Chennai Super Kings vs Sunrisers Hyderabad Report : অল্প রানের লক্ষ্য। তবে গত কয়েকদিন যেমন থ্রিলার চলছিল, তেমন কিছুরও সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছিল না। যদিও চেন্নাইয়ের সতর্ক শুরু পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখল। এ বারের আইপিএলে আরও একটা অর্ধশতরানের ইনিংস ডেভন কনওয়ের।
দীপঙ্কর ঘোষাল : পরিসংখ্যান ভালো করতে পারল না সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। চিপকে চেন্নাই সুপার কিংসকে তারা কখনও হারাতে পারেনি সানরাইজার্স। এ বারও পারল না। থ্রিলার দেখতে অভ্যস্ত হয়েছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এ বার একটা একপেশে ম্যাচ দেখা গেল। ঘরের মাঠে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৭ উইকেটে হারাল চেন্নাই সুপার কিংস। চিপকের পিচ স্পিনসহায়ক হয়ে থাকে। টুর্নামেন্ট যত এগোবে এর ছাপ বেশি পড়বে। এই ম্য়াচের আগে এ মরসুমে ঘরের মাঠে দুটি হোম ম্য়াচ খেলেছিল সিএসকে। একটি করে জয় ও হার। রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হেরেছিল সিএসকে। তবে আরসিবির বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্য়াচে জিতে এসে ঘরের মাঠেও জয়। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে চেন্নাই সুপার কিংস বনাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ম্যাচ রিপোর্ট TV9Bangla Sports-এ।
মহেন্দ্র সিং ধোনি। বাকিদের পারফরম্য়ান্সের চেয়ে এখনও আকর্ষণের কেন্দ্রে তাঁর নেতৃত্বই। বোলিং চেঞ্জ থেকে নতুনদের সামলানো। বাকিদের কাছেও শেখার মতো বিষয় হয়ে থাকে। এই ম্য়াচেও তাঁর বোলিং পরিবর্তন নজর কাড়ল। যার কারণে খেই হারাল সানরাইজার্স ব্য়াটিং আক্রমণও। বল নতুন থাকা অবধি যাও বা কিছুটা রান তুলতে পারল সানরাইজার্স, এরপরই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে। সিএসকে বোলিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন রবীন্দ্র জাডেজা। ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলেন জাড্ডু। সানরাইজার্স শিবিরে প্রথম ধাক্কা দিয়েছিলেন বাঁ হাতি পেসার আকাশ সিং। হ্যারি ব্রুককে ফেরান আকাশ। এরপরই স্পিনারদের দাপট। জাডেজার ৩ উইকেট ছাড়াও মহেশ থিকসানার ঝুলিতে এক উইকেট। পেসাররা স্লোয়ার ডেলিভারির ব্য়বহার খুব ভালো করে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান করে সানরাইজার্স।
অল্প রানের লক্ষ্য। তবে গত কয়েকদিন যেমন থ্রিলার চলছিল, তেমন কিছুরও সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছিল না। যদিও চেন্নাইয়ের সতর্ক শুরু পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখল। এ বারের আইপিএলে আরও একটা অর্ধশতরানের ইনিংস ডেভন কনওয়ের। মাত্র ৩৩ বলে হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছান কনওয়ে। উল্টোদিক থেকে ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ও ধৈর্যশীল ইনিংস খেলেন। যদিও হতাশাজনক ভাবে আউট ঋতুরাজ। উমরান মালিকের বোলিংয়ে স্ট্রেট ড্রাইভ মারেন কনওয়ে। নন স্ট্রাইকারে ক্রিজের বাইরে ছিলেন ঋতুরাজ। উমরানের হাত ছুঁয়ে বল উইকেটে লাগে। রানআউট ঋতুরাজ। মায়াঙ্ক মার্কন্ডের বলে লেগ স্লিপে অনবদ্য ক্যাচে রাহানেকে ফেরান মার্করাম। কনওয়ের অনবদ্য ইনিংসে জিততে কোনও সমস্যাই হয়নি সিএসকের।
