Emami East Bengal: ইস্টবেঙ্গলের তরফে আরও জানানো হয়েছে, আইএসএলের মতো দেশের এক নম্বর টুর্নামেন্টে যে সমস্ত দল চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে থাকে, তারা ৪৫ থেকে ৬০ কোটি টাকার টিম করে। সেখানে ইস্টবেঙ্গল ১৮-২০ কোটি টাকার টিম গড়তে পেরেছে।
Image Credit source: ISL, FILE
কলকাতা : বহু প্রত্য়াশা নিয়ে মরসুম শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল। ইনভেস্টর নিয়ে মরসুমের শুরুতে অনেক দামামা। পুরনো ইনভেস্টররা চলে যাওয়ায় ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল খেলাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। শেষ অবধি ইনভেস্টর হিসেবে ইমামিকে পায় ইস্টবেঙ্গল। তত দিনে বাকিরা শক্তিশালী দল গুছিয়ে নিয়েছে। দেশি-বিদেশি নানা ফুটবলার সই করালেও তাদের মান নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছিল। ডুরান্ড কাপ, ইন্ডিয়ান সুপার লিগের মতো টুর্নামেন্টে ব্য়র্থতা। বারবার ফুটবলারদের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইস্টবেঙ্গলের ব্রিটিশ কোচ স্টিফেন কনস্ট্য়ান্টাইন। অতীতে ভারতের জাতীয় দলের কোচ ছিলেন স্টিফেন। ইস্টবেঙ্গলের কোচ হিসেবে তিনি ব্য়র্থ। যদিও ব্য়র্থতার দায় চাপিয়েছেন ফুটবলারদের উপরই। আগামী মরসুমে কি কোনও উন্নতি হবে? এ বার আগে ভাগে দল গোছানোর কাজে নামতে চায় ইস্টবেঙ্গেল। বিস্তারিত TV9bangla-য়।
ইস্টবেঙ্গলের তরফে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নানা বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার ইনভেস্টরের সঙ্গে আলোচনায় বসছে। গত মরসুমে দল গঠনে কী সমস্য়া হয়েছিল, এ বার যাতে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেটাই লক্ষ্য। এর আগে ইস্টবেঙ্গলের তরফে ফুটবলারদের একটি তালিকা পাঠানো হয়েছিল। ইমামির সঙ্গে চুক্তি হওয়ার পর সময় কম থাকায় ভালো দল গড়া যায়নি, এমনটাই মত ইস্টবেঙ্গল ক্লাবেরও। তাদের অভিযোগ, ‘ইমামির সঙ্গে যখন সংযুক্তিকরণ হয়, সময় কম থাকায় টিম গঠন প্রক্রিয়া সফল হতে পারেনি। পরবর্তীতে তার সুযোগ থাকলেও বিনিয়োগকারী সংস্থা সেটাকে কাজে লাগাতে পারেনিI’
ইস্টবেঙ্গলের তরফে আরও জানানো হয়েছে, আইএসএলের মতো দেশের এক নম্বর টুর্নামেন্টে যে সমস্ত দল চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে থাকে, তারা ৪৫ থেকে ৬০ কোটি টাকার টিম করে। সেখানে ইস্টবেঙ্গল ১৮-২০ কোটি টাকার টিম গড়তে পেরেছে। এই বিশাল আর্থিক পার্থক্যটাই চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়েও পার্থক্য করে দেয় বলে মত ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের। পাশাপাশি ফুটবলারদের পারিশ্রমিক বাড়ানোরও আবেদন করা হবে, এমনটাই জানানো হয়েছে ক্লাবের তরফে।