Bengal vs Saurashtra: বাংলার কোচ-ক্যাপ্টেন যতই আশ্বাস দিক, অলৌকিক কিছু না ঘটলে ফাইনালে বাংলার ফিরে আসা যে বড্ড কঠিন তা আন্দাজ করাই যায়!
Image Credit source: Cricket Association of Bengal Facebook
কলকাতা: ৩৩ বছর পর বাংলার হাতে ট্রফির (Ranji Trophy) স্বপ্ন দেখেছিল ক্রিকেটপ্রেমীরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ইডেনের গ্যালারি ভরাতে থাকেন দর্শকরা। শুক্রবারও দেখা গেল সেই ছবি। তবে ক্রিকেটপ্রেমীরা বাংলার জন্য যতই গলা ফাটাক, ক্রিকেটারদের পারফরমেন্সে তার ছিটেফোঁটো দেখা গেল না। খেলার প্রথম সেশনে যাও বা ফিরে আসার লড়াই দেখালেন আকাশদীপরা, বাকি দুটো সেশনে কিছুই করতে পারলেন না বাংলার বোলাররা। সারা দিনে সৌরাষ্ট্রের মাত্র ৩টে উইকেট ফেলতে পারলেন ঈশান পোড়েলরা। তৃতীয় সেশনে তো একটা উইকেটও তুলতে পারলেন না মুকেশ কুমাররা। জয়দেব উনাদকাট, চেতন সাকারিয়া, চিরাগ জানি, ধর্মেন্দ্র জাডেজারা যে উইকেটে বাংলার (Bengal) ব্যাটারদের নাকানি চোবানি খাওয়ালেন, সেখানে সহজ ভাবে ব্যাটিং করে গেলেন অর্পিত বাসভড়া, চিরাগ জানিরা। বাংলা শিবিরকেও বেশ বিমর্ষ দেখাল। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
ম্যাচে ফিল্ডিং করার সময় বাঁ- কাঁধে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন সুদীপ ঘরামি। এরপর আর ফিল্ডিং করতে দেখা যায়নি তাঁকে। খেলা শেষে কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা যদিও আশ্বস্ত করলেন। তবে সুদীপের খেলা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। ম্যাচে ১৪৩ রানে এগিয়ে সৌরাষ্ট্র। এখনও ক্রিজে আছেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার অর্পিত বাসভড়া আর চিরাগ জানি। বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা যদিও হাল ছাড়তে নারাজ। খেলার পর তিনি বলে গেলেন, ‘আমার মনে হয় এখনও খেলা বাকি আছে। সবে মাত্র দু’দিন শেষ হয়েছে। এখনও তিনটে দিন বাকি। ম্যাচের মোড় ঘুরতে পারে। শনিবারের প্রথম সেশনটা আমাদের জন্য খুব দরকারী। কাল নতুন সেশন পাব। সেটা কাজে লাগাতে হবে। ওদের তাড়াতাড়ি অলআউট করতে হবে। এখনও ফাইনালের অনেকটা সময় বাকি আছে।’
বাংলার বোলাররা সারাদিনে মাত্র ৩টে উইকেট পেয়েছেন। এ প্রসঙ্গে লক্ষ্মী বলেন, ‘উইকেট থেকে জোরে বোলাররা সাহায্য পাচ্ছিল না। ব্যাটারদের জন্য অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। তবে অনেক ভুল হয়েছে আমাদের। প্রচুর নো বল হয়েছে। অতিরিক্ত রান দিয়ে ফেলেছি। এগুলো খেলার অংশ। আমাদের প্রবল ভাবে ফিরে আসতে হবে। আজকের ভুল থেকে আমরা শিক্ষা নিচ্ছি।’ শাহবাজ আহমেদের ক্যাচ মিস প্রসঙ্গেও আলাদা করে কিছু বলতে চাইলেন না লক্ষ্মীরতন শুক্লা।
অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি বললেন, ‘আমরা শনিবারের সকালটাকে টার্গেট করেছি। ১০ ওভারের মধ্যে ওদের ৫ উইকেট তুলতে চাইছি। আর ২০-৩০ রানের মধ্যে ওদের অলআউট করতে পারলে, ম্যাচে ফিরে আসব। টস হারাটা অবশ্যই ফ্যাক্টর হয়েছে। গোটা টুর্নামেন্টে আমাদের ভালো বোলাররা ভালো বল করলেও, ফাইনালে সেই ধারাবাহিকতা দেখাতে পারলাম না। তবে আশা করছি, ম্যাচে হয়তো ফিরব।’
বাংলার কোচ-ক্যাপ্টেন যতই আশ্বাস দিক, অলৌকিক কিছু না ঘটলে ফাইনালে বাংলার ফিরে আসা যে বড্ড কঠিন তা আন্দাজ করাই যায়!