Franchise Cricket : ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের বাড়বাড়ন্তে চাপা পড়ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট! শঙ্কায় এমসিসি


International Cricket: এমসিসির এই সংশয় খুবই যথার্থ। বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটাররা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট নিয়ে এত ব্যস্ত যে, নিজের দেশের ক্রিকেটে সে ভাবে সময় দিতে পারছেন না। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের আর্থিক দিকটা খুবই আকর্ষণীয়। যার ফলে ক্রিকেটাররা সে দিকেই আরও বেশি ঝুঁকে পড়ছে।

Image Credit source: twitter

দুবাই: বিশ্বজুড়ে এখন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের (Franchise Cricket) রমরমা। মাত্র ২০ ওভারের ধামাকা ক্রিকেট দেখতে আগ্রহী আট থেকে আশি সকলেই। আইসিসি স্বীকৃত না হলেও বেশ কিছু টি১০ ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের জৌলুসে কিছুটা ম্লান হয়ে পড়ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। এমনটাই মনে করছে এমসিসি বা মেরিলিবোর্ন ক্রিকেট ক্লাব (Marylebone Cricket Club)। পরিস্থিতি এতটাই গম্ভীর যে, তারা চাইছে খুব শীঘ্রই যেন এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা হয় এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে (International Cricket) বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়। আসলে কী বলছে তারা? বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla-র এই প্রতিবেদনে।

বিভিন্ন ধরনের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের জন্মের ফলে আইসিসির ফিউচার টুর প্রোগ্রামে চাপ পড়ছে। এর ফলে ছোট দেশগুলি অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাচ্ছে এবং এক অসমতা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের মতো দেশগুলি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সম্পূর্ণ সুযোগ পাচ্ছে। আর টেস্ট স্বীকৃতি থাকা তথাকথিত ছোট দেশ যেমন আফগানিস্তান,আয়ারল্যান্ড ও জিম্বাবোয়ের মতো দেশগুলি সেরকম সুযোগ পাচ্ছে না ফিউচার টুর প্রোগ্রামের কারণে।এ বিষয়ে দুবাইয়ের বৈঠক সম্পর্কে এমসিসির তরফে বলা হয়েছে, “এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্যই হল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে কিভাবে রক্ষা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা। আগামী দশ বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কী পরিণতি হতে পারে সে বিষয়েও আলোচনা করা।” এমসিসির তরফে আরও বলা হয় যে, “২০২৩ সালে পুরুষদের ক্রিকেট জুড়ে শুধুই ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটই রয়েছে। যা আইসিসি ফিউচার টুর প্রোগ্রামের দ্বিপাক্ষিক সিরিজের সঙ্গে দ্বন্দ্ব তৈরি করছে”।

এমসিসির এই সংশয় খুবই যথার্থ। বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটাররা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট নিয়ে এত ব্যস্ত যে, নিজের দেশের ক্রিকেটে সে ভাবে সময় দিতে পারছেন না। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের আর্থিক দিকটা খুবই আকর্ষণীয়। যার ফলে ক্রিকেটাররা সে দিকেই আরও বেশি ঝুঁকে পড়ছে। তবে এর মধ্যেই অনেক ক্রিকেটার রয়েছেন, যারা এই লিগ ছেড়ে আন্তর্জাতিক খেলায় মনোনিবেশ করে চলেছেন। দেশের হয়ে সিরিজে যাতে বেশি চাপ না পড়ে সে জন্য অনেকে লিগ না খেলার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন। এই তালিকায় রয়েছেন ইংল্য়ান্ডের অলরাউন্ডার ক্রিস ওকস। জুন মাসে ঘরের মাঠে অ্যাসেজ খেলার জন্য আইপিএল থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমি এখনও মনে করি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট ও টেস্ট ক্রিকেটের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। বাধ্যতামূলকভাবেই সেই পার্থক্যকে খুঁজে বের করা উচিত।”

Leave a Reply