WPL 2023: তিতাসের কোচ প্রিয়ঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’খুব ভালো সুযোগ তিতাসের কাছে। ভালো খেলোয়াড়দের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করবে, মিশবে। তাদের মানসিকতা জানতে পারবে। আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেললে অভিজ্ঞতা বাড়ে। কত টাকা পেল সেটা বড় কথা নয়। খেলার সুযোগ পাবে এটাই বড়।’
Image Credit source: OWN Photograph
চুঁচুড়া: লক্ষ্য় অনেক বড়। তার জন্য় মাটিতে পা রাখা জরুরি। আরও ভালো খেলার তাগিদ নিয়ে প্রস্তুতিও চালিয়ে যেতে হবে। অনূর্ধ্ব ১৯ মেয়েদের উদ্বোধনী বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়েছে ভারত। প্রথম বার মেয়েদের ক্রিকেটে কোনও আইসিসি ট্রফি জিতেছে ভারতীয় দল। আর তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বাংলার পেসার তিতাস সাধুর। টিম ম্যানেজমেন্ট বেশির ভাগ ম্যাচে স্পিন নির্ভর দল গড়েছে। এক মাত্র পেসার হিসেবে সুযোগ পেতেন তিতাস।পুরো টুর্নামেন্টেই ভালো খেলেছেন। তবে ফাইনালে সেই তিতাসই পার্থক্য় গড়ে দিলেন। তার পুরস্কারও পেলেন চুঁচুড়ার এই পেসার। আরও একটা ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে চলেছেন তিতাস। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
দীর্ঘদিন ধরেই মেয়েদের আইপিএল শুরুর পরিকল্পনা ছিল বোর্ডের। অবশেষে এ বার হচ্ছে পাঁচ দলের উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ। এ দিন নিলামে নজর রেখেছিলেন রেজিস্টার করা ৪০০ এর বেশি ক্রিকেটার। বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীদের নজর ছিল রিচা, তিতাসদের উপর। প্রত্য়াশা পূরণ হয়েছে বাংলার। এ দিন মুম্বইতে নিলামের আসর বসে। বাংলার পেসার তিতাস সাধুকে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস। চুঁচুড়ার মেয়ে তিতাসের বেস প্রাইস ছিল ১০ লক্ষ টাকা। তাঁকে পঁচিশ লক্ষ টাকায় তুলে নেয় দিল্লি। নিলাম যখন চলছে, তখন চুঁচুড়া মাঠে অনুশীলন করছিলেন তিতাস সাধু। দিল্লি তাঁকে কিনেছে মোবাইলে দেখার পর উৎফুল্ল হয়ে ওঠেন তিতাস ও তাঁর কোচ। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ম্যাচের সেরার পুরস্কার জিতেছিলেন তিতাস। ফাইনালে তাঁর বোলিংয়েই খেই হারায় ইংল্য়ান্ড। চার ওভার বল করে মাত্র ছয় রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়েছিলেন তিতাস। সেই পারফরম্য়ান্সই উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে দরজা খুলে দিল বলে মনে করা হচ্ছে।
উচ্ছ্বসিত তিতাস বলেন,’একটা উত্তেজনা ছিল। ছোট থেকেই আইপিএল দেখে আসছি। একটা বড় ফ্র্যাঞ্চাইজির সদস্য হতে পেরে ভালো লাগছে। দল পাব কী না একটু হলেও ভাবনা ছিল। দল পেয়ে অনেকটা হালকা লাগছে। এ বার অনুশীলন করতে হবে ভালো খেলার জন্য। অনেক বিদেশি প্লেয়ার থাকায়, তারা কীভাবে পরিকল্পনা তৈরি করে সেগুলো শেখা যাবে। সুযোগ পেলে দলে জায়গা ধরে রাখার চেষ্টা করব।’ তিতাসের কোচ প্রিয়ঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’খুব ভালো সুযোগ তিতাসের কাছে। ভালো খেলোয়াড়দের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করবে, মিশবে। তাদের মানসিকতা জানতে পারবে। আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেললে অভিজ্ঞতা বাড়ে। কত টাকা পেল সেটা বড় কথা নয়। খেলার সুযোগ পাবে এটাই বড়।’