Gujarat Titans vs Mumbai Indians Report : মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে শুরু থেকেই চাপে রাখে গুজরাট বোলিং লাইন আপ। পাওয়ার স্পেশালিস্ট মহম্মদ সামি পাওয়ার প্লে-তে ৩ ওভারে মাত্র ১২ রান দেন। হার্দিক পান্ডিয়া ফেরান প্রতিপক্ষ ক্য়াপ্টেন রোহিত শর্মাকে। ঈশান কিষাণের মন্থর ব্য়াটিং। সব মিলিয়ে ক্রমশ চাপ বাড়ছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স শিবিরে। মুম্বই ব্য়াটিংয়ে শেষ দিকে কিছুটা লড়াই নেহাল ওয়াদেরার।
দীপঙ্কর ঘোষাল : আফগান জলেবির প্যাঁচ থেকে বেরোনোর রাস্তা খুঁজে পেল না মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। গত বারের চ্যাম্পিয়নের কাছে হার আইপিএলের সফলতম দলের। গুজরাট টাইটান্সের বড় জয়ে ব্য়াটিংয়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু বাড়তি কৃতিত্ব প্রাপ্য আফগান রিস্ট স্পিন জুটি রশিদ খান এবং নুর আহমেদের। কেরিয়ারের ৯৯তম আইপিএল ম্য়াচে নেমেছিলেন রশিদ খান। বিশ্বের অন্যতম সেরা লেগ স্পিনার রশিদ খান। নজর কাড়লেন প্রথম আইপিএল খেলতে নামা নুর আহমেদ। সুযোগ পাওয়ার পর থেকে প্রতি ম্য়াচেই ভরসা দিচ্ছেন নুর। বোর্ডে ২০৭ রানের পুঁজি। মাঝের ওভারে আফগান রিস্ট স্পিন জুটির অনবদ্য বোলিং। রশিদ ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। নুর আহমেদ ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। এর মধ্যে নিজের বোলিংয়ে অনবদ্য একটা ক্যাচও রয়েছে। ঘরের মাঠে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ৫৫ রানের বিশাল ব্য়বধানে হারাল গুজরাট টাইটান্স। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে গুজরাট টাইটান্স বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচ রিপোর্ট TV9Bangla Sports-এ।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক রোহিত শর্মা। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে এ বারের আইপিএলে এর আগে তিনটি ম্যাচ হয়েছে। সব কটিতেই রান তাড়া করা দল জিতেছিল। সেই পরিসংখ্যান দেখেই হয়তো টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত রোহিতের। শুরুর দিকে তাঁর সিদ্ধান্ত সঠিকই মনে হয়েছিল। তৃতীয় ওভারেই ঋদ্ধিমান সাহাকে ফেরান অর্জুন তেন্ডুলকর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হোক বা আইপিএল, অনবদ্য ছন্দে রয়েছেন শুভমন গিল। এ বারের আইপিএলে তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি এল তাঁর ব্য়াটে। যদিও গুজরাট টাইটান্স ইনিংসে রানের গতি বাড়ে ডেভিড মিলার-অভিনব মনোহরের সৌজন্যে। মাত্র ৩৫ বলে ৭১ রান যোগ করে তাঁরা। মিলার-তেওয়াটিয়া জুটি যোগ করে ১০ বলে ৩৩ রান। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২০৭ রান করে গত বারের চ্যাম্পিয়ন।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে শুরু থেকেই চাপে রাখে গুজরাট বোলিং লাইন আপ। পাওয়ার স্পেশালিস্ট মহম্মদ সামি পাওয়ার প্লে-তে ৩ ওভারে মাত্র ১২ রান দেন। হার্দিক পান্ডিয়া ফেরান প্রতিপক্ষ ক্য়াপ্টেন রোহিত শর্মাকে। ঈশান কিষাণের মন্থর ব্য়াটিং। সব মিলিয়ে ক্রমশ চাপ বাড়ছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স শিবিরে। মুম্বই ব্য়াটিংয়ে শেষ দিকে কিছুটা লড়াই নেহাল ওয়াদেরার। ২১ বলে ৪০ রানের ক্যামিও খেলেন তিনি। মাত্র ৫৯ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। শেষ অবধি নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫২ রান করে মুম্বই। এ বারের আইপিএলে প্রথম বার ব্য়াটিং পেলেন সচিনপুত্র অর্জুন তেন্ডুলকর। হারের ব্য়বধান কিছুটা কমালেন। ৯ বলে ১৩ রানে ফেরেন। ৫৫ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় গুজরাট টাইটান্সের। এ বারের মরসুমে আমেদাবাদে এই প্রথম রান তাড়া করা দল হারল।