Rajasthan Royals vs Lucknow Super Giants Post Match : লখনউয়ের বোলিংয়ে এমনই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন আফগান পেসার নবীন উল হক। ৪ ওভারে ১১টি ডট বল। উইকেট না পেলেও দিয়েছেন মাত্র ১৯ রান। তিনি চাপ তৈরি করেছেন, অন্য় বোলাররা উইকেট নিতে পেরেছেন।
সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্তী : পিঙ্ক সিটি। রাজস্থান রয়্যালসের ঘরের মাঠ। যদিও এ মরসুমে প্রথম দিকের হোম ম্য়াচগুলি গুয়াহাটির বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে খেলেছে রাজস্থান রয়্যালস। জয়পুরে এ বারের প্রথম ম্য়াচ। সঞ্জু স্য়ামসনদের কাছে প্রকৃত অর্থেই হোম ম্য়াচ। শুরুটা এমন হবে, রয়্যালস ক্রিকেটাররা নিজেরাও বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না। সোয়াই মান সিং স্টেডিয়ামের পিচ মন্থর। তার উপর পেসাররা স্লোয়ার বলে বিব্রত করলেন। এমন পরিস্থিতিতে ভরসা নতুন বলে যত সম্ভব বেশি রান। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে লখনউ সুপার জায়ান্টস। পাওয়ার প্লে-তে মাত্র ৩৭ রান। শেষ অবধি নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৪ রান করে লখনউ। এই ম্য়াচের আগে এ বারের আইপিএলে এত কম রান করে কোনও দল জিততে পারেনি। রাজস্থান রয়্যালস পাওয়ার প্লে-তে তোলে বিনা উইকেটে ৪৭ রান। একটা সময় রাজস্থানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫১ বলে ৬৮ রান। হাতে তখন ১০ উইকেট। এরপর কোনও টিম হারতে পারে, এমন ভাবনা না আসাই স্বাভাবিক। ম্য়াচ হেরে তাই বেশ বিরক্ত রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক। লখনউ শিবিরই বা কী বলছে বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট কোনটা? শেষ ওভারে থ্রিলার হলেও আদতে টার্নিং পয়েন্ট বলা যায় ১২ ও ১৪তম ওভারে মার্কাস স্টইনিসের বোলিং। দ্বাদশ ওভারের তৃতীয় ডেলিভারিতে বাঁ হাতি ওপেনার যশস্বী জয়সোয়ালকে ফেরান মার্কাস স্টইনিস। এর পর বোলিংয়ে আসেন ১৪তম ওভারে। সেই তৃতীয় বলে আর এক বিধ্বংসী ওপেনার জস বাটলারের উইকেট। মাঝের ওভারটিতে রান আউট রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। সেখান থেকেই বাড়তি স্ফূর্তি পায় লখনউ শিবির। বাউন্ডারি লাইনে অনবদ্য ফিল্ডিং, লং অন বাউন্ডারিতে দীপক হুডার দুর্দান্ত ক্য়াচ তারই প্রমাণ। ম্য়াচ হেরে কেমন লাগছে প্রশ্নে কিছুটা যেন বিরক্তিতেই রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন বলেন, ‘নিঃসন্দেহে ভালো অনুভূতি নয়। তবে এমন পরিস্থিতি থেকে অনেক কিছুই শেখার রয়েছে। জয়পুরে শুরুটা ভালো করতে চেয়েছিলাম। আর আমাদের যা ব্য়াটিং লাইন আপ, তাতে এই রান জেতার মতোই।’
নিজেদের শহরে প্রথম ম্য়াচ। পিচও পছন্দমতোই ছিল দাবি রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়কের। বলছেন, ‘ওরা খুব ভালো বোলিং করেছে। তারপরও আমি বলব, এই রান তাড়া করে অবশ্য়ই জেতা উচিত ছিল। এখানের পিচ মন্থর হবে, এমনটাই প্রত্যাশা করেছিলাম। আমাদের বুদ্ধিদীপ্ত খেলা খেলতে হত। ৯-১০ ওভার অবধিও সেটা পেরেছি। মাঝের ওভারে একটা বড় রানের ওভার প্রয়োজন ছিল। আমরা পাওয়ার হিটিংয়ে জোর দিতে গিয়ে উইকেট হারিয়েছি।’ লখনউ বোলিং কার্ডে আবেশ খানের নামের পাশে ৩ উইকেট। শেষ ওভারে অনবদ্য বোলিং। তেমনই স্টইনিসের ২ উইকেট ভুললে চলবে না। লখনউয়ের বোলিংয়ে এমনই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন আফগান পেসার নবীন উল হক। ৪ ওভারে ১১টি ডট বল। উইকেট না পেলেও দিয়েছেন মাত্র ১৯ রান। তিনি চাপ তৈরি করেছেন, অন্য় বোলাররা উইকেট নিতে পেরেছেন।