Lucknow Super Giants vs Royal Challengers Bangalore Preview : আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় দল হিসেবে গত ম্যাচে ২৫০-র গণ্ডি পেরিয়েছে লখনউ। কাইল মেয়ার্স, মার্কাস স্টইনিস, নিকোলাস পুরানরা বিধ্বংসী ফর্মে। তবে লখনউয়ের ঘরের মাঠের পিচ মন্থর। সেখানে হাইস্কোরিং ম্যাচের সম্ভাবনা ক্ষীণ। মোহালিতে গত ম্যাচ জিতে লখনউ অলরাউন্ডার মার্কাস স্টইনিসও আক্ষেপ করেছিলেন, ঘরের মাঠে ব্যাটিং সহায়ক পিচ নয়।
Image Credit source: twitter
দীপঙ্কর ঘোষাল : সেই অতি পরিচিত লাইন, ‘মুসকুরাইয়ে, আপ হ্যায় লখনউ মে…।’ লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে প্রস্তুতিতে ছবিতেই হাসি মুখে বিরাট কোহলি। বাস্তবে লখনউ পৌঁছেও হাসতে পারছেন না। হাসার মতো পরিস্থিতি নেই। রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোর স্কোয়াডে প্রতিভা কিংবা দক্ষতার অভাব নেই। যদিও বাস্তব পুরোপুরি আলাদা। ব্য়াটিং অর্ডারের ক্ষেত্রে বলা যায়, প্রথম তিনের পরই শেষ। ফাফ ডুপ্লেসি, বিরাট কোহলি, গ্লেন ম্য়াক্সওয়েল আউট হলেই কার্যত ব্যাটিং অর্ডার শেষ আরসিবির। বোলিংয়ের ক্ষেত্রে ধারাবাহিক ভালো পারফর্ম করছেন মহম্মদ সিরাজ। বোলিং লাইন আপে বাকিদের ওপর যেন ভরসা করে উঠতে পারছে না আরসিবি শিবিরও। সবচেয়ে বিরক্তিকর পরিস্থিতি তাদের ফিল্ডিং। এই কারণে বেশ কিছু ক্লোজ ম্যাচও হেরেছে আরসিবি। সে কারণেই লখনউতে পৌঁছেও মুখে হাসি ধরে রাখা কঠিন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে লখনউ সুপার জায়ান্টস বনাম রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোর ম্যাচ প্রিভিউ TV9Bangla Sports-এ।
এ বারের আইপিএলে এখনও অবধি ৮টি ম্যাচ খেলেছে রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোর। এর মধ্যে ৪টি জয়। এর মধ্যে দুটো ক্লোজ ম্যাচের উদাহরণ দেওয়া যায়, যেগুলো আরসিবি জিততেই পারতো। লখনউয়ের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে প্রথম লেগের ম্যাচের কথাই ধরা যাক। বিশাল স্কোর গড়লেও তা ডিফেন্ড করতে ব্য়র্থ আরসিবি। শেষ বলে বাই রান নিয়ে রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নেয় লখনউ সুপার জায়ান্টস। গত ম্যাচে ঘরের মাঠে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছেও হেরেছে আরসিবি। বিরাট কোহলি ক্রিজে থাকা অবধি জয়ের স্বপ্ন দেখছিল আরসিবি। তিনি আউট হতেই দৌড় শেষ। যে চার ম্যাচে জিতেছে আরসিবি, ব্য়াটিং দেখলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে, টপ থ্রি-র অবদান। গত ম্যাচে কেকেআরের বিরুদ্ধে আরসিবিকে ডুবিয়েছে ফিল্ডিংও। জোড়া ক্য়াচ ফসকায় আরসিবি। ম্যাচ শেষে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিরাট কোহলি। পরিষ্কার বলেন, ‘ম্য়াচটা তারা হারার মতোই খেলেছেন।’
লখনউ সুপার জায়ান্টস ধারাবাহিক না হলেও বেশ কিছু রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নিয়েছে তারা। আরসিবির মতো তারাও ৮টি ম্য়াচ খেলেছে। জয় পাঁচটিতে। গত ম্য়াচে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ৫৫ রানের বিশাল ব্য়বধানে জিতেছে লখনউ। এই ম্য়াচে রেকর্ডও গড়েছে। টস হেরে প্রথমে ব্য়াট করে লখনউ। বোর্ডে ২৫৭ রান তোলে। অল্পের জন্য় আইপিএলের ইতিহাসে সর্বাধিক স্কোরের রেকর্ডও ভাঙতে পারতো। যে রেকর্ড আরসিবির দখলেই। ২৬৩ রান করেছিল আরসিবি। আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় দল হিসেবে গত ম্যাচে ২৫০-র গণ্ডি পেরিয়েছে লখনউ। কাইল মেয়ার্স, মার্কাস স্টইনিস, নিকোলাস পুরানরা বিধ্বংসী ফর্মে। তবে লখনউয়ের ঘরের মাঠের পিচ মন্থর। সেখানে হাইস্কোরিং ম্য়াচের সম্ভাবনা ক্ষীণ। মোহালিতে গত ম্য়াচ জিতে লখনউ অলরাউন্ডার মার্কাস স্টইনিসও আক্ষেপ করেছিলেন, ঘরের মাঠে ব্য়াটিং সহায়ক পিচ নয়।