ইন্দোরের পিচের চরিত্র কেমন, ধন্দে অস্ট্রেলিয়া!


IND vs AUS, BGT 2023: নাগপুরের পর দিল্লি, তিন দিনে শেষ হয়ে গিয়েছে টেস্ট ম্যাচ। ইন্দোরে কি তেমনই কিছু হবে? বাইশ গজে নেমে পড়ার আগে পিচের চরিত্রে রীতিমতো বিভ্রান্ত অস্ট্রেলিয়া।

Border-Gavaskar Trophy: ইন্দোরের পিচের চরিত্র কেমন, ধন্দে অস্ট্রেলিয়া!

Image Credit source: Twitter

ইন্দোর: বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে (Border-Gavaskar Trophy) এখনও পর্যন্ত নিজেদের খুঁজে পায়নি অস্ট্রেলিয়া (Australia)। সিরিজে ০-২ এ পিছিয়ে অজিরা। রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) ভারতীয় টিম চমৎকার ক্রিকেট খেলছে। নাগপুর ও দিল্লির পর এ বার ইন্দোর। হোলকার স্টেডিয়ামে হতে চলেছে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট। কিন্তু এই মাঠের পিচ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধন্দ। বোঝাই যাচ্ছে না পিচের চরিত্র। অনেকে মনে করছেন, এটি লাল মাটির পিচ। অনেকের দাবি, এটি কালো মাটির পিচ। কিন্তু দুই দলের ক্রিকেটাররা কী ভাবছেন? পিচের কোন প্রত্যাশিত চরিত্র মাথায় নিয়ে মাঠে নামবেন তাঁরা? TV9Bangla-য় রইল বিস্তারিত।

ভারতের পরিবর্তিত আবহাওয়া মানেই মাঠ থেকে মাঠের পিচ পরিবর্তন। এক দিকে, দক্ষিণের মাঠগুলিতে যেমন লাল মাটির পিচ দেখা যায়, তেমনই উত্তরের মাঠগুলিতে দেখা যায় কালো মাটির পিচ। কিন্তু মাটির রঙের সঙ্গে পিচের চরিত্রের কি পরিবর্তন হয় ? কেনই বা এত মাহাত্ম রাখে মাটির রং? লাল মাটির পিচ মানেই বাউন্স। খেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পিচ ভাঙতে শুরু করে। পঞ্চম দিন অবধি খেলা গড়ালে সেই পিচের সঙ্গে রোলাঁ গারোর সুরকির মাঠের সঙ্গে কোনও পার্থক্যই থাকে না এই পিচগুলির। ফাস্ট বোলাররা যেমন বাউন্স পান, সে রকমই স্পিনাররাও সাহায্য পান পিচ থেকে। পিচের ঘূর্ণি তাঁদের সাহায্য করে। এই পিচে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ জল না দেওয়া হয় তা হলে দ্রুত ভাঙতে থাকে এই লাল মাটির পিচ। যা ব্যাটারদের জন্য বেশ মুশকিলের ব্যাপার। চিন্নাস্বামী, ওয়াংখেড়ের পিচ হল এই ধরনের পিচ।

অন্য দিকে, কালো মাটির পিচ মানে কম বাউন্স। জল দেওয়া হলে কালো মাটি নিজের গঠন ধরে রাখতে পারে। ফলে পিচ তাড়াতাড়ি ভেঙে যায় না। ব্যাটারদের জন্য এটি খুবই ফলপ্রসূ। ব্যাটে বলে আসে সাবলীল। যার ফলে বড় বড় শট নিতে পারেন তাঁরা। দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা, মোহালি এবং ইডেনে রয়েছে এ ধরনের কালো মাটির পিচ। মজার ব্যাপার হল, ইন্দোরের পিচে এই দুই ধরনের চরিত্রই রয়েছে। পিচের ওপরের স্তরে রয়েছে লাল মাটি। খেলার অন্তিম দিনগুলিতে যখন এই স্তর নষ্ট হয়ে কালো মাটি বেরিয়ে আসার পরেই শুরু হবে আসল ক্রিকেট। সেই সময়ে দুই দলের ক্রিকেটাররা কী ভাবে এমন পিচের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নেন সেটাই সবচেয়ে বড় পরীক্ষা।

আগের দুটো টেস্ট পাঁচদিন গড়ায়নি। যে কারণে বিসিসিআইকে বেশ সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। ইন্দোরের ভারত-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছে হোলকার স্টেডিয়াম এবং তার দর্শকরা। তাই খেলা যাতে লম্বা গড়ায় সে দিকে নজর রাখা হয়েছে, এমনই বলা হচ্ছে। তা কি হবে। নাকি, অন্য কিছুর সাক্ষী থাকতে হবে। সিরিজে ০-২ পিছিয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়ার কাছে ইন্দোর আবার বড়সড় পরীক্ষা হতে চলেছে।

Leave a Reply