IPL: দশ বছর আগে ২০১৩ সালে প্রথম বার আইপিএল জেতে মুম্বই। সেই চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্যরা এখন কি করেন?
১০ বছর আগে মুম্বইয়ের চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্যরা এখন কোথায়?
Image Credit source: Twitter
মুম্বই: আইপিএল (IPL) শুরু হলেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে (Mumbai Indians) ঘিরে তৈরি হয় প্রত্যাশার পারদ। সর্বাধিক ৫ বার আইপিএল ট্রফি এসেছে বাণিজ্যনগরীতে। তবে প্রথম জয়ের স্বাদ সব সময়ই আলাদা। দশ বছর আগে ২০১৩ সালে প্রথম বার আইপিএল জেতে মুম্বই। সেই চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্যরা এখন কি করেন? চলুন TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।
- রোহিত শর্মা (অধিনায়ক)- মাত্র ২৫ বছর বয়সেই আইপিএলে অধিনায়কত্ব করার সুযোগ পান রোহিত। তাও মরসুমের মাঝপথে। রিকি পন্টিং শুরুতে অধিনায়ক থাকলেও, পরে ব্যাটন তুলে দেওয়া হয় হিটম্যানের হাতে। আর প্রথম বারেই মুম্বইকে আইপিএল ট্রফির স্বাদ দেন রোহিত। এরপর আরও চারটে আইপিএল জিতেছেন তিনি। সেই হিটম্যান এখনও মুম্বইয়ের অধিনায়ক। একই সঙ্গে জাতীয় দলেরও ক্যাপ্টেন।
- সচিন তেন্ডুলকর- দীর্ঘ অপেক্ষার পর কেরিয়ারের প্রথম আইপিএল জিতেছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। সে বছর ১৪ ম্যাচে ২৮৭ রান ছিল সচিনের। ক্রিকেটার হিসেবে সমস্ত ট্রফি জয়ের নজির গড়েছিলেন। সচিন এখনও মুম্বই দলের সঙ্গে ভীষণ ভাবে জড়িয়ে।
- জসপ্রীত বুমরা- ২০১৩ আইপিএলে স্বপ্নের আবির্ভাব বুমরার। তাঁকে মুম্বইয়ের শিবিরে তুলে এনেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। অভিনব বোলিং অ্যাকশনে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। বিরাট কোহলিকে আউট করে শোরগোল ফেলে দেওয়া সেই বুমরা এখন দেশের এক নম্বর বোলার। চোটের কারণে যদিও এ বারের আইপিএলে নেই তিনি।
- সূর্যকুমার যাদব- দশ বছর আগে মুম্বই দলের সদস্য ছিলেন সূর্যকুমার যাদব। যদিও সে বছর একটিও ম্যাচ খেলেননি তিনি। এখন বিশ্বের এক নম্বর টি-টোয়েন্টি ব্যাটার। এই মুহূর্তে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।
- কায়রন পোলার্ড-২০১৩ সালে মুম্বইয়ের আইপিএল জয়ের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল কায়রন পোলার্ডের। ব্যাট হাতে ৪২০ রান আর বল হাতে ১০ উইকেট নেন। গত বছর আইপিএল থেকে অবসর নিয়েছেন। এখন মুম্বই দলের ব্যাটিং কোচ পোলার্ড।
- রিকি পন্টিং- ২০১৩ আইপিএলের শুরুতে নেতৃত্বের ভার তুলে দেওয়া হয় পন্টিংয়ের কাঁধে। কিন্তু ক্রমাগত খারাপ পারফরমেন্সের পর ক্যাপ্টেন্সি ছাড়েন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। এখন দিল্লি ক্যাপিটালসের কোচ।
- হরভজন সিং- দশ বছর আগে চ্যাম্পিয়ন দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ১৯ ম্যাচে ২৪ উইকেট নিয়েছিলেন ভাজ্জি। ট্রেডমার্ক দুসরায় ঘায়েল করেছিলেন বিপক্ষের ব্যাটারদের। ক্রিকেট ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন। এছাড়া ধারাভাষ্যও দেন।
- মিচেল জনসন- মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে দু’বার আইপিএল জিতেছেন (২০১৩, ২০১৭)। দশ বছর আগে আইপিএলের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক ছিলেন মিচেল জনসন। ৪১ বছরের প্রাক্তন বাঁ-হাতি পেসার এখন ধারাভাষ্য দেন।
- লাসিথ মালিঙ্গা- মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ইতিহাসে সফলতম বোলার। ২০১৩ আইপিএলেও আগুন ঝরান লঙ্কান পেসার। সে বছর ২০ উইকেট নেন মালিঙ্গা। এখন আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের কোচিং স্টাফের সঙ্গে যুক্ত।
- দীনেশ কার্তিক- মুম্বইয়ের আইপিএল জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল ডিকের। সে বছর ১৯ ম্যাচে ৫১০ রান করেছিলেন। এরপরও বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলেছেন। এখন খেলেন আরসিবিতে।
