IND vs AUS: রবিচন্দ্রন অশ্বিন রয়েছেন। ফিট হয়ে ফিরেছেন রবীন্দ্র জাডেজা। ফিটনেস টেস্টের জন্য রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে খেলেছেন এবং ইনিংসে সাত উইকেটও নিয়েছেন। অক্ষর প্যাটেল সংক্ষিপ্ত টেস্ট কেরিয়ারে যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। সবচেয়ে বড় দিক, এই তিনজনই অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে বড় ইনিংস খেলার ক্ষমতা রাখেন। চতুর্থ স্পিনার হিসেবে যোগ হতে পারে কুলদীপ যাদবকে।
Image Credit source: twitter FILE
নয়াদিল্লি: একটা সময় এশিয়া উপমহাদেশে টেস্ট মানেই ব়্যাঙ্ক টার্নার। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলি খাবি খেত। তেমনই এশিয়া উপমহাদেশের দলগুলির জন্য একই সমস্যা অপেক্ষা করত। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলি গ্রিনটপ, পেস-বাউন্সি পিচে স্বাগত জানাত। গত কয়েক বছরে পরিস্থিতি কিছুটা বদলেছে। ভারতের পেস বোলিং আক্রমণ এতটাই ভালো যে, অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মতো দেশ এখন আর সেই ঝুঁকি নেয় না। তাঁদের পিচে ভারতীয় পেসাররাই হয়তো বাড়তি সুবিধা নেবে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টানা দুটি টেস্ট সিরিজ জিতেছে ভারত। ইংল্যান্ডের মাটিতে ভারত গত টেস্ট সিরিজ জয়ের দোরগোড়ায় থাকলেও শেষ অবধি তা ড্র হয়। প্রতিটা দলই ঘরের মাঠের সুবিধা নেয়। এ বার অস্ট্রেলিয়ার জন্য়ও তাই বিশেষ পিচ এবং ছক অপেক্ষা করছে। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
এর আগের বার যখন ইংল্যান্ড খেলতে এসেছিল, চেন্নাই টেস্টে ‘স্পোর্টিং’ উইকেট বানিয়ে সমস্যায় পড়েছিল ভারত। তৎকালীন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট টস জিতে ব্য়াটিং নিয়েছিলেন। তিনি নিজে স্বপ্নের ফর্মে ছিলেন। চেন্নাই টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন রুট। আমেদাবাদে দিন-রাতের টেস্টে ব়্য়াঙ্ক টার্নার বানাতেই ইংল্য়ান্ডের জারিজুরি শেষ হয়ে যায়। মাত্র আড়াই দিনেই জিতেছিল ভারত। সুতরাং, অস্ট্রেলিয়াকে চেন্নাইয়ে মতো পিচ দিয়ে স্বাগত জানাতে নারাজ ভারতীয় শিবির। বরং, ঘরের মাঠের সুবিধা নিতে পুরোপুরি প্রস্তুত। নাগপুরের পিচ দেখে প্রাথমিক ভাবে সবুজ মনে হলেও, ম্যাচের দিন থেকে রং বদলাবে।
অনেকেই বলতে পারেন, অস্ট্রেলিয়াও এ বার স্পিন আধিক্য বোলিং বিভাগ নিয়ে এসেছে। কিন্তু অভিজ্ঞতার দিক থেকে তারা অনেক পিছিয়ে। ভারতীয় ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অনেকে সতর্ক করেছেন। অজি দলে নাথান লিয়ন, অ্যাস্টন অ্যাগার, মিচেল সোয়েপসন, টড মার্ফির পাশাপাশি মার্নাস লাবুশেন এবং ট্রাভিস হেডের মতো পার্টটাইম স্পিনার রয়েছে। নাথান লিয়ন ছাড়া আর কাউকেই অভিজ্ঞতার দিক থেকে আতঙ্কের কারণ মনে করা যায় না। এই সিরিজের উপর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যোগ্য়তা অর্জন নির্ভর করছে ভারতের। এই সিরিজ জিতলে টেস্ট ক্রমতালিকায় ফের শীর্ষস্থান দখল করবে ভারত। আর সেই লক্ষ্যেই ব়্যাঙ্ক টার্নার এবং চার স্পিনারের ভাবনা ভারতীয় শিবিরে।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন রয়েছেন। ফিট হয়ে ফিরেছেন রবীন্দ্র জাডেজা। ফিটনেস টেস্টের জন্য রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে খেলেছেন এবং ইনিংসে সাত উইকেটও নিয়েছেন। অক্ষর প্যাটেল সংক্ষিপ্ত টেস্ট কেরিয়ারে যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। সবচেয়ে বড় দিক, এই তিনজনই অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে বড় ইনিংস খেলার ক্ষমতা রাখেন। চতুর্থ স্পিনার হিসেবে যোগ হতে পারে কুলদীপ যাদবকে। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা কুলদীপকে নিয়ে বরাবরই আতঙ্কে থাকে। ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার শেষ বার টেস্ট সিরিজ খেলেছিল ভারত। ধরমশালায় সিরিজের টেস্টে সাদা জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল কুলদীপের। চার উইকেট নিয়ে আতঙ্কের শুরুর। শুধু তাই নয়, অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে সিডনিতে অজি ব্যাটিংকে দুরমুশ করেছিলেন কুলদীপ। আর অশ্বিন, জাডেজা, অক্ষরদের দক্ষতা নিয়ে নতুন করে কিছু বলারও প্রয়োজন পড়ে না। এখন অপেক্ষা সিরিজ শুরুর।