নেট টপকে মোহনবাগানের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে ঢুকে পড়েন ইস্টবেঙ্গলের এক কর্মী। মোহনবাগানের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে দাঁড়িয়ে দিমিত্রিদের অনুশীলন দেখছিলেন সেই কর্মী। তারপর কী হল?
Image Credit source: Twitter
কলকাতা: শনিবার ডার্বি। আইএসএলের (ISL) ফিরতি বড় ম্যাচ। সুপার কাপে দুই প্রধানের দেখা না হলে, এটাই হতে চলেছে ময়দানের শেষ ডার্বি (ISL Derby)। অথচ ময়দানে বড় ম্যাচের কোনও উত্তাপই নেই। দুই দলই ব্যস্ত ক্লোজড ডোর অনুশীলনে। প্লে অফে পৌঁছে গিয়েছে সবুজ-মেরুন (ATK Mohun Bagan)। ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) লিগ টেবিলের দশ নম্বরে। মোহনবাগানের অনুশীলন যাও বা বাইরে থেকে দেখা যাচ্ছে, ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলন কালো কাপড়ে মোড়া। ডার্বির আগে দুই দলই যুবভারতীর ট্রেনিং গ্রাউন্ডে পাশাপাশি অনুশীলন করল। বিকেল চারটের সময় অনুশীলন শুরু করে দুই দলের ফুটবলাররা।
যুবভারতীর ১ নম্বর ট্রেনিং গ্রাউন্ডে অনুশীলন করল মোহনবাগান। ২ নং ট্রেনিং গ্রাউন্ডে অনুশীলন করল ইস্টবেঙ্গল। দুটো ট্রেনিং গ্রাউন্ডের চারদিক নেট দিয়ে ঘেরা থাকলেও, যাতায়াতের জন্য মাঝপথে রয়েছে ছোট্ট ফাঁক। আর সেই ফাঁক গলেই মোহনবাগানের অনুশীলনে ঢুকে পড়লেন ইস্টবেঙ্গলের এক সাপোর্ট স্টাফ! কিন্তু কি ভাবে? আর কেনই বা তাঁকে প্রবেশের অনুমতি দিল মোহনবাগান? ডার্বির আগে নিজেদের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে শত্রুশিবিরের গুপ্তচর দেখেও চুপ থাকল সবুজ-মেরুন?
ইস্টবেঙ্গলের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে সেট পিস অনুশীলন চলছিল। জোরকদমে সেই অনুশীলন করছিলেন ক্লেটন সিলভা, জেক জার্ভিসরা। বেশ কয়েকটা শটে বল নেট টপকে মোহনবাগানের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে ঢুকে পড়ে। আর সেই বল নিতেই মোহনবাগানের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে ঢুকে পড়েন ইস্টবেঙ্গলের এক কর্মী। তবে অনেকটা সময় ধরেই মোহনবাগানের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে দাঁড়িয়ে দিমিত্রিদের অনুশীলন দেখছিলেন সেই কর্মী। মোহনবাগানের এক সাপোর্ট স্টাফের নজরে পড়তেই বল নিয়ে চলে গেলেন ইস্টবেঙ্গলের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে। ময়দানে দুই শিবিরের শত্রুতা অজানা নয়। এর আগেও গুপ্তচর পাঠানোর ঘটনা ঘটেছে ময়দানে। তবে এ ভাবে পাশাপাশি দুটো দলের অনুশীলন চলাকালীন এক দলের কর্মী এসে অপর দলের অনুশীলন দেখার ঘটনা সত্যিই নজিরবিহীন।