- ডোয়েইন স্মিথ- ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার ২০১৩ আইপিএলে ১৮ ম্যাচে ৪১৮ রান করেন। এখন নাইরোবিতে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলেন।
- অম্বাতি রায়াডু- দীনেশ কার্তিকের মতো রায়াডুও আইপিএল জেতার পিছনে কার্যকর ভূমিকা নিয়েছিলেন। মিডল অর্ডারে পোলার্ডের সঙ্গে জুটিতে বেশ কিছু ম্যাচ জেতান। এখন চেন্নাই সুপার কিংসে খেলেন রায়াডু।
- যুজবেন্দ্র চাহাল- কেরিয়ারের শুরুতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে খেলতেন চাহাল। গত আইপিএলে ২৭ উইকেট নিয়ে বেগুনি টুপি পেয়েছিলেন। এখন রাজস্থান রয়্যালসে খেলেন।
- গ্লেন ম্যাক্সওয়েল- ২০১৩ আইপিএলেও শান্ত ছিলেন না অজি বিগ হিটার। এখন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।
- প্রজ্ঞান ওঝা- হরভজনের সঙ্গে জুটিতে বিপক্ষ দলগুলোর ঘুম কেড়েছিলেন বাঁ-হাতি স্পিনার প্রজ্ঞান ওঝা। সে বছর ১৬ ম্যাচে নেন ১৬ উইকেট। এখন আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য।
- অক্ষর প্যাটেল- অলরাউন্ডার অক্ষর এক বছরই খেলেন মুম্বইয়ে। ফাইনালে একটি ক্যাচও নেন। জাতীয় দলের বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার এখন খেলেন দিল্লি ক্যাপিটালসে।
- আদিত্য তারে- সচিন তেন্ডুলকর চোটের কবলে থাকার সময় মুম্বইয়ের হয়ে ৫ ম্যাচে ওপেনিং করেন। ৫ ম্যাচে ১২৩ রান করেন আদিত্য তারে। উত্তরপ্রদেশের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেন আদিত্য।
- ঋষি ধাওয়ান- ২০১৩ সালে মুম্বই দলে কার্যকর ভূমিকা নিয়েছিলেন ঋষি। গত বছর থেকে খেলছেন পঞ্জাব কিংসে।
- নাথান কুল্টার নাইল- মুম্বইয়ের চ্যাম্পিয়ন দলে সে ভাবে সুযোগ পাননি। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ম্যাচে এক উইকেট পেয়েছিলেন। এখন বিগ ব্য়াশ লিগে মেলবোর্ন স্টার্সের হয়ে খেলেন।
- জেকব ওরাম- ২০১৩ সালে মুম্বইয়ের একটি মাত্র ম্যাচ খেলেছিলেন। খেলা ছাড়ার পর ধারাভাষ্য দেন। নিউজিল্যান্ড এ দলের কোচ হয়েছিলেন। এখন দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টিতে মুম্বই ইন্ডয়ান্স কেপটাউনের বোলিং কোচ।
- জেমস ফ্র্যাঙ্কলিন- মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ২ বছরে ৯ উইকেট আর ৩২৭ রান করেছেন। আইপিএল ছাড়া বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া আর ক্যারিবিয়ান লিগেও খেলেছেন। এখন পাকিস্তান সুপার লিগে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বোলিং কোচ।
- এইডেন ব্লিজার্ড- এখন দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার এক ক্রীড়া সংস্থার বিজনেস ডিরেক্টর।
- ধবল কুলকার্নি- ধারাভাষ্য দেওয়ার পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটেও খেলেন।
- মুনাফ প্যাটেল- ২০১১-১৩ দু’বছর খেলেছেন মুম্বইয়ে। ২০১৮ সালে অবসর নেওয়ার পর বরোদা ক্রিকেট সংস্থার বোলিং কোচ হয়েছেন। বিভিন্ন রিয়ালিটি শোতেও অংশ নেন।
- আবু নেচিম- নাগাল্যান্ডের ক্রিকেটার গত বছর ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে শেষবার রঞ্জি ট্রফি খেলেছেন।
- আমিতোজ সিং- ৫ বছর আগে শেষ বার আবু ধাবি টি-১০ লিগে খেলতে দেখা গিয়েছে পঞ্জাবের পেসারকে।
- পবন সুয়াল- গত বছর লেজেন্ডস লিগে ইন্ডিয়া ক্যাপিটালস টিমের হয়ে খেলতে দেখা গিয়েছে।
- জাভেদ খান- দিল্লির পেসার এখন ক্রিকেট ছেড়ে দিয়েছেন। ২০১৪ সালে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির এক ম্যাচে চার উইকেট নেন জাভেদ খান।
- সুশান্ত মারাঠে- আইপিএল চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্যের অবশ্য ম্যাচ খেলার শিকে ছেঁড়েনি। মুম্বই এবং ক্রিকেট ক্লাব অব ইন্ডিয়ার হয়ে খেলেছেন উইকেটকিপার ব্যাটার। ২০১৬ সালে খেলা ছেড়ে উচ্চশিক্ষায় মন দেন। এখন একটি ব্রিটিশ কোম্পানিতে চাকরি করেন।
- ফিল হিউজ- ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার সময় মাথায় বল লেগে মৃত্যু হয় ফিল হিউজের।