ফ্রেড, অ্যান্টনির গোলে ঘরের মাঠে বার্সা-বধ ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের


গত কয়েক বছর একেবারেই ছন্দে ছিল না ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। কিন্তু কোচ এরিক টেন হ্যাগ যে পুরো টিমকেই পাল্টে ফেলেছেন, তার প্রমাণ মিলছে। ঘরের মাঠে বার্সার বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় পেল তাঁর টিম।

Image Credit source: Twitter

লন্ডন: বলা হচ্ছিল, ফেব্রুয়ারি মাসের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ম্যাচ হতে চলেছে ইউরোপা লিগে। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড (Manchester United) বনাম বার্সেলোনার (Barcelona) ম্যাচ আসলে দুটো টিমের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠতা করার ম্যাচ ছিল। আর সেই ম্যাচে বার্সেলোনাকে ২-১ গোলে ইউরোপা লিগের শেষ ষোলোয় পৌঁছে গেল এরিক টেন হ্যাগের টিম।বার্সার হয়ে একমাত্র গোল রবার্ট লেওয়ানডস্কি (Robert Lewandowski)। তাও আবার পেনাল্টি থেকে। ফ্রেড আর অ্যান্টনির গোলের ম্যাচ নিজেদের পকেটে পুরে নেয় ইউনাইটেড। লেওয়ানডস্কির গোলের জবাবে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল করেন ফ্রেড।ম্যাচের ফলাফল তখন ১-১। তারপর নির্ধারিত সময়ের প্রায় ২০ মিনিট আগে দ্বিতীয় গোল করেন অ্যান্টনি। আর এতেই ম্যাঞ্চেস্টারের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। সব মিলিয়ে ৪-৩ গোলে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করল ম্যান ইউনাইটেড। TV9 Banglaয় রইল বিস্তারিত।

কোচ এরিক টেন হ্যাগের তত্ত্বাবধানে দুরন্ত ফর্মে রয়েছে ইউনাইটেড। সেই ফর্মের নমুনা আবারও পাওয়া গেল বার্সেলোনার বিরুদ্ধে ম্যাচে। কোচ এরিকের প্রশিক্ষণে ৬ বছর পর আবার লিগ ফাইনাল জেতার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে ব়্যাশফোর্ডরা। রবিবার নিউক্যাসেলের বিরুদ্ধে কারবাও কাপের ফাইনাল খেলতে নামছে তারা। এই ফাইনাল জিতলে এরিকের মুকুটে আরও এক পালক যোগ হবে। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ক্লাব দীর্ঘদিন সাফল্যের মধ্যে নেই। ৩৭ বছরের ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে ১২ বছর পর ক্লাবে ফিরিয়ে সাফল্যের সন্ধানে নেমেছিল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। কিন্তু তা কাজে লাগেনি। উল্টে সিআর সেভেনের মতো তারকায় ঢাকা পড়ে গিয়েছিল টিম। এরিক কোচ হয়ে আসার পরই টিমের সবার জন্য একই নিয়ম চালু করেছেন। তখন থেকেই রোনাল্ডোর সঙ্গে ঝামেলার সূত্রপাত। সিআর সেভেনকে ছেঁটেও ফেলা হয় যার জেরে। সেই সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না, তা প্রমাণ করে দিচ্ছেন এরিক।

বার্সার বিরুদ্ধে জয় ধরলে ওল্ড ট্রাফোর্ডে টানা ১৮টি ম্যাচে অপরাজিত থাকল ম্যাঞ্চেস্টার। অন্য দিকে বায়ার্ন মিউনিখ ও ইন্তার মিলানের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে যায় বার্সা। গত অক্টোবর অবধি সমস্ত চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা ছিল তারা। সেই বার্সাকেই হারিয়ে ইউরোপা লিগের শেষ ষোলোতে পা দিল রেড ডেভিলরা। অ্যান্টনিকে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নামিয়েছিলেন ম্যাঞ্চেস্টার কোচ। তিনিই সাফল্য এনে দিলেন ক্লাবকে।

খেলা শুরুর তিন মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে দেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পান ব্রুনো ফার্নান্ডেজ। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন বার্সার গোলরক্ষক আন্দ্রে টের স্টেগেন। ম্যাচের ১৮ মিনিটের মাথায় লেওয়ানডস্কির পেনাল্টিটি প্রতিহত করার চেষ্টা করেন ইউনাইটেড গোলরক্ষক ডি গিয়া। কিন্তু ব্যর্থ হন। কিন্তু ম্যাচে প্রথম গোল পেয়েও শেষমেশ হার বাঁচাতে পারল না বার্সেলোনা। গোটা ম্যাচে আর সেরকম ভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি বার্সার ফুটবলাররা। চোটগ্রস্থ পেদ্রি এবং নির্বাসিত জাভি না থাকায় মাঝমাঠেও নিষ্প্রভ দেখাল তাদের।

Leave a Reply