিব্রেট করে। তারপর আর আমাদের কেউ মনে রাখে না। ফেডারেশন আমাদের ক্রীতদাস মনে করে। প্রধানমন্ত্রী আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছেও আমাদের আবেদন রইল।’