হারের হ্যাটট্রিক দিল্লির, ব্যাটে-বলে ওয়ার্নারদের ওড়াল রাজস্থান


ম্যাচের প্রথম থেকেই পিছিয়ে পড়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। মাঝে কিছুটা পাল্টা লড়াই দিলেও জয়ের জন্য তা যথেষ্ট ছিল না।

Image Credit source: Twitter

তিথিমালা মাজী: দিল্লি শিবিরে হারের বিপর্যয়। লাগাতার তৃতীয় ম্যাচে হারের লজ্জা ডেভিড ওয়ার্নারদের। ব্যাটে যশস্বী জসওয়াল, জস বাটলারদের তাণ্ডব, বল হাতে বোল্ট-চাহালদের সাঁড়াশি চাপে ৫৭ রান হার রাজধানীর ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ১৬তম আইপিএলে পরপর তিনটি ম্যাচে হার। প্রথমে ব্যাট করে রাজস্থান রয়্যালসের খাতায় ওঠে ১৯৯ রানের বড় স্কোর। রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভার থেকেই হোঁচট খেয়েছে দিল্লি। যা বজায় রইল শেষ পর্যন্ত। অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার উইকেটে টিকে থেকে ৬৫ রানের ইনিংস খেলে চেষ্টা চালালেন প্রবল। অপরদিক থেকে সাহায্য পেলেন না দিল্লির ক্যাপ্টেন। ললিত যাদব (৩৮) কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন। বাকিরা তথৈবচ। একা ওয়ার্নারের লড়াইয়ে ম্যাচ জেতা সম্ভব ছিল না। ফলস্বরূপ ১৪২ রানে আটকে যায় দিল্লি। ম্যাচের বিস্তারিত TV9 Bangla-র এই প্রতিবেদনে।

আইপিএলে টস জিতলেই প্রথমে ফিল্ডিং যেন রীতিতে দাঁড়িয়েছে। সেই রীতি মেনেই বর্ষাপাড়ার হাই স্কোরিং ফিল্ডে রাজস্থান রয়্যালসকে প্রথমে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। তার জবাব ভালোমতোই দিলেন যশস্বী জসওয়াল, জস বাটলাররা। চোটের আতঙ্ক সরিয়ে এদিন রাজস্থানের একাদশে বাটলারকে দেখে স্বস্তি নামে রাজস্থান টিমের ফ্যানদের মধ্যে। কিন্তু বাটলারকে ছাপিয়ে এদিন শিরোনামে রইলেন তরুণ যশস্বী জসওয়াল। প্রথম বল থেকে দিল্লির বোলারদের প্রহার করা শুরু করেন। প্রথম ওভারে খলিল আহমেদকে পাঁচটি বাউন্ডারি হাঁকালেন। ২১ বছরের যশস্বীর ব্যাটে হাফ সেঞ্চুরি এল মাত্র ২৫ বলে। আইপিএল কেরিয়ারের পঞ্চম অর্ধশতরান এটি। জুটিতে রাজস্থানকে দুর্দান্ত সূচনা দেন যশস্বী ও বাটলার। জুটিতে ওঠে ৯৮ রান।

অ্যানরিখ নর্জে, খলিল আহমেদরা যা পারেননি সেটাই করে দেখালেন বাংলার পেসার মুকেশ কুমার। নবম ওভারে যশস্বী-বাটলার জুটি ভেঙে দিল্লি শিবিরে স্বস্তি এনে দেন মুকেশ কুমার। আইপিএল কেরিয়ারের প্রথম উইকেট তাঁর। পরের ওভারে শূন্য রানে সঞ্জু স্যামসনকে ফেরান কুলদীপ। পরপর দুটো উইকেট হারিয়ে রাজস্থানের রানের গতি অনেকটাই থমকে যায়। ১৮.৩ ওভারে ৭৯ রান করে ফেরেন জস বাটলার। একটা সময় মনে হচ্ছিল ম্যাচে ফিরে এসেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নামা শিমরন হেটমায়ার দিল্লির পরিকল্পনায় জল ঢেলে দেন। ৪টি ছয় ও ১টি চারের সাহায্যে ২১ বলে ৩৯ রানের ক্যামিওতে দুশোর দোরগোড়ায় পৌঁছে যায় রাজস্থান।

বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে রাজস্থানের ব্যাটারদের তাণ্ডবের পর শুরু হয় ট্রেন্ট বোল্টের দাপট। প্রথম ওভারে জোড়া উইকেট নিয়ে দিল্লিকে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামা পৃথ্বী শ-তে শূন্য রানে আউট করার পর মণীশ পাণ্ডেকে এলবিডব্লিউ করেন। প্রথম ৬ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে মন্থর ব্যাটিং শুরু করে দিল্লির ব্যাটাররা। ওয়ার্নার এবং ললিত যাদব জুটি দিল্লিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। ১০ ওভারের পর ওয়ার্নারের ব্যাটে পরপর বাউন্ডারির দেখা মিলেছে। মোক্ষম সময়ে ললিত যাবদকে ফিরিয়ে আরও একবার দিল্লির আশা ভরসা নিভিয়ে দেন বোল্ট। ওয়ার্নারকে ফেরান যুজবেন্দ্র চাহাল। এরপর দিল্লিকে গুটিয়ে দিতে বেশি সময় লাগেনি। ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রানে শেষ হয়ে যায় দিল্লির ইনিংস। পয়েন্ট টেবলে দিল্লি ক্যাপিটালসের স্থান শেষদিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে।

Leave a Reply