ATK Mohun Bagan : বিমানবন্দরে টিম পৌঁছতেই গর্জনে কান পাতা দায়। ‘আমরা কারা মোহনবাগান’ আওয়াজটা শুধু যেন কলকাতায়ই আটকে ছিল না। বাতাসে ধাক্কা খেয়ে ছড়িয়ে পড়ছিল দেশজুড়ে। আবারও ভারতসেরা মোহনবাগান।
বিমানবন্দরে চ্য়াম্পিয়নদের স্বাগত জানানোর মুহূর্ত। ছবি : রাহুল সাধুখাঁ
কলকাতা : এই রেশ কাটতে অন্তহীন সময় লাগার কথা। কলকাতা বিমানবন্দরের এক নম্বর গেটের সামনে সকাল থেকেই ভিড়। মোহনবাগান সমর্থকরা ফ্ল্য়াগ, ফেস্টুন এবং চ্য়াম্পিয়ন লেখা টি-শার্টে ট্রফির অপেক্ষা করছিলেন। দুপুর ১২.৩০ নাগাদ কলকাতার পৌঁছানোর কথা ছিল চ্যাম্পিয়ন দলের। মোহনবাগান সমর্থকদের কাছে গত ২৪ ঘণ্টা অনেক স্বস্তি দিয়েছে। প্রথমত আরও এক বার ভারতসেরা হয়েছে মোহনবাগান। তেমনই মোহনবাগান নামের সামনে থেকে সরে গিয়েছে ‘এটিকে’। এখন থেকে সবুজ মেরুন পরিচিত হবে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস। কলকাতায় নিম্নচাপ। কিছুক্ষণ পরপরই বৃষ্টি নামছে। আবার বিরতিও নিচ্ছে। ঠিক এমন পরিস্থিতিই হয়েছিল শনিবার রাতেও। প্রতিটি মুহূর্তে ম্য়াচের রং বদলেছে। অবশেষে টাইব্রেকারে বেঙ্গালুরু এফসিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নও হয়েছে মোহনবাগান। বৃষ্টি হোক বা রোদ। তাতে কী! মোহনবাগান সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে কোনও কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
এয়ারপোর্ট থেকে চ্য়াম্পিয়ন মোহনবাগান দল পৌঁছায় আরপিএসজি কার্যালয়ে। সেখানে চ্য়াম্পিয়নদের জন্য় মঞ্চ প্রস্তুত ছিল। বাঁধনহারা উচ্ছ্বাসে ভাসল সবুজ মেরুন শিবির। ম্য়াচের পর গোয়ায় সেলিব্রেশন হয়েছে। কিন্তু শহরে ফিরে উৎসবের অনুভূতিই আলাদা। দলের অধিনায়ক এটা আরও ভালো জানেন। এর আগে মোহনবাগানের হয়ে আই লিগ জেতার সময়ও দেখেছিলেন এই বাঁধনহারা উচ্ছ্বাস। বিমানবন্দর থেকে টিম বাসের সঙ্গী হয়েছিলেন মোহনবাগান সমর্থকরাও। ক্লাব তাঁবু অবধি মহামিছিল করে সমর্থকরা পৌঁছেছিলেন ক্লাবে। এ বারও তার অন্য়থা হবে না এটাই স্বাভাবিক। আসলে ট্রফিটা তো সমর্থকদেরই। ফুটবলাররা যেমন মাঠে নেমে লড়াই করছেন, খেলছেন। তাদের শক্তি জোগান সমর্থকরাই।
বিমানবন্দরে টিম পৌঁছতেই গর্জনে কান পাতা দায়। ‘আমরা কারা মোহনবাগান’ আওয়াজটা শুধু যেন কলকাতায়ই আটকে ছিল না। বাতাসে ধাক্কা খেয়ে ছড়িয়ে পড়ছিল দেশজুড়ে। আবারও ভারতসেরা মোহনবাগান। পুরো দেশ জানে। সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ১২০ মিনিটেও খেলার নিষ্পত্তি হয়নি। ম্য়াচ গড়িয়েছিল টাইব্রেকারে। তেমনই ফাইনালও। ১২০ মিনিট লড়াই করে ফের টাইব্রেকারে জয়। ফুটবলাররা ক্লান্ত হলেও চোখে মুখে তার ছাপ নেই। সমর্থকদের ভালোবাসায় ডুবে গিয়েছেন পুরোপুরি। টিম বাসে উঠে সমর্থকদের অভিনন্দন গ্রহণ করতে এবং তাদের কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুললেন না সবুজ মেরুন ফুটবলাররাও।