Mohun Bagan: ইস্টবেঙ্গলের অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করলেন না বাগান সচিব। বরং অন্য স্ট্র্যাটেজিতে সেই জবাব দিলেন।
Image Credit source: নিজস্ব চিত্র
কলকাতা: কলকাতা ময়দানে এ যেন চলছে দোষারোপের পালা। বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ইমামি হাউজের সামনে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) সমর্থকরা প্রচুর বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। ইস্টবেঙ্গলের এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য় রজত গুহ দাবি করেছিলেন যে, মোহনবাগান (Mohun Bagan) সচিব দেবাশিস দত্ত লাল-হলুদ সমর্থকদের বিক্ষোভের সেই ভিডিয়ো ইমামি ইস্টবেঙ্গলের অন্যতম ডিরেক্টর আদিত্য আগারওয়ালকে পাঠিয়েছেন। ইস্টবেঙ্গলের অভিযোগ শুনে ‘ধরি মাছ, না ছুঁই পানি’র মতো আচরণ করলেন বাগান সচিব দেবাশিস দত্তর। ইস্টবেঙ্গলের অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করলেন না বাগান সচিব। বরং অন্য স্ট্র্যাটেজিতে সেই জবাব দিলেন। কী বললেন বাগান সচিব? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
মোহনবাগানের সচিব দেবাশিস দত্ত বলেন, ‘আমার কাছে এই ধরণের কোনও ভিডিয়ো নেই। ফেসবুকে একটা ছবি দেখেছিলাম যে কিছু একটা হয়েছে। তবে আমি এই ব্যাপারে জানি না। এটা ওদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমি সবসময় চাইব ইস্টবেঙ্গল তাড়াতাড়ি ভালো দল গড়ে চ্যাম্পিয়ন হোক। আমি আগেও বলেছি, মোহনবাগান প্রত্যেক বার আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হবে, সেটা হতে পারে না। ইস্টবেঙ্গল ভালো টিম গড়লে আইএসএলে লড়াইটা বজায় থাকবে। কারা বিরোধিতা করছে, নীতুর বাহিনী নাকি অন্য কারও বাহিনী, আমি জানব কী করে? এটা ওদের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমার এতে বক্তব্য না রাখাই ভালো। ওরা কী বলেছে সেই নিয়েও আমি উত্তর দিতে চাই না। আমার মনে হয়, দু’টো ক্লাবেরই উচিত সামনে তাকানো। মোহনবাগান সাফল্য ধরে রাখার চেষ্টা করুক। আর ইস্টবেঙ্গল সাফল্য পাওয়ার চেষ্টা করুক। আমার বিরুদ্ধে কোথায় দেবব্রত সরকার কী বলেছে, জানি না। এমন ঘটনা ময়দানে অনেক ঘটে। সেগুলো নিয়ে আলোচনা করাটা ঠিক নয়। আমি আশাবাদী পরের বছর আইএসএলে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের যেন লড়াই ভালো হয়। এ বার ফাইনালে যেমন বেঙ্গালুরুর সঙ্গে খেলা হল, তেমন পরের বার যেন মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের ফাইনাল হয়।’
একটা সময় বলা হত, ইস্টবেঙ্গল থেকে কোয়েসের সরে যাওয়ার পেছনে বর্তমান মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্তের ইন্ধন ছিল। প্রথমে ঠিক হয়েছিল কোয়েস ইস্টবেঙ্গল আইএসএলে খেলবে। সেই সময় নাকি মোহনবাগানের উস্কানিতে আইএসএল খেলা থেকে পিছিয়ে আসেন ইস্টবেঙ্গলের বিনিয়োগকারী সংস্থার চেয়ারম্যান অজিত আইজ্যাক। তখন ঠিক হয় তারা আইএসএলে খেলবে না বরং আইলিগে খেলবে। বাগান সচিব জানান, অজিত আইজ্যাকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভালো। এরপরই ইস্টবেঙ্গল থেকে কোয়েসকে সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে বলেন বাগান সচিব। তাঁর কথায়, ‘কোয়েস, ইমামি, শ্রী সিমেন্ট বড় বড় কর্পোরেট সংস্থা। ওদের আমি একটা মেসেজ পাঠালে ওরা সেটা মেনে নেবে? একটা সময় বলা হয়েছিল, আমরা ইস্টবেঙ্গল ও কোয়েসের সম্পর্কে ভাঙচি দিয়েছি। যাতে ওরা মোহনবাগানের ইনভেস্টর হয়। উনি অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। তবে হ্যাঁ এটা ঠিক আমি ও টুম্পাই চেন্নাইতে ওঁর বাড়িতে গিয়েছিলাম। উনি আমাদের নিজে হাতে রান্না করে খাইয়েছিলেন। সেটা আমাদের ব্যক্তিগত স্তরে সম্পর্ক। ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে যখন কোয়েসের সম্পর্ক ছিন্ন হয়, তখন আমাদের ইনভেস্টর বা স্পনসর ছিল না। তখন টুটু বাবুর টাকাতেই চলত। যদি আমাদের উদ্দেশ্য ছিল ইস্টবেঙ্গল ও কোয়েসের সম্পর্ক ভাঙানো, তা হলে তখন তো আমরা কোয়েসকে নিয়ে আসতাম আমাদের ক্লাবে স্পনসর হিসেবে।’