রবি শাস্ত্রীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার হুমকি! তারপর?


Cricket Retro Story: এই জবাব শুনে মাইক হুইটনির আর কিছুই বলার ছিল না। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বসাকুল্য়ে ১২টি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন মাইক হুইটনি। পরবর্তীতে ক্রীড়া সঞ্চালক হিসেবেও কাজ করেন। সেটা থেকেও অবসর নিয়েছেন।

Image Credit source: twitter

কলকাতা: চলছে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি। ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট মানেই ঘটনা বহুল। একটা সময় অবশ্য় ভারত শুধুই শ্রোতা ছিল। অস্ট্রেলিয়া একচেটিয়া স্লেজিং করে গেলেও ভারতীয় ক্রিকেটাররা মুখে রা কাড়তেন না। সবার ক্ষেত্রে এমন ছিল তা নয়। এখন অবশ্য় পরিস্থিতি পাল্টেছে। অস্ট্রেলিয়া হোক বা অন্য় কোনও দল, স্লেজিং করলে পাল্টা দিতে প্রস্তুত থাকে টিম ইন্ডিয়া। তা সে বিরাট কোহলিই হোক কিংবা ঋষভ পন্থ। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে গিয়ে তাদের যেমন পারফরম্য়ান্সে জবাব দিয়েছে ভারতীয় দল, তেমনই মুখেও। টানা দু-বার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতেছে ভারত। মুখের লড়াইয়েও অজিদের কাঁবু করেছে। তবে এর আগেও এমন একটা ঘটনা ঘটেছিল। ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রীর খেলোয়াড় জীবনে। তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এক অজি ক্রিকেটার। তারপর? যোগ্য় জবাবও দিয়েছিলেন রবি শাস্ত্রী। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।

একটা সময় ভারতীয় দলের দক্ষ অলরাউন্ডার ছিলেন রবি শাস্ত্রী। তাঁর ব্য়াটিংয়ে কেরিয়ার শেষ হতে বসেছিল প্রয়াত কিংবদন্তি লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্নের। পরবর্তীতে শেন ওয়ার্ন কামব্য়াক করলেও, অনেক বারই সেই প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। রবি শাস্ত্রী তাঁর বোলিংয়ে এত মেরেছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভবিষ্যৎ অনিশ্চিৎ হয়ে পড়েছিল ওয়ার্নের। যদিও শাস্ত্রীর সঙ্গে এই ঘটনায় শেন ওয়ার্ন নন, জড়িয়ে অন্য় এক ক্রিকেটার। তাঁর নাম মাইক হুইটনি। ১৯৯১-১৯৯২ মরসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিল ভারতীয় দল। একটা ম্যাচে ব্য়াট করছিলেন রবি শাস্ত্রী। মিড অফে বল ঠেলে দ্রুত একটা রান নিতে চেষ্টা করেছিলেন। মিড অফে ফিল্ডিং করছিলেন মাইক হুইটনি। অস্ট্রেলিয়ার বাঁ হাতি পেসার। সেই ম্যাচে যদিও সুযোগ পাননি তিনি। পরিবর্ত হিসেবে ফিল্ডিং করছিলেন। রবি শাস্ত্রীর রান নেওয়ার চেষ্টা দেখে চিৎকার করে তাঁর উদ্দেশ্য়ে বলেন, ‘ক্রিজ ছাড়লে মাথা ফাটিয়ে দেব।’

রবি শাস্ত্রী সে সময় যতই ঠান্ডা মাথার মানুষ হোন না কেন, তিনিও ছেড়ে দেননি। শান্ত অথচ কড়া জবাব দিয়েছিলেন। হুইটনিকে তাঁর পাল্টা জবাব, ‘তুমি মুখে যে ভাবে কথা বলছ, সে ভাবে যদি ব্য়াটিং-বোলিংটা ঠিকঠাক করতে পারতে, তা হলে তোমাকে আর দ্বাদশ ব্য়ক্তি হিসেবে ফিল্ডিং করতে হত না।’ এই জবাব শুনে মাইক হুইটনির আর কিছুই বলার ছিল না। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বসাকুল্য়ে ১২টি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন মাইক হুইটনি। পরবর্তীতে ক্রীড়া সঞ্চালক হিসেবেও কাজ করেন। সেটা থেকেও অবসর নিয়েছেন।

Leave a Reply