IPL: জেনে নিন ১৯৮০-৯০ এর দিকে আইপিএল হলে অজয় জাডেজা, রবি শাস্ত্রীদের নেওয়ার জন্য ঝাঁপাত কোন দলগুলি, কতই বা উঠত তাঁদের দর?
যদি আইপিএল থাকত কপিল-শাস্ত্রীদের সময়, কে হতেন সবচেয়ে দামি প্লেয়ার?
নয়াদিল্লি: আইপিএল (IPL) মানেই কোটি কোটি টাকা। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের নিলাম টেবলে এক এক ক্রিকেটারকে নেওয়ার জন্য রীতিমতো দড়ি টানাটানি চলে। ২০০৭ সালে আইপিএলের অভিষেক হয়েছিল। টি-২০ (T20) ক্রিকেটে আলাদা মাত্রা যোগ করেছে এই আইপিএল। অতীতে আইপিএল ছিল না। টি-২০ ক্রিকেটও ছিল না। কিন্তু অতীতে বহু রত্ন ছিল ভারতীয় দলে। সেই সকল রত্নরা যদি আইপিএলে খেলার সুযোগ পেতেন, তা হলে হলফ করে বলা যায় তাঁদের কেনার জন্য একাধিক দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হত। ৮০-৯০ এর দশকে যদি আইপিএল থাকত, তা হলে সবচেয়ে বেশি দাম হয়তো পেতেন তিরাশির বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব (Kapil Dev)। তাঁর সতীর্থরাও পিছিয়ে থাকতেন না। TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে জেনে নিন ১৯৮০-৯০ এর দিকে আইপিএল হলে অজয় জাডেজা, রবি শাস্ত্রীদের নেওয়ার জন্য ঝাঁপাত কোন দলগুলি, কতই বা উঠত তাঁদের দর?
১৯৮০-৯০ এর দিকে আইপিএল হলে যে ভারতীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে নিলাম টেবলে ঝড় উঠত তাঁরা হলেন –
১) কপিল দেব – ১৯৮০-৯০ এর দিকে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ চালু হলে সবচেয়ে বেশি দর উঠত নিশ্চিতভাবেই কপিল দেবের। তিরাশির বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ককে দলে নেওয়ার জন্য হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হত ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির। হরিয়ানা হ্যারিকেনের জন্য যে কোনও দলই তাঁদের চেক বই নিয়ে তৈরি থাকতেন। এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সব দলের লড়াই হত তো বটেই, কিন্তু তাঁকে দলে নেওয়ার জন্য পঞ্জাব কিংস হয়তো এগিয়ে থাকত।
২) কৃষ্ণামাচারি শ্রীকান্ত – ১৯৮০-৯০ এর দিকে ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে পারদর্শী ছিলেন কৃষ্ণামাচারি শ্রীকান্ত। প্রতি ওভারেই যেন তিনি বাউন্ডারি মারার দিকে নজর দিতেন। আইপিএলে চার-ছক্কার ফুলঝুরি দেখা যায়। শ্রীকান্ত যদি আইপিএলে খেলতেন নিশ্চিতভাবে তাঁর প্রতিটা শটেই গ্যালারি থেকে দর্শকদের উচ্ছ্বাস ভেসে আসত। শ্রীকান্তকে দলে নেওয়ার জন্য একাধিক ফ্র্যাঞ্জাইজি ঝাঁপালেও, তাঁর জন্য হয়তো চেন্নাই সুপার কিংস এগিয়ে থাকত।
৩) রবি শাস্ত্রী – সেই সময় রবি শাস্ত্রী ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের রকস্টার। এখন যেমন হার্দিক পান্ডিয়া-রবীন্দ্র জাডেজার সঙ্গে এই তকমাটা বেশ মানায়। তেমন ১৯৮০-৯০ এর দিকে ভারতীয় ক্রিকেটে এই জায়গাটা তৈরি করে নিয়েছিলেন রবি শাস্ত্রী। ব্যাটে-বলে দাপট দেখানোর পাশাপাশি শাস্ত্রীর স্টাইল স্টেটমেন্টও ছিল নজরকাড়া। শাস্ত্রীকে দলে নেওয়ার জন্য আইপিএল নিলামে ঝাঁপাত একাধিক দল। এক্ষেত্রে তাঁকে নেওয়ার জন্য চেন্নাই ও মুম্বইয়ের মধ্যে দড়ি টানাটানিও চলতে পারত।
৪) অজয় জাডেজা – ওই সময় ভারতীয় দলের অন্যতম বুদ্ধিমান ক্রিকেটারদের মধ্যে একজন ছিলেন অজয় জাডেজা। ফিল্ডিংয়ে তিনি ছিলেন অসাধারণ। তিনি মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো ফিনিশারের কাজটা করতে পারতেন। একইসঙ্গে জাডেজা ওই সময় একাধিক তরুণী হার্টথ্রব ছিলেন। তাঁর স্টাইলে মুগ্ধ থাকত তরুণীরা। নিলাম টেবলে অজয় জাডেজার জন্য বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি বড় দর হাঁকত। হয়তো তাঁকে নেওয়ার জন্য দিল্লি বেশি চেষ্টা করত।
৫) মনোজ প্রভাকর – ডিজে ব্র্যাভো যে ধরণের ক্রিকেটার ঠিক অতীতে সেই কাজটা করতে পারতেন মনোজ প্রভাকর। দলের ইউটিলিটি প্লেয়ারের দায়িত্বটা পালন করতে পারতেন প্রভাকর। বল হাতে মিডল অর্ডারে ম্যাচের রং বদলে দিতে পারতেন তিনি। প্রভাকর পাওয়ার হিটার ছিলেন না ঠিকই, কিন্তু উল্টোদিকে কাউকে সঙ্গ দেওয়ার মতো পেয়ে গেলে তিনিও দলকে উদ্ধার করতে পারতেন। রাজস্থান রয়্যালস হয়তো তাঁকে নেওয়ার জন্য বেশি তোড়জোড় করত।