‘স্টার’ অনেক রয়েছেন, আরসিবি কি ঝলমলে পারফর্ম করতে পারবে?


Royal Challengers Bangalore Squad Analysis : আরসিবির পেস বিভাগের অনভিজ্ঞতা একটা নেগেটিভ দিক হতে পারে। মহম্মদ সিরাজ কিংবা হর্ষল প্য়াটেল চোট পেলে! ভারতীয়দের মধ্যে অভিজ্ঞ কোনও পেসার নেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা না থাকলেও তুলনামূলক পরিণত আকাশ দীপ।

Image Credit source: twitter

কলকাতা : ব্র্য়ান্ডের দিক থেকে রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোরকে বরাবরই ওপরের দিকে রাখা যায়। অতীতেও বহু তারকা ক্রিকেটার খেলেছেন। বর্তমানেও তাই। বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ব্র্য়ান্ড এই দলে খেলেন। আইপিএলের জন্মলগ্ন থেকেই আরসিবিতে বিরাট কোহলি। ধীরে ধীরে ব্র্য়ান্ড হয়ে উঠেছেন। আরসিবির নেতৃত্ব সামলেছেন। তারকা হয়ে উঠলেও এই দল ছেড়ে যাননি। এবি ডিভিলিয়ার্স, ক্রিস গেইল, ডেল স্টেইন, গ্লেন ম্য়াক্সওয়েলদের মতো বিদেশি তারকাদের কথা ভুললেও চলবে না। এ বারও বিরাট কোহলি, ফাফ ডুপ্লেসি রয়েছেন। সব থেকেও যেন কিছুই নেই আরসিবিতে। ১৫টি সংস্করণের মধ্যে এক বারও ট্রফির স্বাদ পায়নি আরসিবি। এ বার উদ্বোধনী উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগেও একই ঘটনা দেখা গিয়েছে। বিশ্বের অন্য়তম সেরা ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা খেলেছেন আরসিবিতে। মহিলা ক্রিকেটের অন্য়ান্য় তারকা সোফি ডিভাইন, এলিস পেরি, হেদার নাইট। ব্র্য়ান্ডের দিক থেকে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগেও সব দলকে টেক্কা দিয়েছে আরসিবি। কিন্তু ট্রফি! আইপিএলের ১৬তম সংস্করণে অন্য়ান্য় বারের মতো একটাই লক্ষ্য অধরা ট্রফি। কেমন দল গড়েছে আরসিবি, শিবিরের পরিস্থিতি কী! আরসিবির স্কোয়াড নিয়ে বিশ্লেষণ TV9Bangla-য়।

গত বারের আইপিএলে লিগ পর্বে চতুর্থ স্থানে শেষ করেছিল রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোর। আটটি জয় এবং আধডজন হার। কিছু ক্লোজ ম্য়াচও ছিল, যেগুলো হয়তো আরসিবি জিততেও পারত। প্লে-অফে যোগ্য়তা অর্জন করেছিল তারা। এলিমিনেটর ম্য়াচে আইপিএলে অভিষেককারী লখনউ সুপার জায়ান্টসকে হারিয়েছিল আরসিবি। সৌজন্য়ে সে বারের উঠতি তারকা রজত পাতিদারের সেঞ্চুরি। যদিও কোয়ালিফায়ারের ম্য়াচে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হেরে বিদায় নেয় আরসিবি। প্রথম ট্রফির খোঁজ দীর্ঘ হয়েছে আরসিবির। এ বার আরসিবির স্কোয়াড দেখে নেওয়া যাক- ফাফ ডুপ্লেসি (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, গ্লেন ম্য়াক্সওয়েল, মহম্মদ সিরাজ, হর্ষল প্য়াটেল, ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গা, দীনেশ কার্তিক, শাহবাজ আহমেদ, রজত পাতিদার, অনুজ রাওয়াত, আকাশ দীপ, জশ হ্য়াজলউড, মহিপাল লোমরোর, ফিন অ্যালেন, সূয়াশ প্রভুদেশাই, কর্ন শর্মা, সিদ্ধার্থ কৌল, ডেভিড উইলি, রিস টপলি, হিমাংশু শর্মা, মনোজ ভান্ডাগে, রাজন কুমার, আবিনাশ সিং, সোনু যাদব, মাইকেল ব্রেসওয়েল।

গত বার আরসিবির তারকা রজত পাতিদারের চোট রয়েছে। শুরুর দিকে তাঁকে কতটা পাওয়া যাবে এ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতেই রিহ্য়াব চলবে তার। তেমনই বিশ্বের অন্য়তম সেরা পেসার জশ হ্য়াজলউডও পুরোপুরি ফিট নন। তাঁর জন্য়ও হয়তো অপেক্ষা করতে হবে আরসিবিকে। ভারতের মাটিতে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি এবং ওডিআই সিরিজে পাওয়া যায়নি হ্য়াজলউডকে। পাশাপাশি আইপিএল শেষে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালও রয়েছে। এরপর অ্যাসেজ সিরিজ। সে কারণেই হ্য়াজলউডের চোট নিয়ে বাড়তি চিন্তা অজি শিবিরেও। তাঁর ওয়ার্কলোড ম্য়ানেজমেন্টে জোর দেওয়া হবে। ফলে আরসিবির বিদেশি পেসারদের মধ্য়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন ইংল্যান্ডের বাঁ হাতি পেসার রিস টপলি। গ্লেন ম্য়াক্সওয়েলের ব্য়াক আপ হিসেবে রাখা হয়েছিল ইংল্য়ান্ডের উইল জ্যাকসকে। তিনি চোটে ছিটকে যাওয়ায় নিউজল্য়ান্ডের তরুণ অলরাউন্ডার মাইকেল ব্রেসওয়েলকে নিয়েছে আরসিবি।

আরসিবি শিবিরে নতুন দিক ইংল্য়ান্ডের পেসার রিস টপলি। জম্মু ও কাশ্মীরের আনক্যাপড পেসার অবিনাশ সিং তুরুপের তাস হয়ে উঠতে পারেন। এক্সপ্রেস গতির পেসার অবিনাশ। উমরান মালিকের মতো ১৫০কমি/ঘণ্টার বেশি গতিতে লাগাতার বোলিং করতে পারেন। আরসিবির পজিটিভ দিক গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ফিট হয়ে ওঠা এবং তারকা ব্য়াটার বিরাট কোহলি ফর্ম। গত আইপিএলের সময় জাতীয় দলে রানের খরা চলছিল তাঁর। প্রভাব পড়েছিল আইপিএলেও। এখন কিন্তু ফর্মেই রয়েছেন বিরাট। যা প্রতিপক্ষ দলের কাছে চ্য়ালঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আরসিবির পেস বিভাগের অনভিজ্ঞতা একটা নেগেটিভ দিক হতে পারে। মহম্মদ সিরাজ কিংবা হর্ষল প্য়াটেল চোট পেলে! ভারতীয়দের মধ্যে অভিজ্ঞ কোনও পেসার নেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা না থাকলেও তুলনামূলক পরিণত আকাশ দীপ।

Leave a Reply