মায়ের রেসিপি, সচিনের রান্না; স্ত্রী অঞ্জলির পছন্দের খাবার কী জানেন?


Sachin Tendulkar-Anjali Tendulkar : মা-ঠাকুমার হাতের রান্না সকলেই পছন্দ করেন। অনেকেই আবার মা-ঠাকুমার রান্নার বিশেষ রেসিপিও রাখেন নিজের ঝুলিতে। তেমনই সচিন তেন্ডুলকর নিজের মায়ের কাছ থেকে বিশেষ কিছু রেসিপি নিয়ে রেখেছেন। বাড়িতে কোনও বিশেষ অনুষ্ঠান থাকলে মাঝে মাঝে কিছু পদ রান্না করেন সচিন।

মায়ের রেসিপি, সচিনের রান্না; স্ত্রী অঞ্জলির পছন্দের খাবার কী জানেন?

Image Credit source: Twitter

মুম্বই : ক্রিকেটের ঈশ্বর সচিন তেন্ডুলকরের (Sachin Tendulkar) আজ ৫০তম জন্মদিন (Birthday)। মাত্র ১৬ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হাতেখড়ি সচিন তেন্ডুলকরের। এরপর দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে একাধিক রেকর্ড গড়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার। বর্তমানে ব্যাট হাতে তাঁকে দেখা যায় না। কিন্তু মাঝে মাঝে হাতা-খুন্তি হাতে রান্না করতে দেখা যায় তাঁকে। সেই সব ছবি-ভিডিয়ো নেটদুনিয়ায় খোদ শেয়ার করেন সচিন। আসলে সচিন ভোজনরসিক। একইসঙ্গে পরিবারের সদস্যদের তিনি রেঁধে খাওয়াতেও ভালোবাসেন। আজ সচিনের বাইশ গজের বাইরের হাফসেঞ্চুরির দিন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের টুইটারে এক ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে সচিনকে প্রশ্ন করা হয়েছে যে, তিনি রান্নায় নিজেকে ১-১০ এর মধ্যে কত নম্বর দেবেন? যা শুনে প্রথমে হেসে গড়িয়ে যান সচিন। এরপর জানান, এই উত্তরটা ভালো দিতে পারবে তাঁর স্ত্রী, অঞ্জলি তেন্ডুলকর। এরপর সচিন জানান, তাঁর হাতের রান্না করা কোন খাবার অঞ্জলির প্রিয়। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।

২২ গজে সচিন তেন্ডুলকরের একাধিক রেকর্ডের সাক্ষী থেকেছে ক্রিকেটপ্রেমীরা। তিনি একাধিক প্রতিভার অধিকারীও। সচিন যে দারুণ রান্না করতে পারেন, তা তাঁর পরিবারের সকলে জানেন। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সচিন ভক্তরাও এখন তা জানেন। সময়, সুযোগ পেলেই তিনি পৌঁছে যান রান্নাঘরে। MI এর সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা এক সাক্ষাৎকারে মাস্টার ব্লাস্টার জানান, তাঁর স্ত্রী অঞ্জলির তাঁর বানানো ফিশ কারি অসাধারণ লাগে।

মা-ঠাকুমার হাতের রান্না সকলেই পছন্দ করেন। অনেকেই আবার মা-ঠাকুমার রান্নার বিশেষ রেসিপিও রাখেন নিজের ঝুলিতে। তেমনই সচিনও নিজের মায়ের কাছ থেকে বিশেষ কিছু রেসিপি নিয়ে রেখেছেন। বাড়িতে কোনও বিশেষ অনুষ্ঠান থাকলে মাঝে মাঝে কিছু পদ রান্না করেন সচিন। স্ত্রী অঞ্জলির জন্য যে ফিশ কারি রান্না করেন সচিন, তার রেসিপি মাস্টার ব্লাস্টার নিয়েছেন তাঁর মায়ের কাছ থেকে। অঞ্জলি জানান, সচিনের বানানো এই ফিশ কারিই তাঁর জীবনের খাওয়া সেরা ফিশ কারি। মাস্টার ব্লাস্টারের বানানো খাবার চেখে দেখার সুযোগ শুধু তাঁর পরিবারের সদস্যরাই পাননি। বরং সচিনের সতীর্থরাও তাঁর বানানো খাবার খেয়েছেন। এক সাক্ষাৎকারে সচিন বলেছিলেন, ‘১৯৯৭ বা ১৯৯৮ সালে আমরা সেই সময় দিল্লিতে ছিলাম। নৈশভোজের জন্য পুরো দলের নিমন্ত্রণ ছিল অজয় জাডেজার বাড়িতে। সে দিন দলের সকলের জন্য বেগুন ভর্তা বানাবো বলে আধা ঘণ্টা আগে ওর বাড়ি পৌঁছে গিয়েছিলাম।’ সচিনের রান্না করার এই রকম নানা গল্প রয়েছে।



Leave a Reply