Kolkata Knight Riders vs Royal Challengers Bangalore Preview : নাইট রাইডার্স শিবিরে সবচেয়ে বড় চ্য়ালেঞ্জ অবশ্য় নিজেরাই। প্রথম ম্য়াচে একাদশ বাছাই নিয়ে প্রশ্ন থেকেছে। বিরাট উন্মাদনার মাঝে নজর থাকবে আরসিবি শিবিরে বাংলার দুই ক্রিকেটার আকাশ দীপ এবং শাহবাজ আহমেদের দিকেও।
দীপঙ্কর ঘোষাল : সেই চেনা উন্মাদনা। ইডেন আবারও ফিরছে স্ব-মেজাজে। আইপিএল কলকাতায় হয়েছে। কিন্তু কেকেআর কলকাতায় খেলছে, বহুদিন পর। হোম-অ্যাওয়ে ফরম্য়াটে আইপিএল ফিরেছে। কলকাতায়ও নাইটদের ঘরে ফেরা। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্য়াচেই মোহালিতে হার। বৃষ্টির কারণে ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে মাত্র ৭ রানের ব্য়বধান। ম্য়াচটা সম্পূর্ণ হলে, ফল অন্যরকমও হতে পারত। ইডেনে নতুন শুরুর অপেক্ষায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। সামনে অবশ্য বিরাট বাধা রয়েছে। বিরাট কোহলি। একদিকে যেমন নাইটদের নিয়ে উন্মাদনা, একই ভাবে বিরাটের জন্যও উচ্ছ্বাসে ভাসছে শহর। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্য়াচ ঘরের মাঠে খেলেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। শক্তিশালী মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে রান তাড়া করে জয়। চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলেছেন বিরাট কোহলি। যে মেজাজে খেলছিলেন, প্রথমে ব্যাট করলে হয়তো সেঞ্চুরিও পূর্ণ হত। ইডেনে কেকেআরের জন্য যেমন সমর্থন থাকবে, তেমনই বিরাট কোহলির জন্যও। সমর্থকরা পাশে থাকলে বিরাট কতটা ভয়ঙ্কর সকলেরই জানা। ইডেনে বিরাট কোহলি নাকি নাইট রাইডার্স? শেষ হাসি কার! কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোর ম্য়াচ প্রিভিউ TV9Bangla-য়।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ইডেনে আজ কেমন উন্মাদনা দেখা যাবে, তার কিছুটা ঝলক মিলেছে এক দিন আগেই। ম্য়াচের আগের দিন কেকেআর মাঠে পৌঁছতেই ব্যাপক উন্মাদনা দেখা যায় ইডেন চত্ত্বরে। প্রায় একই চিত্র বিরাট কোহলি পৌঁছতেও। গ্য়ালারি কি তাহলে বিভক্ত? প্রার্থনাটা এমনও হতে পারে, বিরাট রান করুক, ম্যাচ জিতুক কলকাতা। বিরাট উন্মাদনার মাঝে নজর থাকবে আরসিবি শিবিরে বাংলার দুই ক্রিকেটার আকাশ দীপ এবং শাহবাজ আহমেদের দিকেও। কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরে কাছে চ্যালেঞ্জ এই দু-জনের অভিজ্ঞতাও। ইডেনে আইপিএল খেলার সুযোগ না হলেও প্রথম শ্রেনি এবং ক্লাব ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা রয়েছে। ইডেন সম্পর্কে আরসিবি শিবিরের অনেকেরই পরিষ্কার ধারনা রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই কলকাতার কাছে কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।
নাইট রাইডার্স শিবিরে সবচেয়ে বড় চ্য়ালেঞ্জ অবশ্য় নিজেরাই। প্রথম ম্য়াচে একাদশ বাছাই নিয়ে প্রশ্ন থেকেছে। রাখা হয়েছিল স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার অনুকূল রায়কে। যদিও এক ওভারও বোলিং করানো হয়নি। ব্য়াটিংয়ে তাঁকে নামানো হয় তিন নম্বরে। কোনও অবদান নেই। এই ম্য়াচে অন্য়রকম পরিকল্পনা কেকেআরের। সুনীল নারিন, রহমানুল্লা গুরবাজকেও দেখা যেতে পারে ওপেনিংয়ে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের টপ সিক্স ব্য়াটারই অভিজ্ঞতার দিক থেকে অনেক পিছিয়ে। সুনীল নারিন সেই অনভিজ্ঞতা ঢাকতে পারেন। অতীতেও ওপেন করেছেন। সুতরাং, তাঁর কাছে এটা নতুন নয়। বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যেও বদল হতে পারে। ব্য়াটিং গভীরতা বাড়াতে পেস বোলিং অলরাউন্ডার ডেভিড উইজেকে খেলানো হতে পারে। তিন নম্বরে নামতে পারেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। কেকেআর কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত সবরকম বিকল্পই খোলা রেখেছেন। ম্য়াচে কেমন পরিকল্পনা হবে এবং তার বাস্তবায়ন কতটা হবে, সেটাই প্রশ্ন।