পেলে, মারাদোনার পাশে মূর্তি, কনমেবলের মিউজিয়াম মেসিময়!


আর্জেন্টিনার ট্রেনিং গ্রাউন্ড মেসির নামে নামকরণ করা হয়েছে। এ বার আর এক সম্মানে ভূষিত হলেন এই প্রজন্মের অন্যতম সেরা ফুটবলার।

Image Credit source: Instagram

লুকে: লাতিন আমেরিকার ফুটবল ফেডারেশনের মিউজিয়ামে পেলে (Pele), দিয়েগো মারাদোনার (Diego Maradona) মূর্তি ছিল এতদিন। দুই কিংবদন্তির পাশে এ বার জায়গা পেলেন লিওনেল মেসিও (Lionel Messi)। ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ দিয়েছেন। তাঁর নিজের দেশ তো বটেই, লাতিন আমেরিকাতেও মেসির জনপ্রিয়তা একধাক্কায় আকাশ ছুঁয়েছে। এ কথা মাথায় রেখেই মেসির আবক্ষ মূর্তি উদ্বোধন করল কনমেবল। আপ্লুত মেসি নিজেই উপস্থিত ছিলেন। কাতার বিশ্বকাপ জেতার পর কয়েক দিন আগেই পানামার বিরুদ্ধে ফ্রেন্ডলি ম্যাচে গোল করে রেকর্ড করেছেন মেসি। তাঁকে একঝলক দেখার জন্য স্টেডিয়াম ও স্টেডিয়ামের বাইরে বুয়েনস আইরেসের প্রায় সব মানুষ এসে হাজির হয়েছিলেন। ওই ম্যাচের পরই আর্জেন্টিনার ট্রেনিং গ্রাউন্ড মেসির নামে নামকরণ করা হয়েছে। এ বার আর এক সম্মানে ভূষিত হলেন এই প্রজন্মের অন্যতম সেরা ফুটবলার। ওই অনুষ্ঠানে মেসি কী বললেন, TV9 Banglaর প্রতিবেদনে দেখে নিন।

বিশ্বকাপের রেপ্লিকা হাতে নিজেরই মূর্তির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন মেসি। আর্জেন্টিনার অধিনায়ক পরে বলেছেন, ‘কোনও দিন বিশ্বকাপ জিতব, স্বপ্নেও ভাবিনি। আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন একটাই স্বপ্ন ছিল আমার, যা ভালোবাসি, সেটা উপভোগ করব। ইচ্ছে ছিল পেশাদার ফুটবলার হব। জীবনে এটাই হতে চেয়েছিলাম। ফুটবলের থেকে বেশি ভালোবাসা আর কিছু ঘিরেই ছিল না।’

সারা বিশ্ব জুড়ে মেসির অগণিত ভক্ত। অসংখ্য মানুষের আইডল তিনি। একদিনে সাফল্যের শিখরে উঠে দাঁড়াতে পারেননি। সময় লেগেছে অনেকখানি। মেসি বলেছেন, ‘এই পর্যন্ত আসতে অনেকখানি পথ হাঁটতে হয়েছে। অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অনেক ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছি। কিন্তু সব সময় সামনে তাকিয়েছি। সাফল্যের জন্য মুখিয়ে থেকেছি। জয় পেতে চেয়েছি। আমার মনে হয়, সাফল্যের জন্য লড়াই করাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। লড়াই করলে সব কিছুই সম্ভব হতে পারে। আর সেই সঙ্গে খেলাটাকে উপভোগ করতে হয়। যেটা একই রকম গুরুত্বপূর্ণ।’

মেসির সঙ্গে আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনিকেও বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকার রেপ্লিকা উপহার দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে আবার কুরাকাওয়ের বিরুদ্ধে আর একটা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে নামতে চলেছে আর্জেন্টিনা। কেরিয়ারের ৮০০ গোল করে ফেলেছেন মেসি। দেশের হয়ে তাঁর ৯৯তম গোল হয়ে গিয়েছে। যদি আর একটা গোল করেন প্রথম আর্জেন্টেনিয়ান হিসেবে ১০০তম গোল হয়ে যাবে। এই রেকর্ডের জন্য মুখিয়ে রয়েছেন এলএম টেন।



Leave a Reply