PSL 2023: লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে লুঠপাট, সিকিউরিটি ক্যামেরা খুলে নিয়ে গেল চোর!


চোর বাবাজি বহু চেষ্টা করেও অবশ্য নিজেকে লুকোতে পারেনি। স্টেডিয়ামের বাইরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, লুঠ করা সামগ্রী নিয়ে চম্পট দিচ্ছে চোর।

Image Credit source: Twitter

লাহোর: নিরাপত্তার খাতিরে বসানো হয় সিসিটিভি। বাইরের লোকজনের আগাগোনার উপর নজর রাখতে, চুরির উপদ্রব ঠেকাতে সিসি ক্যামেরা খুব গুরুত্বপূর্ণ। অথচ নিরাপত্তার খাতিরে বসানো সেই ক্যামেরাগুলোই তুলে নিয়ে গেল চোর (Pakistan Cricket)। ঘটনাটি পাকিস্তানের গদ্দাফি স্টেডিয়ামের (Gaddafi Stadium)। যেখানে আন্তর্জাতিক স্তরের ম্যাচ খেলা হয়। বর্তমানে পাকিস্তান সুপার লিগের ম্যাচ খেলা হচ্ছে। দেশ-বিদেশের ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা জড়িয়ে রয়েছে। সেই স্টেডিয়ামের মোট আটটি সিকিউরিটি ক্যামেরা (Security Camera Stolen) রাতারাতি চুরি হয়ে গেল। রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারির এই চুরির ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে। শুধু ক্যামেরাই নয়, জেনারেটরের ব্যাটারি, ফাইবার কেবলস, পিএসএলের ম্যাচ মনিটর এবং লাইভ রেকর্ডিংয়ের জন্য যা যা প্রয়োজন সবই গায়েব। সব মিলিয়ে পাকিস্তানি মুদ্রায় কত টাকার চুরি গেল? তুলে ধরল TV9 Bangla-য়।

চোর বাবাজি বহু চেষ্টা করেও অবশ্য নিজেকে লুকোতে পারেনি। স্টেডিয়ামের বাইরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, লুঠ করা সামগ্রী নিয়ে চম্পট দিচ্ছে চোর। এই ঘটনায় দুটি আলাদা কেস দায়ের হয়েছে। গুলবার্গ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অন্তত এই বিষয়ে তদন্তকারীদের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে কয়েক লাখ টাকার সামগ্রী চুরি গিয়েছে। চুরির ঘটনার পর সূচি অনুযায়ী লাহোর ও রাওয়ালপিণ্ডি স্টেডিয়ামে পিএসএলের যে ম্যাচগুলি আয়োজিত হওয়ার কথা ছিল সেগুলির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা শুরু হয়েছে।

স্টেডিয়ামের নিরাপত্ত দিকটি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এবং পাক সরকার মিলে দেখার দায়িত্ব। পিএসএলের নিরাপত্তার খরচ নিয়ে সরকার ও ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে সম্পর্কে অবনতি হয়েছে। পিসিবির দাবি না মেনে পিএসএল চলাকালীন নিরাপত্তার জন্য ৪৫০ মিলিয়ন থেকে ২৫০ মিলিয়ন খরচ কমিয়ে নিয়ে আসে পাকিস্তান সরকার। পিসিবিও সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে। এই বিষয়ে প্রাক্তন পাক বোর্ডের প্রধান রামিজ রাজা বলেন, “পিসিবি কোনওভাবেই উচিত নয় অন্যদের দায়িত্ব নিজেদের ঘাড়ে নেওয়া। স্টেডিয়ামের নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের।”

Leave a Reply