Border-Gavaskar Trophy: সবমিলিয়ে তৃতীয় টেস্টে যেন তিন প্রতিপক্ষ। ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং বহু সমালোচিত পিচ। শেষ হাসি কে হাসবে? কোনও এক দলের কাছে ইন্দোরের পিচ ‘ ভিলেন ‘ হয়ে দাঁড়াবে, এ কথা বলা যায়।
Image Credit source: twitter
ইন্দোর: ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম দুটি টেস্টে হেরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে প্যাট কামিন্সদের (Pat Cummins)। প্রশ্ন উঠেছে তাঁর অধিনায়কত্ব নিয়েও। ব্যক্তিগত কারণে দেশে ফিরেছেন কামিন্স। স্টিভ স্মিথের নেতৃত্বে তৃতীয় টেস্ট খেলছে অস্ট্রেলিয়া। সেই সমস্ত খোঁচা ভুলে ইন্দোরে খেলছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে অনবদ্য বোলিং অজি স্পিনারদের। কিন্তু অনেকে মনে করছেন, দক্ষতা নয় শুধুমাত্র পিচের জন্যই এত ভালো পারফরম্যান্স অজি স্পিনারদের। গত দুই ম্যাচের মতো ইন্দোরেও ব়্যাঙ্ক টার্নার (Indore Test)। প্রথম দিনেই পিচের এই ঘূর্ণি দেখে কেউ কেউ আবার এই পিচকে টেস্টের অযোগ্য বলেও আখ্যা দিচ্ছেন। ঠিক এরকমই শোনা গেল প্রাক্তন অজি ক্রিকেটারদের (Former Australian Cricketer) মুখে। কী বললেন তাঁরা? TV9Bangla-য় রইল বিস্তারিত।
ইন্দোরের পিচ নিয়ে বিরক্ত প্রাক্তন অজি অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। এমনকি এই পিচকে জঘন্য বলেছেন তিনি। ক্লার্ক মনে করছেন, “দেখে মনে হচ্ছে টেস্টের প্রথম দিনেই পিচের অবস্থা তৃতীয় দিনের মতো হয়ে গিয়েছে। উপরের স্তরের ধুলোর কারণেই স্পিনাররা সাহায্য পেয়েছে। ভারত ৭০ রানেই অল আউট হয়ে যেতে পারতো”। একইরকম বিরক্তি শোনা গেল প্রাক্তন অজি ব্যাটার মার্ক ওয়ার কথায়। ইন্দোরের পিচকে, আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অযোগ্য বলে মনে করছেন তিনি। “প্রথম কুড়ি মিনিটেই বল অপ্রত্যাশিতভাবে বাউন্স করছে। কোনও বল বাউন্স হচ্ছে তো কোনও ডেলিভারি নীচু হয়ে আসছে। যত ভালো ব্যাটারই হোক না কেন, ভাগ্য না থাকলে কেউই রান পাবে না এই পিচে”।
অস্ট্রেলিয়ার আর এক প্রাক্তন ওপেনার ম্যাথিউ হেডেনও পিচ নিয়ে বিরক্ত। নিজের সময়ে বিধ্বংসী ব্যাটার ছিলেন তিনি। যে কোনও পিচেই বোলারদের ত্রাস ছিলেন হেডেন। ইন্দোরের পিচ নিয়ে তিনি বলেন “এই জন্যই এই ধরনের পরিস্থিতিতে আমার আপত্তি। টেস্টে ৬ ওভারের মধ্যে স্পিন বোলিং দেখা যাবে, এটি কখনোই ভাবা যায় না। বল প্রায় ৫ ডিগ্রি ঘুরছে, তাও আবার প্রথম দিনে। এটা অপ্রত্যাশিত। তৃতীয় দিনে সাধারণত এই ছবি দেখা যায়।” সবমিলিয়ে তৃতীয় টেস্টে যেন তিন প্রতিপক্ষ। ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং বহু সমালোচিত পিচ। শেষ হাসি কে হাসবে? কোনও এক দলের কাছে ইন্দোরের পিচ ‘ ভিলেন ‘ হয়ে দাঁড়াবে, এ কথা বলা যায়।