গিভেন্সের সঙ্গে টাইসনের তখন বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। একদিন গিভেন্সের বাড়ি গিয়ে টাইসন দেখেন তাঁর স্ত্রী ও ব্র্যাড পিট বিছানায় সঙ্গমরত অবস্থায় রয়েছেন।
Image Credit source: Twitter
কলকাতা: মাইক টাইসন (Mike Tyson)। এক সময়ের ভয়ঙ্কর বক্সার। রিংয়ে যেমন সাফল্য পেয়েছেন তেমনই বিতর্ক জীবন তাঁর। ব্যক্তিগত জীবনে বিতর্ক, অপরাধে মোড়া। নারীসঙ্গ, একাধিক বিয়ে, সঙ্গিনীদের গায়ে হাত তোলা- কোনও কিছুই বাকি রাখেননি টাইসন। প্রাক্তন মার্কিন বক্সার মোট তিনটি বিয়ে করেছেন। ৭টি সন্তান। টাইসনের প্রথম স্ত্রী ছিলেন রবিন গিভেন্স (Robin Givens)। ১৯৮৭ সালে হলিউড অভিনেত্রী গিভেন্সের সঙ্গে টাইসন গাঁটছড়া বাঁধেন কেরিয়ারের তুঙ্গে থাকাকালীন। আশির দশকে বিভিন্ন ফ্যাশন ম্যাগাজিনের পেজে জ্বলজ্বল করত টাইসন-গিভেন্সের ছবি। টাইসন-গিভেন্সের কোনও সন্তান নেই। গর্ভেই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। যাই হোক, সেই হলিউড অভিনেত্রী স্ত্রীর কাছ থেকে চরম ধাক্কা পেয়েছিলেন মাইক টাইসন। গিভেন্সের সঙ্গে হলিউড অভিনেতা ব্র্যাড পিটকে (Brad Pitt) বিছানায় হাতেনাতে ধরে ফেলেছিলেন তিনি। বিস্তারিত TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
গিভেন্স ও টাইসনের দাম্পত্যের বয়স ছিল মাত্র ১১ মাস। বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই মার্কিন বক্সারের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ আনেন গিভেন্স। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “টাইসনের সঙ্গে এক ছাদের তলায় থাকা মানে নরকে বাস করা। ও এত অত্যাচারী যা কল্পনাও করা যায় না। সবসময় নিরাপত্তার অভাববোধ করতাম।” গিভেন্সের এই অভিযোগ মেনে নিয়েছিলেন টাইসন। তিনি বলেছিলেন, আমরা দু’জন দু’জনকে মারধর করেছি। কারণ আমাদের সম্পর্কটাই সেরকম ছিল।
এ বার আসা যাক আসল ঘটনায়। গিভেন্সের সঙ্গে টাইসনের তখন বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। একদিন গিভেন্সের বাড়ি গিয়ে টাইসন দেখেন তাঁর স্ত্রী ও ব্র্যাড পিট বিছানায় সঙ্গমরত অবস্থায় রয়েছেন। ব্র্যাড পিট তখন হলিউডে সবেমাত্র পা রেখেছেন। একেবারে তরুণ মুখ। একটি সাক্ষাৎকারে সেই ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে টাইসন বলেছিলেন, “ডিভোর্স তখনও হয়নি। তবে প্রত্যহ আমি ওর বাড়ি যেতাম। সেদিন যেন একজন জোরালো পাঞ্চে আমাকে হারিয়ে দিল। আমার যাওয়ার আগেই সেখানে উপস্থিত ছিল ব্র্যাড পিট। আমাকে দেখে খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিল। ওর মুখটা ছিল দেখার মতো।”