Bengal vs Saurashtra, Ranji Trophy Final: পরের মরসুমে কি মনোজ থাকছেন? বঙ্গ অধিনায়ক এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন না। সবে ফাইনাল শেষ হয়েছে। আরও কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে চান। তবে তাঁর কাছে খেলা চালিয়ে যাওয়ার আর্জি জানিয়েছে সিএবির নির্বাচকরা।
কলকাতা: ‘মাঠে নেই, কথায় আছে।’ নিজেদের মন্তব্য-সিদ্ধান্তগুলোই বুমেরাং। ফাইনাল শুরুর আগেই সৌরাষ্ট্র দলকে হুঙ্কার দিয়ে রেখেছিলেন বঙ্গ অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। ফাইনালে লজ্জার হারের পরও সেই ‘কথা’র ফুলঝুরি ছোটালেন বাংলার ক্যাপ্টেন। সৌরাষ্ট্রের ক্রিকেটাররা প্রত্যেক বিভাগে বাংলাকে টেক্কা দিয়েছে। হার্ভিক দেশাই, শেলডন জ্যাকসন, চিরাগ জানি, অর্পিত বাসভড়া, জয়দেব উনাদকাট, চেতন সাকারিয়ারা দেখিয়ে দিয়েছেন কেন তাঁরা ভারতসেরা। সুমন্ত গুপ্ত, অভিমন্যু ঈশ্বরণ, সুদীপ ঘরামিদের ছিটেফোঁটা দায়িত্বজ্ঞান দেখা গেলেও এ ভাবে হয়তো হারতে হত না বাংলা দলকে। ফাইনাল হারের পর ড্রেসিংরুমে ক্রিকেটারদের সঙ্গে বৈঠক করেন কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা। যদিও সে বৈঠকে বাংলার তরুণ ক্রিকেটাররা আদৌ উদ্বুদ্ধ হন কী না, তার উত্তর নেই। বাংলার কোচ, ক্যাপ্টেন ক্রিকেটারদের দায়বদ্ধতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন তুলতে নারাজ। বরং তাঁদের দায়িত্বজ্ঞানকেই বড় আকারে দেখাতে চান। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
ফাইনাল হেরেও কথার লড়াই থেকে সরেননি বঙ্গ অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। বলে গেলেন, ‘ফাইনালে টস ফ্যাক্টর হয়ে গেল। প্রথম দিন সকালে উইকেটে যে পরিমাণ আর্দ্রতা ছিল, দ্বিতীয় দিন থেকে সেটা দেখা যায়নি। আমরা যদি টস জিতে ফিল্ডিং নিতাম, আমরাও এরকম পারফর্ম করতাম। আমাদের ভাগ্যও সঙ্গ দেয়নি। আজ সকালে কুয়াশার কারণে পিচে আর্দ্রতাও ছিল। ১০০ শতাংশ হলফ করে বলতে পারি, ওদের ১০০ থেকে ১২০ রানের মধ্যে অল আউট করে দিতাম। ওদের দুটো বাঁ-হাতি জোরে বোলার ছিল। ঠিকঠাক জায়গায় বল রেখেছে। আর তাতেই সাফল্য পেয়েছে।’
সৌরাষ্ট্রের অধিনায়ক উনাদকাট বলেন, তাঁদের ড্রেসিংরুম বাংলা দলের চেয়ে অনেক শান্ত ছিল। আর তাতেই সাফল্য মিলেছে। যে প্রসঙ্গে মনোজ বললেন, ‘ওরা টস জিতেছিল। তাই ওদের ড্রেসিংরুম অনেক শান্ত ছিল। টস না জিতলে তখন শান্ত থাকত না।’সকালে শাহবাজ আহমেদ আর মনোজ তিওয়ারির ভুল বোঝাবুঝিতে শাহবাজ রান আউট না হলে, লড়াইয়েই ছিল বাংলা। এমনকি চতুর্থ দিনের সকালে বেশ দ্রুতগতিতে রানও তুলছিল মনোজ-শাহবাজ জুটি। শাহবাজের রান আউটের জন্য নিজেকেই দায়ী করলেন মনোজ তিওয়ারি।
পরের মরসুমে কি মনোজ থাকছেন? বঙ্গ অধিনায়ক এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন না। সবে ফাইনাল শেষ হয়েছে। আরও কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে চান। তবে তাঁর কাছে খেলা চালিয়ে যাওয়ার আর্জি জানিয়েছে সিএবির নির্বাচকরা।
ফাইনালের একাদশ নিয়ে অবশ্য কোনও আক্ষেপ শোনা গেল না কোচ কিংবা ক্যাপ্টেনের গলায়। ম্যাচ হারের পর বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা বললেন, ‘প্রত্যেক ম্যাচেই সবার উপরে আমাদের ভরসা থাকে। বাইরের কে কী ভাবল, তাতে যায় আসে না। ক্লাব ক্রিকেটে যারা পারফর্ম করেছে তাদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এই ম্যাচ না জিতলেও, অনেক কিছু শিখেছি। সবাই ফাইনাল হারের পর ভেঙে পড়েছি। ড্রেসিংরুমেও সবাই ভেঙে পড়েছে। ফাইনাল হারের যাবতীয় দায় আমার।’ মনোজ তিওয়ারি আর অনুষ্টুপ মজুমদারের সম্মিলিত বয়স ৭৫ বছর। তা সত্ত্বেও দুই বর্ষীয়ান ক্রিকেটারকে রঞ্জি দলে দেখতে চাইছেন বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা।