IPL, RCB: আইপিএল-২০২৩ এ আরসিবির প্রথম ম্যাচ রয়েছে ২ এপ্রিল। সেই ম্যাচে ফাফ দু’প্লেসির দলের প্রতিপক্ষ রোহিত শর্মার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
Image Credit source: RCB Twitter
বেঙ্গালুরু: শিয়রে কড়া নাড়ছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। বর্তমানে হইহই করে চলছে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ। তার মধ্যেই ক্রিকেট ভক্তরা আইপিএল (IPL) শুরু হওয়ার দিন গোনা শুরু করে দিয়েছে। আসন্ন আইপিএলের আগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের তারকা অল-রাউন্ডার হর্ষল প্যাটেল (Harshal Patel) নিজের জীবনের কঠিন মুহূর্তের কথা তুলে ধরেছেন আরসিবির (RCB) পডকাস্টে। গত বছর, আইপিএল চলাকালীন হর্ষলের দিদি অর্চিতা প্যাটেল প্রয়াত হন। তিনি সেই সময় দলের সঙ্গেই ছিলেন। হঠাৎ করে দিদির প্রয়াণের খবর পাওয়ার পর, তিনি জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙে বাড়ি যান। সেই কঠিন সময়ে তিনি প্রতিদিন নিজের রুমে তিন-চার বার করে কাঁদতেন। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
২০২২ সালের এপ্রিলে আইপিএল চলাকালীন হঠাৎই শোকের ছায়া নেমে আসে আরসিবির তারকা হর্ষল প্যাটেলের জীবনে। আরসিবির পডকাস্টে হর্ষল জানান, তাঁর দিদি মারা যাওয়ার পর তিনি একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন। হর্ষল বলেন, “যখন আমার দিদি মারা গিয়েছিল, আমি এক সপ্তাহ ধরে শোকের মধ্যে ছিলাম। ও ৯ এপ্রিল (২০২২) মারা যায়। ওই সময় আমি কোয়ারেন্টাইনে ছিলাম। আমি তখন বাড়িতে ফিরে আমার ভাগ্নি, ভাগ্নে ও বাড়ির সকলের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। আমি ওদের কাছে গিয়ে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমরা ওই সময় ফোনেই কথা বলেছিলাম। কারণ ওই একটাই মাত্র বিকল্প ছিল আমাদের কাছে। তার ঠিক সাত দিন পর আমার ছেলের জন্ম হয়। সেই সময় আমি সত্যিই বুঝতে পারতাম না যে, আমি কেমন অনুভব করছি। আমার আনন্দিত হওয়া উচিত, কিনা আমার দুঃখ পাওয়া উচিত ছিল। সেটা বোঝা আমার জন্য কঠিন হয়ে উঠেছিল। মনের মধ্যে সারাক্ষণ একটা ঢেউ উঠত।”
এরপর হর্ষল আরও বলেন, “ওই সময় দিদির কথা বার বার মনে পড়ত। যার ফলে আমার চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে আসত। আমি নিজের রুমে প্রতিদিন তিন-চার বার করে কাঁদতাম। তারপর আমি আমার ছেলের মুখটা যখন দেখতাম, তখন ভীষণ আনন্দ পেতাম। এমন একটা সুন্দর শিশুমুখ আমাকে সেই কষ্ট থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করেছিল।”
সকলেই জীবনে কোনও না কোনও সময় কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যান। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই কঠিন পরিস্থিতি কাটিয়েও ফেলেন। হর্ষলও পেরেছিলেন কঠিন সময় পেরিয়ে আসতে। তিনি বলেন, “যখন ভালো কিছু ঘটে বা খারাপ কিছু ঘটে তখন আমি স্থিতিশীল থাকতে চাই। ওই দুই সপ্তাহ আমার কাছে নিজেকে দেখার একটা চ্যালেঞ্জ ছিল, যে কতটা ভালোভাবে আমি এই কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারি। আমি আমার পরিবারকে সর্বোত্তম উপায়ে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেছি এবং ওরাও আমাকে সর্বোত্তম উপায়ে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। এবং আমরা এটির মধ্য দিয়ে এসেছি। আপনি যদি নিজের সঙ্গে সৎ না থাকেন তবে সেটা বোকার মতো কাজ হবে। আপনি কেন খুশি নন বা কেন আপনি সফল নন তার কারণগুলি খোঁজার জন্য যদি আপনি ক্রমাগত নিজের বাইরের কারণগুলি খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন তা হলে আপনি সঠিক পথে এগোচ্ছেন না। তাই বাইরে যা হচ্ছে সেই বিষয়গুলি আমাকে যাতে আলোড়িত না করে সেদিকেই আমি লক্ষ্য রাখার চেষ্টা করে গিয়েছি। যখন খারাপ সময় গিয়েছে, আমি অন্যের ভরসার পাত্র হওয়ার চেষ্টা করেছি।”