ATK Mohun Bagan: দুটি গোলই এল মোহনবাগানের প্রাক্তনীদের সৌজন্যে। জাভি হার্নান্ডেজ এবং রয় কৃষ্ণা। এটিকে মোহনবাগান শেষ মুহূর্তে জ্বলে উঠল। ততক্ষণে অনেকটা দেরী হয়ে গিয়েছে।
Image Credit source: OWN Photograph
কলকাতা: অনবদ্য লড়াই। দুর্দান্ত একটা ম্যাচ উপহার দিল এটিকে মোহনবাগান ও বেঙ্গালুরু এফসি। ঘরের মাঠে অবশ্য হতাশায় মাঠ ছাড়ল এটিকে মোহনবাগান। ভালো খেলেও পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে ব্যর্থ সবুজ মেরুন। বেঙ্গালুরু এফসির জয়ের ধারা আটকাতে পারল না তারা। টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবলে নিজেদের জায়গা মজবুত করল বেঙ্গালুরু এফসি। কলকাতার দুই প্রধানের বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরু এফসির ম্যাচ মানেই হাইভোল্টেজ। এ দিনও তার অন্য়থা হল না। মোহনবাগানকে ২-১ ব্য়বধানে হারাল বেঙ্গালুরু এফসি। দুটি গোলই এল মোহনবাগানের প্রাক্তনীদের সৌজন্যে। জাভি হার্নান্ডেজ এবং রয় কৃষ্ণা। এটিকে মোহনবাগান শেষ মুহূর্তে জ্বলে উঠল। ততক্ষণে অনেকটা দেরী হয়ে গিয়েছে। এটিকে মোহনবাগান বনাম বেঙ্গালুরু এফসি ম্যাচ রিপোর্ট TV9Bangla-য়।
এটিকে মোহনবাগানের রক্ষণ এ বার ভালো পারফর্ম করছে। এই ম্যাচের আগে ১৫ ম্যাচে মাত্র ১৩ গোল খেয়েছিল তারা। গোল করার ক্ষেত্রে বারবার সমস্যায় পড়েছে এটিকে মোহনবাগান। প্রচুর গোলের সুযোগ তৈরি হলেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে। সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়নি। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। গোল শূন্য অবস্থাতেই বিরতিতে যায় দু-দল। দ্বিতীয়ার্ধে দু-দলই সতর্ক শুরু করে। তবে কিছুটা সময় পেরোতেই গিয়ার বদলায় এটিকে মোহনবাগান। বিশেষত ৭০ মিনিটের পর অল্প সময়ের ব্য়বধানে নাটকীয় কিছু মুহূর্ত তৈরি হয় এটিকে মোহনবাগানের পক্ষে। বেঙ্গালুরু এফসি গোলকিপার গুরপ্রীত সিং সান্ধু যেমন ভুল করেন, তেমনই একটি অনবদ্য সেভও করেন। প্রীতম কোটালের জমি ঘেসা একটি শট অল্পের জন্য বাইরে। সুযোগ তৈরি করেছে বেঙ্গালুরু এফসিও। যদিও দু-দলই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হচ্ছিল।
টানা চার ম্যাচ জিতে এটিকে মোহনবাগানের মুখোমুখি হয়েছিল বেঙ্গালুরু এফসি। লিগে তাদের শুরুটা ভালো না হলেও পরের দিকে অনেকটা গুছিয়ে নিয়েছে। সুনীল ছেত্রী, রয় কৃষ্ণাদের অভিজ্ঞতার ফল পেয়েছে বেঙ্গালুরু। চাপ, পাল্টা চাপের খেলা। স্নায়ুর চাপে ভেঙে পড়ল মোহনবাগান রক্ষণই। ম্যাচের ৭৭ মিনিটে জাভি হার্নান্ডেজের অনবদ্য় গোলে এগিয়ে যায় বেঙ্গালুরু এফসি। রোশন নাওরেমের মাইনাসে গোল করেন এটিকে মোহনবাগানের প্রাক্তনী জাভি। ম্যাচের এই অবধি দু-দলের পারফরম্যান্সে ফারাক জাভির গোলই। কার্ড সমস্যায় এই ম্যাচে আশিক কুরুনিয়ান এবং হুগো বোমাসকে পায়নি এটিকে মোহনবাগান। ঘরের মাঠে এ কারণেও কিছুটা ব্যাকফুটে ছিল সবুজ মেরুন শিবির। জাভির গোল আরও চাপে ফেলে। নির্ধারিত সময়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে আরও একটি গোল করে ম্যাচের ভবিষ্যৎ কার্যত নিশ্চিত করে দেয়। ঘরের মাঠে এ মরসুমে তৃতীয় হার এটিকে মোহনবাগানের।
এটিকে মোহনবাগানের দিমিত্রি পেত্রাতোস এ মরসুমে দারুণ ছন্দে। ১৪ ম্যাচে ৭টি গোল এবং ৬টি অ্যাসিস্ট ছিল তাঁর নামে। এ দিনও বেশ কিছু সুযোগ পেলেন। গোলে পরিণত করতে পারছিলেন না। শেষ দিকে কিয়ান নাসিরি এবং ফারদিন আলি মোল্লাকে নামান হুয়ান ফেরান্দো। আক্রমণে কিছুটা হলেও ধার বাড়ে। অ্যাডেড টাইমে দিমিত্রি পেত্রাতোসের গোল মোহনবাগান শিবিরে আশার আলো জাগায়। সময় ক্রমশ কমছিল। শেষ অবধি খালি হাতেই মাঠ ছাড়তে হয় এটিকে মোগনবাগানকে। এ দিনের জয়ে প্রথম ছয়ে ঢুকে পড়ল বেঙ্গালুরু এফসি। হারলেও এটিকে মোহনবাগান চতুর্থ স্থানেই রইল।