ক্ষণশীল পরিবারের মেয়ের খেলাধুলো করার বিরোধী ছিলেন বাবা মানি সিকে। অদম্য জেদ এবং ইচ্ছার জেরে পরিবারকে মানিয়ে নিয়ে খেলাধুলা চালিয়ে যান ‘ মানি ‘ গার্ল মিন্নু।
Image Credit source: Twitter
কলকাতা: এ স্বপ্ন নয়, ঘোর বাস্তব। কেরলের ওয়েনাড জেলার মনন্থাভাদির মতো প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ক্রিকেটে কেরিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন বছর তেইশের মিন্নু মানি (Minnu Mani)। প্রতিকূলতা যে কী তা জীবনের প্রতি পদে উপলব্ধি করেছেন তিনি। গত মঙ্গলবারের উইমেন্স প্রিমিয়র লিগের নিলাম (WPL 2023) বদলে দিয়েছে তাঁর জীবন। মিন্নু ‘ মানি ‘ দিল্লি ক্যাপিটালস (Delhi Capitals) দলে ডাক পেলেন ৩০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে। সংবাদসংস্থা কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেরলের মিন্নু বলেন, “এখন আমি কিছু বলার মত ক্ষমতায় নেই। জীবনে ৩০ লক্ষ টাকা চোখে দেখিনি।” তাঁর বাবা মানি সিকে একজন দিনমজুর এবং মা বসন্তা গৃহকর্ত্রী। বাড়ির নিকটবর্তী ধানক্ষেতে ভাইবোনদের সঙ্গে খেলতে খেলতে ক্রিকেটে হাতেখড়ি মিন্নুর। মাত্র ১০ বছর বয়সেই ক্রিকেটকে ভালোবেসে ফেলেন মিন্নু ।
সরকারি হাই স্কুলে পড়াশোনা করার সময় শরীরশিক্ষার শিক্ষক এলসম্মা ব্যেবির চোখে পড়ে যান। ওয়েনাড জেলার অনূর্ধ্ব ১৩ দলের নির্বাচনের পরীক্ষায় তাঁকে নিয়ে যান। কিন্তু রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ের খেলাধুলো করার বিরোধী ছিলেন বাবা মানি সিকে। অদম্য জেদ এবং ইচ্ছার জেরে পরিবারকে মানিয়ে নিয়ে খেলাধুলা চালিয়ে যান ‘ মানি ‘ গার্ল মিন্নু। কেরলের মহিলা দলের এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হলেন এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার। সম্প্রতি সর্বভারতীয় ওডিআই টুর্নামেন্টে ৮ ম্যাচে ২৪৬ রান এবং ১২ টি উইকেট নিয়ে নির্বাচকদের চোখে পড়েছেন মিন্নু।
উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী সংস্করণে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলবেন মিন্নু। এই দলে জেমিমা রডরিগজ, মেগ ল্যানিং, শেফালি ভার্মার সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগ করবেন তিনি। এই সমস্ত আন্তর্জাতিক প্লেয়ারদের সঙ্গে খেলা অনিবার্যভাবেই মিন্নুর অভিজ্ঞতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ বিশাল আকার নিতে চলছে। যদি এখানে ভালো প্রদর্শন করতে পারি তাহলে হয়তো জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হতে পারে।” এ বিষয়ে খুবই আশাবাদী মিন্নু। চারটি বাস বদলে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পৌঁছতে হত। আজ উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের মঞ্চে ৩০ লক্ষের মিন্নু মানি।