Virat Kohli: ‘ইট মারলে পাটকেল খেতেই হবে’, তুমুল অশান্তির মধ্যে হুঙ্কার বিরাটের


গৌতম ‘গম্ভীর’ হয়ে থাকলেও মুখ খুলেছেন বিরাট কোহলি। মনের কথা মনে রাখলেন না বিরাট। মনে করিয়ে দিলেন সেই পুরনো প্রবাদ, ‘ইট মারলে পাটকেল তো খেতেই হবে’।

Image Credit source: Twitter

কলকাতা: আইপিএলের মঞ্চে ধুন্ধুমার। এই মারে কী সেই মারে। ফের একবার সম্মুখ সমরে বিরাট কোহলি ও গৌতম গম্ভীর। এক দশক আগে আইপিএলের মঞ্চে দু’জনের মধ্যে ঝামেলা বেঁধেছিল। সেই রেশ বজায় রয়েছে আজও। বিরাট এখনও খেলছেন। গৌতম লখনউ সুপার জায়ান্টসের মেন্টর। খেলা চলাকালীন দু’জনের ‘শত্রুতা’ দেখানোর উপায় নেই। আরসিবি বনাম লখনউ ম্যাচ থাকলেই তাই খেলা শেষে শুরু হয় আসল ‘খেলা’। সোমবারের লখনউ বনাম ব্যাঙ্গালোর ম্যাচের পর ভারতীয় ক্রিকেটের ব্যক্তিত্ব একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে পড়লেন কথা কাটাকাটিতে। সেইসময় দু’জন ক্রিকেটারকে বাকিরা না সামলালে হয়তো উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে হয়তো পৌঁছে যেত হাতাহাতিতে। পরিস্থিতি অতটা খারাপ পর্যায়ে না পৌঁছলেও যেটুকু ঘটেছে তাতেই তোলপাড় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগ। ঘটনার পর গৌতম ‘গম্ভীর’ হয়ে থাকলেও মুখ খুলেছেন বিরাট কোহলি। মনের কথা মনে রাখলেন না বিরাট। মনে করিয়ে দিলেন সেই পুরনো প্রবাদ, ‘ইট মারলে পাটকেল তো খেতেই হবে’।

প্রথম ম্যাচে ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে জয়ের পর চিন্নাস্বামীর দর্শকের উদ্দেশে চুপ ইশারা করেছিলেন গৌতম গম্ভীর। সোমবার লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে সেটাই ফিরিয়ে দেন বিরাট। শর্ট এক্সট্রা কভারে অনবদ্য একটি ক্যাচ নিয়ে বিরাটও ‘চুপ’ করার ইঙ্গিত করেন। ম্যাচ চলাকালীন বিরাট আগ্রাসন ছিল চোখে পড়ার মতো। আফগান পেসার নবীন উল হকের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। ম্যাচের পর লখনউ ওপেনার কাইল মেয়ার্স ও বিরাট কথা বলছিলেন। সে সময় গম্ভীর এসে মেয়ার্সকে সরিয়ে নেন। বিরাট কিছু একটা মন্তব্য করলে গম্ভীরও তার পাল্টা জবাব দিতে থাকেন। লখনউ সুপার জায়ান্টস প্লেয়ার এবং সাপোর্ট স্টাফরা গম্ভীরকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। কোহলি এগিয়ে গিয়েও আবার পিছন ফিরে গম্ভীরকে হাত নেড়ে ডাকেন। ব্যস, দু’জনের মধ্যে ফের শুরু হয় কথা কাটাকাটি। ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যপক ভাইরাল হয়েছে।

লখনউ জয়ের পর আরসিবির পক্ষ থেকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়। ভিডিয়োটি আরসিবির ড্রেসিংরুমে। টানটান রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জয়, তার উপর ম্যাচের পর অমন উত্তেজনা। কোহলি-সহ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের তারকার যেন উত্তেজনায় ফুটছিলেন। বিরাটের শরীরি ভাষায় তখনও আগ্রাসন। জার্সি বদলাতে বদলাতে বলে উঠলেন, “দারুণ জয়। খুব খুশি। কিছু একটা বললে, তোমাকে পাল্টা সহ্য করতেই হবে। আর সহ্য করতে না পারলে বলতে এসো না।” তিনি আরও বলেন, “এই জয় আমাদের কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সত্যি কথা হচ্ছে আমরা ঘরের মাঠের থেকেও বেশি সমর্থন এখানে পেয়েছি। এটা প্রমাণ করে দেয়, আমরা দল হিসেবে কতটা মানুষের পছন্দের। এই জয়ের পর অনেক কিছু কারণের জন্য ভালো লাগছে। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল আমরা যেভাবে খেলেছি সেটাই। আমার মতে, দলের সবার মধ্যে সেই বিশ্বাসটা ছিল যে আমরা পারি।”



Leave a Reply