ম্যাচের সেরার পুরস্কার প্রিয় দু-জনকে উপহার পুরানের…


Royal Challengers Bangalore vs Lucknow Super Giants Post Match: চিন্নাস্বামীর ছোট মাঠ। পরের দিকে শিশিরের জন্য় শট খেলেও আনন্দ পাচ্ছিলেন ব্যাটাররা। নিজে ভুল না করলে আউট করা কঠিন।

দীপঙ্কর ঘোষাল : মঞ্চ প্রস্তুত ছিল বিরাট কোহলির জন্য। চিন্নাস্বামীতে গ্যালারি ভর্তি দর্শক। ছিলেন অনুষ্কা শর্মাও। বিরাটের অনবদ্য ইনিংস। ভালো ক্যাচ। বেঙ্গালুরুর গ্যালারি ঘরের মাঠে মরসুমের দ্বিতীয় জয়ের প্রতিক্ষায়। কিন্তু লখনউ সুপার জায়ান্টসের নিকোলাস পুরান যেন সিলেবাসের বাইরের প্রশ্ন। নামলেন, আয়ুষ বাদোনির সঙ্গে ৩৫ বলে ৮৪ রানের জুটি গড়লেন। এই জুটিতে ১৭ বলে ৫৬ রান পুরানের। শুধু তাই নয়, এ বারের আইপিএলে দ্রুততম অর্ধশতরান এল পুরানের ব্যাটেই। শেষ অবধি ১৯ বলে ৬২ রানের ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট ইনিংস খেললেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের কিপার-ব্যাটার। প্রত্যাশিত ভাবেই ম্যাচের সেরার পুরস্কারও জিতলেন নিকোলাস পুরানই। ২১৩ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুর ধাক্কা সামলে শেষ বলে থ্রিলার জেতে লখনউ। ম্যাচ শেষে কী বললেন লখনউয়ের জয়ের নায়ক? বিস্তারিত TV9Bangla-য়।

আউট নিয়ে কিছুটা হতাশা ছিল পুরানের। ফুলটসে আউট হন। নো-বলের প্রত্যাশা করেছিলেন। ওয়েস্ট হাই নো-বলের রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি। ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে না পারার আক্ষেপ ছিল স্পষ্ট। তিনি অপরাজিত না থাকলেও তাঁর ইনিংসের সৌজন্য়েই দল জিতেছে। ম্যাচের সেরা নিকোলাস পুরান বলছেন, ‘এই পুরস্কার আমার স্ত্রী এবং সদ্যোজাত সন্তানের উপহার। এই ম্যাচ আমাদের জিততেই হত। স্টইনিস এবং রাহুলের পার্টনারশিপটা দুর্দান্ত হয়েছে। স্টইনিসই আমাদের ম্যাচে জিইয়ে রেখেছিল। পরের দিকে রান তোলা সহজ হবে বলেই জানতাম।’

চিন্নাস্বামীর ছোট মাঠ। পরের দিকে শিশিরের জন্য় শট খেলেও আনন্দ পাচ্ছিলেন ব্যাটাররা। নিজে ভুল না করলে আউট করা কঠিন। পুরান আরও বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের জন্য খুবই ভালো পিচ। সুযোগ কাজে লাগাতে হত। সেটাই চেষ্টা করেছি। ক্রিজে নেমে দ্বিতীয় বলেই ওভার বাউন্ডারি মারতে পারায় আত্মবিশ্বাস বেড়েছিল। ছন্দে ফেরার জন্য় প্রচুর পরিশ্রম করেছিলাম। অবশেষে তা কাজে লেগেছে। গত কয়েক বছর যে দলেই খেলেছি, ম্যাচ জেতানো ইনিংস আসছিল না। হতাশা বাড়ছিল। এখন খুবই ভালো লাগছে। মানসিক ভাবেও দারুণ জায়গায় রয়েছি। ক্রিকেটকে এ ভাবেই উপভোগ করতে চাই।’

Leave a Reply