East Bengal vs ATK Mohun Bagan, Kolkata Derby: প্রতি বছরই তো দলগঠনে দেরি হয়। প্রভাব পড়ে পারফরম্যান্সে। এ বারও সুযোগ থাকতেও যদি এ ভাবে দেরি করে ম্যানেজমেন্ট, সেই ব্যর্থতার দায় কে নেবে?
কলকাতা: টানা আট ডার্বিতে হার। বড় ম্যাচে হারটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের কাছে। এত করুণ দশা এর আগে ময়দান হয়তো দেখেনি। এ দিন ইস্টবেঙ্গলের গ্যালারিও সে ভাবে ভরেনি। তবে যারা ডার্বি দেখতে এসেছিলেন, তারা বিমর্ষ হয়েই মাঠ ছাড়লেন। মোহনবাগানের টিপ্পনিতে নাজেহাল লাল-হলুদ সমর্থকরা। শেষ চার বছরে কোনও বড় ম্যাচ জেতেনি ইস্টবেঙ্গল। কোচ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন ম্যাচের পর অবশ্য অজুহাত বজায় রাখলেন। খারাপ রেফারিংয়ের কথা শোনা গেল তাঁর মুখে। বললেন, ‘ক্লেটনকে যে ভাবে ফাউল করা হয়েছিল, ওটা ফাউল দেওয়া উচিত ছিল। আমরা একটা পেনাল্টিও পেতে পারতাম।’ আর কী বললেন স্টিফেন? বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
প্রথমার্ধে তুল্যমূল্য লড়াই চালালেও দ্বিতীয়ার্ধে খুঁজেই পাওয়া গেল না ইস্টবেঙ্গলকে। মরসুম শেষে ইস্টবেঙ্গলের প্রাপ্তি কী? উত্তর অজানা। যদিও কোচ কনস্ট্যান্টাইন নিজের ঢাক পিটিয়ে বলতে ছাড়লেন না, এই আইএসএলে ৬টা ম্যাচ জয়ের কথা।
বড় ম্যাচে নাওরেম মহেশকে একটু ভেতর থেকে খেলালেন কনস্ট্যান্টাইন। যদিও তাঁর সঠিক কারণ একমাত্র কোচই বলতে পারবেন। বড় ম্যাচ হেরেও অবশ্য ফুটবলারদের মধ্যে কোনও আফশোস নেই। কারণ তাঁরা এই হারে বোধহয় অভ্যস্থ হয়ে গিয়েছেন। শরীরী ভাষাতেও নেই কোনও পরিবর্তন। ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ফুটবলার বিকাশ পাঁজি তো বলেই দিলেন, ‘এরকম লজ্জার চেয়ে আইএসএল ছেড়ে আই লিগ খেলুক ইস্টবেঙ্গল।’
ইস্টবেঙ্গলের ম্যানেজমেন্টের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। দলে ভারতীয় ফুটবলারের মান নিয়ে তো প্রশ্ন তুলেছেন খোদ কোচই। সামনে সুপার কাপ। তাতেও এই ইস্টবেঙ্গলের কাছ থেকে প্রত্যাশা রাখা উচিত নয়।
পরের বছর কি থাকছেন স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন? বললেন, ‘আমার সঙ্গে মে পর্যন্ত চুক্তি। পরের বছরের চুক্তি নিয়ে কথা হলেও কিছু ফাইনাল হয়নি। তাই যতক্ষণ না কিছু ফাইনাল হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি পরের বছরের দলও গোছাতে পারছি না।’ প্রতি বছরই তো দলগঠনে দেরি হয়। প্রভাব পড়ে পারফরম্যান্সে। এ বারও সুযোগ থাকতেও যদি এ ভাবে দেরি করে ম্যানেজমেন্ট, সেই ব্যর্থতার দায় কে নেবে?