Santosh Trophy-Ranji Trophy: আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত ও সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় ক্রীড়ামন্ত্রীর এই বিস্ফোরক মন্তব্য কি আদৌ শুনতে পেলেন? পছন্দ মতো নয়, প্রয়োজন মতো দল করলে রঞ্জি ফাইনাল কিংবা সন্তোষ ট্রফিতে ব্যর্থতার দায় নিতে হত না প্রশাসকদের।
Image Credit source: OWN Photograph
কলকাতা: রঞ্জি ফাইনালে হার, সন্তোষ ট্রফির মূলপর্বে লজ্জাজনক পারফরম্যান্স। সব দেখে চুপ থাকতে পারলেন না রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী। সিএবি ও আইএফএ-র ভূমিকা নিয়ে বিস্ফোরক অরূপ বিশ্বাস। মোহনবাগান ক্লাবে ক্রীড়া লাইব্রেরির উদ্বোধনে এসে রীতিমতো বোমা ফাটালেন ক্রীড়ামন্ত্রী। খেলাধূলার ‘কোটাতন্ত্র’ দেখে চুপ থাকতে পারলেন না তিনি। সরাসরি আক্রমণ করলেন ক্রীড়া প্রশাসকদের। রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে অনভিজ্ঞ সুমন্ত গুপ্তর অভিষেক হওয়া নিয়ে সুর চড়িয়েছেন ময়দানের অনেকেই। এমনকি বাংলার টিম সিলেকশন নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। সন্তোষ ট্রফির ইতিহাসে সবচেয়ে হতাশাজনক পারফরম্যান্স বাংলা দলের। যা দেখে চুপ থাকতে না পেরে সরাসরি কর্তাদের আক্রমণ করলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
মোহনবাগানের অনুষ্ঠানে এসে অরূপ বিশ্বাস বললেন, ‘রঞ্জি ফাইনালের আগের দিন বাংলা দলকে তাতিয়ে এলাম। তারপর দেখি দলের এই শোচনীয় হার। ভেবেছিলাম ৩৩ বছর পর ঘরের মাঠে ভারতসেরা হবে বাংলা ক্রিকেট দল। কিন্তু সে আশায় জল ঢালল ক্রিকেটাররা। ফাইনাল পর্যন্ত ঠিকঠাক ওপেনারই জোগাড় করতে পারল না। শুনেছি ফাইনালে যে ওপেন করেছে সেই সুমন্ত গুপ্ত নাকি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটই খেলেনি। ফাইনালে এমন একজনকে খেলানো হল যে নাকি মাত্র ৭ ওভার বল করেছে। কোটাতন্ত্রের কথা আমার কানে এসেছে। এ ভাবে যদি দল তৈরি হয় এর চেয়ে নিন্দার কিছু নেই।’
একই সঙ্গে বাংলার ফুটবল নিয়েও হতাশা বেরিয়ে এল। ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, ‘ফুটবলেও একই হাল। সন্তোষে তো মুখ দেখানো গেল না। গতবছর যে কোচ ফাইনাল অবধি নিয়ে গেল তাকে সরিয়ে দেওয়া হল। এখানেও ‘কোটা’র ফুটবলার খেলানোর অভিযোগ আমার কানে এসেছে। রাজ্য সরকার ক্রীড়া বাজেটে অনেক বেশি অর্থ বরাদ্দ করেছে। আগের চেয়ে অনেক বেশি টাকা খরচ হয়। ক্রীড়া প্রশাসকরা এভাবে চালালে তো রাজ্যের খেলাধূলা আরও নীচে নামবে।’
আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত ও সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় ক্রীড়ামন্ত্রীর এই বিস্ফোরক মন্তব্য কি আদৌ শুনতে পেলেন? পছন্দ মতো নয়, প্রয়োজন মতো দল করলে রঞ্জি ফাইনাল কিংবা সন্তোষ ট্রফিতে ব্যর্থতার দায় নিতে হত না প্রশাসকদের।