Ranji Trophy Final: নিজের দল নিয়েও বেশ গর্ব করলেন সৌরাষ্ট্রের অধিনায়ক। বেশ কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটার আছেন দলে। শেষ ৩-৪ বছরে অনেক নতুন মুখ এসেছে। যেটাকে অবশ্যই পজিটিভ দিক হিসেবে দেখছেন সৌরাষ্ট্রের অধিনায়ক।
কলকাতা: রঞ্জি ফাইনালের ৪৮ ঘণ্টা আগে সৌরাষ্ট্রকে হুঙ্কার দিয়ে রেখেছিলেন বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। যা শোনার পর মুচকি হেসেছিলেন সৌরাষ্ট্রের কোচ। ফাইনালের আগের দিন সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন সৌরাষ্ট্রের অধিনায়ক। ৩ বছর আগে ঘরের মাঠে বাংলাকে হারিয়েই ভারতসেরা হয়েছিল সৌরাষ্ট্র। এ বার বাংলার ঘরের মাঠে ভারতসেরা হতে তৈরি উনাদকাট, অর্পিতরা। শেষ ৬ বছরে চার বার সেমিফাইনাল খেলেছে সৌরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবারের পেপারটা যে মনোজদের কাছে বেশ কঠিন হতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও বাংলা শিবিরও টানা তিনবার সেমিফাইনাল খেলেছে। ফাইনালের আগের দিন অনুশীলনের ফাঁকে বেশ কয়েকবারই ইডেনের উইকেট দেখে গেলেন সৌরাষ্ট্রের ক্রিকেটাররা। কখনও অধিনায়ক জয়দেব উনাদকাট, কখনও চিরাগ জানি। ক্ষণে ক্ষণে এসে দেখে যাচ্ছেন উইকেট। কথা বলছেন কিউরেটরের সঙ্গে। মেপে নিচ্ছেন ইডেনের বাইশ গজ। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
মনোজ চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘একপেশে ফাইনাল হবে। আর তাতে সেরা হবে বাংলাই।’ যে কথা শোনার পর উনাদকাট বলছেন, ‘মনোজ যদি বলেই থাকে আমি আর কী বলব! তবে যা হবে তা মাঠেই দেখা যাবে।’ এরই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন কন্ডিশনে আমরা খেলে অভ্যস্থ। শুধু যে ঘরের মাঠেই খেলতে পারি এমনটা নয়। ফাইনালে এসেছি মানে সমস্ত জায়গায় খেলে জিতেই এসেছি। বাংলার দলের বোলিং বিভাগ বেশ শক্তিশালী। তবে আমরাও তৈরি ওদের বেগ দিতে।’
ইডেনের রঞ্জি ফাইনালে টস কোনও ফ্যাক্টর হবে না, মনে করছেন সৌরাষ্ট্রের অধিনায়ক। ভারতীয় দল থেকে সোজা চলে এসেছেন রঞ্জির ফাইনাল খেলতে। যে প্রসঙ্গে তিনি বললেন, ‘আমি দলে না থাকলেও, আমার মন সেখানেই পড়ে থাকে। রঞ্জি ফাইনালে ওঠার পর আমিও চেয়েছিলাম খেলতে। রাহুল ভাইও (রাহুল দ্রাবিড়) আমাকে বলল নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলতে। দুই তরফের বোঝাপড়াতেই আমি ফাইনাল খেলার ছাড়পত্র পেয়েছি। অবশ্যই দেশ আর রাজ্য, দুটোর মধ্যে একটাকে বেছে নেওয়া তো কঠিনই। তবে এখান থেকে ট্রফি নিয়েই জাতীয় দলে ফিরতে চাই।’
ইডেনের বাইশ গজ অনেক পরিচিত জয়দেব উনাদকাটের কাছে। কলকাতা নাইট রাইডার্সে একটা সময় খেলে গিয়েছেন। বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারির সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগ করেছেন। এমনকি দু’জনে একসঙ্গে প্লে স্টেশনেও সময় কাটিয়েছেন। একে অপরের দুর্বলতা সম্পর্কেও তাই ওয়াকিবহাল। সৌরাষ্ট্র দলে আছেন শেল্ডন জ্যাকসন। তিনিও আইপিএলে কেকেআরে খেলে গিয়েছেন।
রঞ্জি ফাইনালে থাকছে পূর্ণ ডিআরএস। যে প্রসঙ্গে উনাদকাট বললেন, ‘একদিকে ভালো, কোনও দলেই ভাগ্যের সহায়তা পাবে না। সবার কাছেই সুযোগ থাকবে সঠিক সিদ্ধান্ত পর্যবেক্ষণ করার।’ নিজের দল নিয়েও বেশ গর্ব করলেন সৌরাষ্ট্রের অধিনায়ক। বেশ কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটার আছেন দলে। শেষ ৩-৪ বছরে অনেক নতুন মুখ এসেছে। যেটাকে অবশ্যই পজিটিভ দিক হিসেবে দেখছেন সৌরাষ্ট্রের অধিনায়ক।