‘অন্ধকার’ থেকে WPL-র আলোয় বিশ্বকাপজয়ী সোনম


Sonam Yadav: সোনমের বাড়ি ফিরোজাবাদের কাছে। তাঁর বাড়ি থেকে তাজমহলের দূরত্ব ঘণ্টাখানেকের। সোনমের স্বপ্নগুলোও তাজমহলের মতোই সুন্দর। বাড়িতে এক ঝাঁক ট্রফি। ১০ বছর বয়সে ক্রিকেটে হাতেখড়ি। কয়েক বছরের মধ্যেই দারুণ উত্থান।

মুম্বই: বহু প্রতীক্ষা শেষে শুরু হতে চলেছে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ। ভারতে মেয়েদের ক্রিকেটের রূপরেখা পাল্টে দেবে এই লিগ। সকলেই জাতীয় দলে কিংবা অন্যান্য় দেশের ফ্র্য়াঞ্চাইজি ক্রিকেটে সুযোগ পান না। অনেকের ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন অল্পতেই শেষ হয়ে যায়। উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের মাধ্য়মে এমন কিছু ক্রিকেটারের অন্তত ভবিষ্যৎ বদলে যাবে বলাই যায়। তেমনই একজন সোনম যাদব। ভারতের হয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে খেলেছেন। চ্য়াম্পিয়ন দলের সদস্য সোনম। তাঁর ক্রিকেট ভবিষ্যৎ নিয়েও হয়তো প্রশ্ন উঠত। উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের নিলামে তাঁকে ১০ লক্ষ টাকার বেস প্রাইসে কেনে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ আপাতত তাঁর জীবনে নতুন আলো এনেছে, বলাই যায়। কেনই বা এমন বলা হচ্ছে, বিস্তারিত TV9Bangla-য়।

সোনম যাদবের বাবা একটি কাচের কারখানার শ্রমিক। উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের ১০ লক্ষ টাকার চেক আইপিএলের সঙ্গে তুলনায় আনলে খুবই সামান্য। তবে সোনমের বাবার মাসিক আয়ের নিরিখে দশ গুণ। আর আলোয় ফেরা কেন বলা হচ্ছে! আর্থিক ভাবে তো অবশ্যই, বাস্তবেও। সোনমের গ্রামে লোডশেডিং নতুন নয়। অহরহ এমনটা হয়ে থাকে। তাঁর জীবনের মতোই। তবে এই একটা টুর্নামেন্ট তাঁর গ্রামে খুশির হাওয়া এনেছে। একদিকে বিশ্বকাপ জয় অন্য় দিকে, উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মতো দলে সুযোগ পাওয়া। তাঁর গ্রাম, পরিবারে এক রাশ খুশির হাওয়া।

সোনমরা ছয় ভাইবোন। বাবার উপার্জনে সংসারের হাল কী হতে পারে, সহজেই অনুমান করা যায়। এর উপর ক্রিকেটের সরঞ্জামের খরচ। জুতো কিনতেই পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যেত। এই বাঁ হাতি স্পিনারের কথায়, ‘আমার অনেক স্বপ্ন আছে। আমি পরিবারকে বড় কোনও রেস্তোরাঁয় ডিনারে নিয়ে যেতে চাই। বাবাকে একটা বড় গাড়ি উপহার দিতে চাই।’ সোনমের বাড়ি ফিরোজাবাদের কাছে। তাঁর বাড়ি থেকে তাজমহলের দূরত্ব ঘণ্টাখানেকের। সোনমের স্বপ্নগুলোও তাজমহলের মতোই সুন্দর। বাড়িতে এক ঝাঁক ট্রফি। ১০ বছর বয়সে ক্রিকেটে হাতেখড়ি। কয়েক বছরের মধ্যেই দারুণ উত্থান। সোনমের বাবা মুকেশ কুমারের কথায়, ‘ক্রিকেটের এত দামী সরঞ্জাম কিনে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না। কোনও টুর্নামেন্টে ট্রায়ালের যাওয়ার সময়ও অন্য়ের জুতো ধার করে যেতে হত। ছেলে স্কুল যাওয়া বন্ধ করে কাজে ঢোকে। আমি দুই শিফ্টে কাজ করতাম। একটাই লক্ষ্য, ওর স্বপ্ন পূরণ করা।’ শনিবার শুরু হচ্ছে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ। এখন খেলার সুযোগের অপেক্ষায় সোনম।

Leave a Reply