প্যারিস অলিম্পিকের সময় নজর দেওয়া হবে পরিবেশেও। আর তাই অ্যাথলিট ভিলেজে রাখা হচ্ছে না এয়ার কন্ডিশনার! এইরকম পরিস্থিতিতে কী করবেন অ্যাথলিটরা?
Paris Olympic: প্যারিস অলিম্পিকে নেই এয়ার কন্ডিশনার! কী করবেন অ্যাথলিটরা?
প্যারিস: আগামী বছর প্যারিস অলিম্পিক। যে সময় প্যারিসে অলিম্পিক (Paris Olympic ) অনুষ্ঠিত হবে, তখন সেখানে গ্রীষ্মকাল। এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে অ্যাথলিট ভিলেজে (Athlete Village) AC বা এয়ার কন্ডিশনার না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অলিম্পিক নিয়ামক সংস্থা। প্রবল দাবদাহ চলাকালীন অলিম্পিকের কারণে যাতে প্রকৃতিতে অতিরিক্ত চাপ না পড়ে (Commitment to Sustainability) সেই জন্যই এই রকম সিদ্ধান্ত। এমনটাই জানা যাচ্ছে আয়ারল্যান্ডের একটি ওয়েবসাইটে। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে আয়ারল্যান্ডের অ্যাথলিটদের উদ্দেশে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে উক্ত ওয়েবসাইটটি। কী নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে দেখে নিন TV9 Bangla -র এই প্রতিবেদনে।
আগামী বছরের ২৬ জুলাই শুরু হতে চলেছে প্যারিস অলিম্পিক। সেই সময় প্যারিসে তীব্র গরম। প্রায় ৪০ ডিগ্রি অবধি চড়ে যায় তাপমাত্রার পারদ। এরকম সময়ে অলিম্পিকের মতো একটি বড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে আসবেন দেশ বিদেশের নামী-অনামী অ্যাথলিটরা। কিন্তু আয়ারল্যান্ডের মতো ঠান্ডার দেশের অ্যাথলিটদের পক্ষে খুবই মুশকিল এই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। তার উপরে আবার থাকছে না এয়ার কন্ডিশনার।এ হেন অবস্থায় যাতে অ্যাথলিটদের কোনও অসুবিধা না হয়, সে কথা মাথায় রেখে নির্দেশিকা জারি করল the42.ie নামক ওই ওয়েবসাইটটি। তাদের নির্দেশ আয়ারল্যান্ডের অ্যাথলিটরা যেন এখন থেকেই বেশি তাপমাত্রায় প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেন। এটি করলে প্যারিসের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সুবিধা হবে ঠান্ডা দেশের প্রতিযোগীদের।
সেন্ট্রাল প্যারিসের উত্তরে ৭ কিলোমিটার দূরে সেন্ট ডেনিসে তৈরি হতে চলেছে বিশেষ অ্যাথলিট ভিলেজ। বিভিন্ন দেশের অ্যাথলিট এবং সাপোর্ট স্টাফ মিলিয়ে মোট ১৪ হাজার অ্যাথলিট থাকতে পারবেন এই ভিলেজে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এই অ্যাথলিট ভিলেজ বাইরের তাপমাত্রা থেকে ৬ ডিগ্রি কম থাকবে। এমনটাই জানিয়েছেন ভিলেজের ডিজাইনাররা। প্রায় ৪০ ছুঁইছুঁই তাপমাত্রার একটি দেশে অনেকেই সমস্যায় পড়বেন। বিশেষ করে যে দেশের অ্যাথলিট মূলত আসবেন ঠান্ডা আবহাওয়ার দেশ থেকে। সেই সব দেশের প্রতিযোগীরা এয়ার কন্ডিশনার ছাড়া কী ভাবে মানিয়ে নেন, সেটাই এখন দেখার। নিজেদের সেরা প্রদর্শন করে দেশকে পদক এনে দিতে পারবেন কিনা, দেখার অপেক্ষায় থাকবেন অনেকেই। আর এটাকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে চাইছে আয়ারল্যান্ডের মতো দেশগুলো।