বহুকষ্টে দিল্লির প্রথম জয়, কেকেআরের হারের হ্যাটট্রিক


Delhi Capitals vs Kolkata Knight Riders Match Report : একটা সময় মনে হয়েছিল একশোর গণ্ডি পেরনো সম্ভব হবে তো! শেষ দিকে আন্দ্রে রাসেল ৩১ বলে ৩৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। ২০ ওভারে ১২৭ রানেই অলআউট কলকাতা নাইট রাইডার্স।

দীপঙ্কর ঘোষাল : একটা দল হারের হ্য়াটট্রিক রুখতে মরিয়া। অন্যদল, মরসুমে প্রথম জয়ের খোঁজে। একটা সমানে সমানে লড়াইয়ের প্রত্যাশা ছিল। ম্য়াচের উত্তেজনা কিছুটা ধাক্কা খেল বৃষ্টিতে। ম্য়াচ শুরু হলেও সমর্থকদের জন্য চার-ছয়ের বিনোদন হল না। দিল্লি সমর্থকদের জন্য স্বস্তি, অবশেষে জয়ে ফিরল দল। টানা পাঁচটি ম্যাচ হেরে খাদের কিনারায় ছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। কিছুটা অক্সিজেন পেল তারা। নেট রান রেট ভালো করারও সুযোগ ছিল দিল্লির সামনে। সামনে লক্ষ্য মাত্র ১২৮ রানের। দ্রুত ম্য়াচ শেষ করলে নেট রানরেট ভালো হত। দিল্লি অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ছন্দে। তবে উল্টোদিক থেকে পৃথ্বী শ, মিচেল মার্শ, ফিল সল্টের উইকেট হারায় দিল্লি। স্পিনাররা আক্রমণে আসতেই রান তুলতে হিমসিম খায় দিল্লি। মরসুমের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি ওয়ার্নারের। ১৪তম ওভারে ওয়ার্নারও ফিরতে চাপ বাড়ে দিল্লির। কেকেআর স্পিনাররা অনবদ্য। শেষ অবধি ৪ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে জয় দিল্লির। ম্যাচ রিপোর্ট TV9Bangla Sports-এ।

গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে একটা অভাবনীয় জয় নতুন করে স্বপ্ন দেখিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স সমর্থকদের। ঘরের মাঠে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে হারলেও হতাশা ছিল না। কেন না, রান তাড়ায় শেষ মুহূর্ত অবধি লড়াই করেছে। কিন্তু মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে হার ফের সতর্ক বার্তা দিয়েছিল কেকেআরকে। একজন ব্য়াটার সেঞ্চুরি করছেন তারপরও দল ২০০ কেন করতে পারবে না! এমন অস্বস্তি তাড়া করছিল। কেকেআরের মিডল অর্ডার এ বার ভরসা দেখাচ্ছিলেন। ওপেনিংয়ের ব্য়র্থতা ঢেকে দিচ্ছিল মিডল অর্ডার। কিন্তু দিল্লি ক্য়াপিটালসের বিরুদ্ধে স্পিনারদের প্রশংসনীয় পারফরম্যান্সেও হতাশা ছাড়া কিছুই জুটল না।

মরসুমের প্রথম পাঁচ ম্য়াচেই হেরেছিল দিল্লি ক্য়াপিটালস। তাদের বিরুদ্ধে কি আত্মতুষ্টি কাজ করছিল? বৃষ্টির জন্য ঘণ্টাখানের দেরিতে শুরু হল ম্যাচ। একটা রুদ্ধশ্বাস ম্য়াচের প্রত্যাশা ছিল। টস জিতে কেকেআরকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান দিল্লি অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। দু-দলের একাদশেই পরিবর্তন। মরসুমের চতুর্থ ভিন্ন ওপেনিং জুটি নামাল কেকেআর। আইপিএল অভিষেক হল বাংলাদেশের কিপার-ব্য়াটার লিটন দাসের। তেমনই কেকেআর জার্সিতে অভিষেক জেসন রয়ের। ওপেন করে এই জুটি। ওপেনিং সমস্যা কিন্তু মিটল না। জেসন রয় এক দিক আগলে রাখলেও উল্টোদিক থেকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে কেকেআর। একটা সময় মনে হয়েছিল একশোর গণ্ডি পেরনো সম্ভব হবে তো! শেষ দিকে আন্দ্রে রাসেল ৩১ বলে ৩৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। ২০ ওভারে ১২৭ রানেই অলআউট কলকাতা নাইট রাইডার্স। শেষ বলে রানআউট বরুণ চক্রবর্তী। দিল্লি যতই ছন্দহীন হোক, এই রান যথেষ্ঠ ছিল না কেকেআরের জন্য। তবে এই রান নিয়েও দুর্দান্ত লড়াই স্পিনারদের। শেষ দিকে, বাউন্ডারিতে খারাপ ফিল্ডিং, লিটনের জোড়া স্টাম্পিং মিস। শেষ অবধি রুদ্ধশ্বাস জয় দিল্লি ক্যাপিটালসের।

Leave a Reply