ভারতে বসবাসকারী জ্যাকব অবৈধভাবে ইউরোপ থেকে অ্যানাবলিক স্টেরয়েড আমদানি করে তাঁর মুম্বই-ভিত্তিক কোম্পানি আলফা ফার্মার সঙ্গে অপারেশনের পরিকল্পনা করেন।
Image Credit source: Twitter
মুম্বই: বিশ্বব্যাপী স্পোর্টস ড্রাগ ব্যবসার কিংপিন নিজের মুম্বই-ভিত্তিক ফার্মা কোম্পানি আলফা ফার্মা থেকে তাঁর ব্যবসা পরিচালনা করেন। জার্মানির একটি বিখ্যাত টিভি চ্যানেল ARD-র তৈরি তথ্যচিত্রে এই দাবি করা হয়েছে। সেখান থেকে অবৈধভাবে বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে পদার্থ সরবরাহ করেন। ব্যক্তির নাম জ্যাকব-স্পোরন-ফিডলার। ভারতে বসবাসকারী জ্যাকব অবৈধভাবে ইউরোপ থেকে অ্যানাবলিক স্টেরয়েড আমদানি করে তাঁর মুম্বই-ভিত্তিক কোম্পানি আলফা ফার্মার সঙ্গে অপারেশনের পরিকল্পনা করেন। ARD-এর স্পোর্টস ওয়েবপেজ www.sportschau.de-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, গ্লোবাল ড্রাগস ইন্ডাস্ট্রির রমরমার পিছনে এই আলফা ফার্মার বড় হাত রয়েছে।
ARD সর্বপ্রথম ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে রাশিয়ান অ্যাথলেটিক্সে পদ্ধতিগত ডোপিংয়ের অভিযোগ জানায়। যে কারণে হুইসেল ব্লোয়ার ভিটালি স্টেপানোভ নামে একজন প্রাক্তন রাশিয়ান অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সি কর্মকর্তা এবং তার স্ত্রী ইউলিয়া, যিনি একজন ৮০০ মিটার দৌড়বিদ, শেষ পর্যন্ত নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ২০১৫ সালে। “ডোপিং টপ সিক্রেট: ডিলার” শিরোনামের ডকুমেন্টারিটি ছিল বিখ্যাত সাংবাদিক ভন হাজো সেপেল্টের। তিন আরও সাংবাদিককে নিয়ে যিনি প্রথম রাশিয়ান ডোপিংয়ের বিষয়টি সামনে এনেছিলেন।
সেপেল্ট এবং তাঁর টিম সারা বিশ্বে ভ্রমণ করেছে। ভারত, ডেনমার্ক এবং সিঙ্গাপুর থেকে উত্তর আয়ারল্যান্ড, পোল্যান্ড এবং প্যারাগুয়ে। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা আন্ডার কভার তদন্তের পর আন্তর্জাতিক ডোপিং ব্যবসার ভেতরের রহস্য ফাঁস হয়। যার আনুমানিক বার্ষিক টার্নওভার প্রায় ১৫ বিলিয়ন ইউরো। ওই তথ্যচিত্রে বলা হয়েছে, “ভারতের পোর্ট সিটি মুম্বইতে ডোপিং পদার্থ তৈরি এবং ইউরোপীয় বাজারে তাদের অবৈধ বিতরণের জন্য সম্ভাব্য অংশীদার খুঁজে পায় ARD-র টিম। সাংবাদিকরা ইঙ্গিত পেয়েছিলেন যে স্পোরন-ফিডলার ডোপিং ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। মিথ্যা পরিচয় ও গোপন ক্যামেরার মাধ্যমে ফিডলারের কীর্তি ফাঁস করে দেয় ARD টিম। ব্রিটিশ ন্যশনাল ক্রাইম এজেন্সির তদন্তকারী জন ম্যাকলাফলিন ২০১৮ সালে স্পোরন-ফিডলারকে গ্রেফতার করেন।