Mohit Sharma : গত বারের নেট বোলার, এ বার অন্যতম ভরসা হয়ে উঠছেন। এ মরসুমে মাত্র তিন ম্য়াচে সুযোগ পেয়েছেন মোহিত শর্মা। তিন ম্য়াচ মিলিয়ে বোলিং করেছেন মাত্র ৯ ওভার। উইকেট নিয়েছেন চারটি। ইকোনমি মাত্র ৪.৬৬। লখনউয়ের বিরুদ্ধে ম্য়াচের সেরার পুরস্কারও জিতেছেন মোহিত। তাঁর পারফরম্য়ান্সে ‘মোহিত’ হয়ে পড়েছে গুজরাট টাইটান্স শিবির।
লখনউ : কয়েক দিন আগের কথা। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে একটা রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। বোর্ডে অল্প রানের লক্ষ্য়। রাজস্থানের অনবদ্য ব্য়াটিং। একটা সময় লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫১ বলে ৬৮ রান। হাতে তখনও দশ উইকেট। এই ম্য়াচ থেকে কী পরিবর্তন হতে পারে আর! সকলেই রাজস্থানের একপেশে জয়ের প্রতীক্ষায়। ম্য়াচ শেষে চিত্রটা বদলে গিয়েছে ১৮০ ডিগ্রি! মার্কাস স্টইনিস, আবেশ খানদের অনবদ্য বোলিংয়ে ১০ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নেয় লখনউ সুপার জায়ান্টস। জয়পুর থেকে ‘জয়’ সঙ্গী করেই ফিরেছিল লখনউ। ঘরের মাঠে হাসতে পারলেন না। ‘মুসকুরাইয়ে আপ হ্যায় লখনউ ম্যায়’ শেষ অবধি গুজরাট টাইটান্স শিবিরে। মাত্র ১৩৫ রানের পুঁজি নিয়ে শেষ দু’ওভারে ম্য়াচ পুরো ওলট পালট হয়ে গেল! আর শেষ ওভারে গুজরাটের এই জয়ে বড় ভূমিকা নিলেন মোহিত শর্মা। এ বারের আইপিএলে তাঁর যেন পুনর্জন্ম হল। কী ভাবে! বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
শেষ দু-ওভারে লখনউয়ের প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। ক্রিজে তখনও অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। লখনউয়ের জয় যেন সময়ের অপেক্ষা। ১৯তম ওভার করেন টুর্নামেন্টের অন্যতম ধারাবাহিক মহম্মদ সামি। মাত্র ৫ রান আসে এই ওভারে। আর শেষ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২ রান। হাতে উইকেট। ক্রিজে অর্ধশতরান করা অধিনায়ক রাহুল। কার হাতে বল তুলে দেবেন হার্দিক পান্ডিয়া! অভিজ্ঞ মোহিত শর্মাকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রথম ডেলিভারিতে ২ রান নেন লোকেশ রাহুল। দ্বিতীয় বলেই লোকেশ রাহুলের উইকেট। তৃতীয় ডেলিভারিতে মার্কাস স্টইনিসকে গোল্ডেন ডাক। চতুর্থ বলে ২ রান নিতে গিয়ে রান আউট আয়ুষ বাদোনি। পঞ্চম বলে দীপক হুডা রান আউট। এরপর ডট বল। শেষ ওভারে ১২ রান ডিফেন্ড করতে নেমে দিলেন মাত্র ৩ রান। সঙ্গে দুটি উইকেট। ৭ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় গুজরাট টাইটান্সের।
মোহিত শর্মার পুনর্জন্ম কেন বলা হচ্ছে? দেশের হয়ে শেষ বার খেলেছেন ২০১৫ সালে। আর আইপিএল খেলেছেন ২০১৩ সালে। মাঝে যেন হারিয়ে গিয়েছিলেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে খেললেও কেই বা খোঁজ রেখেছেন! গত বারের আইপিএলে অভিষেক হয় গুজরাট টাইটান্সের। মেন্টর আশিস নেহরা ফোন পান মোহিত শর্মা। আশিস তাঁকে নেট বোলার হওয়ার প্রস্তাব দেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা একজন অভিজ্ঞ বোলার এতে কোনও অসম্মানিত বোধ করেননি। মোহিত নিজেই বলেছেন, ‘আশিস ভাইয়ের ফোন আসে। দলের সঙ্গে থাকার প্রস্তাব দেন নেট বোলার হিসেবে। তাঁর প্রস্তাবে রাজি হয়ে যাই। ঘরে বসে থাকার চেয়ে এটা আমার কাছে ভালো বিকল্প মনে হয়েছিল।’
গত বারের নেট বোলার, এ বার অন্যতম ভরসা হয়ে উঠছেন। এ মরসুমে মাত্র তিন ম্য়াচে সুযোগ পেয়েছেন মোহিত শর্মা। তিন ম্য়াচ মিলিয়ে বোলিং করেছেন মাত্র ৯ ওভার। উইকেট নিয়েছেন চারটি। ইকোনমি মাত্র ৪.৬৬। লখনউয়ের বিরুদ্ধে ম্য়াচের সেরার পুরস্কারও জিতেছেন মোহিত। তাঁর পারফরম্য়ান্সে ‘মোহিত’ হয়ে পড়েছে গুজরাট টাইটান্স শিবির।