এএফসি কাপের (AFC Cup) প্লে অফে আবারও হায়দরাবাদ এফসির সামনে সবুজ-মেরুন শিবির। জিতলেই টুর্নামেন্টের মূলপর্বে পৌঁছে যাবে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
কলকাতা: আইএসএল সেমিফাইনালের পর ফের হায়দরাবাদ এফসির সামনে মোহনবাগান (Mohun Bagan)। চলতি মরসুমে এই নিয়ে পঞ্চমবার নিজামের শহরের দলের বিরুদ্ধে মাঠে নামছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। প্রথম সাক্ষাতে হায়দরাবাদকে ১-০ হারায় মোহনবাগান। দ্বিতীয় সাক্ষাতে আবার মোহনবাগানকে হারিয়ে দিয়েছিলেন ওগবেচেরা। সেমিফাইনালে দুটো সাক্ষাতেই ম্যাচ নিষ্ফলা থাকার পর টাইব্রেকারে শেষ হাসি হাসে মোহনবাগান। বুধবার এএফসি কাপের (AFC Cup) প্লে অফে আবারও হায়দরাবাদ এফসির সামনে সবুজ-মেরুন শিবির। জিতলেই টুর্নামেন্টের মূলপর্বে পৌঁছে যাবে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। আইএসএল চ্যাম্পিয়নরা সুপার কাপের প্রথম রাউন্ডেই বিদায় নেয়। তবে এএফসি কাপে দিমিত্রিদের ঘিরে প্রত্যাশা তুঙ্গে। সোমবার ঘরের মাঠে অনুশীলনের পরই কোঝিকোড় উড়ে যাবে মোহনবাগান। এএফসির কোয়ালিফাইং রাউন্ডে খেলতে নামার আগে যুবভারতীতে ৯ দিন অনুশীলন করেন দিমিত্রি পেত্রাতোস, শুভাশিস বসুরা। ব্রেন্ডন হ্যামিল যোগ দেওয়ায় সব বিদেশিকেই হাতে পাবেন ফেরান্দো। বিস্তারিত TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
বুধবার হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে বাগানের অজি স্ট্রাইকার পেত্রাতোস বলেন, ‘আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয়েই থেমে থাকতে চাই না। গত বার ইন্টার জোনাল সেমিফাইনাল খেলেছিলাম। এ বার আরও উপরে ওঠাই লক্ষ্য। এই পর্যায়ে ভালো খেললে আমাদের সুনাম বাড়বে। তার আগে মরসুমের শেষ ম্যাচে হায়দরাবাদকে হারাতে চাই। ওরা লিগে রানার্স হয়েছে। বেশ শক্তিশালী দল। তবে হায়দরাবাদকে হারানোর অভিজ্ঞতা আমাদের রয়েছে। নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিতে তৈরি। হায়দরাবাদের শক্তি আর দুর্বলতা সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল। ওদের হারিয়ে খোলা মনে দেশে ছুটি কাটাতে চাই।’
বাঙালি লেফট ব্যাক শুভাশিস বসু বলেন, ‘এএফসি কাপকে বরাবরই আমাদের ক্লাব গুরুত্ব দেয়। আমরা সবাই সেটা জানি। গত বার অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিলাম। এএফসি কাপের মূলপর্বে উঠতে পারলে বিদেশের অনেক ভালো ক্লাবের সঙ্গে খেলার সুযোগ আসে। সুপার কাপের ব্যর্থতা ভুলে ঝাঁপাতে চাই। ছুটিতে যাওয়ার আগে এই ম্যাচটা জিতে শেষ করতে চাই। আমরা যদি ভুল না করি, তাহলে এই ম্যাচটা জিতেই মাঠ ছাড়ব। টিম গেমে নির্ভর করেই আমরা মাঠে নামব।’
কেরালাইট ফুটবলার আশিক বুধবারের ম্যাচের আগে বললেন, ‘কোঝিকোড় আমার নিজের শহর। চেয়েছিলাম, সুপার কাপের ফাইনাল ওখানে খেলব। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। এ বার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাই না। হায়দরাবাদকে হারিয়েই মরসুম শেষ করতে চাই। এই ম্যাচটা জিততে পারলে আমরা এশিয়ার সেরা ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে খেলতে পারব। শুধুমাত্র দেশেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে আটকে থাকতে চাই না। আমাদের সবার যা মানসিকতা, তাতে জিততে মরিয়া প্রত্যেকে। ঘরের মাঠে খেলার সুবিধাকে কাজে লাগাতে চাই।’