পণের জন্য চাপ, নিয়মিত যৌনকর্মীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক! মহম্মদ সামির গ্রেফতারি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেলেন স্ত্রী


Supreme Court: চলতি বছরের ২৩ মার্চ কলকাতা হাই কোর্টের তরফে মহম্মদ সামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার উপরে স্থগিতাদেশ প্রত্য়াহারের যে আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল, সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান হাসিন জাহান।

স্ত্রীর সঙ্গে মহম্মদ সামি। ফাইল চিত্র

নয়া দিল্লি: আইপিএলের মাঝেই বিপাকে মহম্মদ সামি (Mohammed Shami)। ভারতীয় দলের ক্রিকেটারের গ্রেফতারি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেলেন মহম্মদ সামির স্ত্রী হাসিন জাহান (Hasin Jahan)। বর্তমানে বিবাহ বিচ্ছেদের (Divorce) মামলা চলছে তাঁদের। এরই মধ্যে দিল্লি ক্যাপিটালসের অন্যতম তারকা সামির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক নানা অভিযোগ আনলেন তাঁর স্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, বিয়ের পরও যৌনকর্মীদের (Prostitute) সঙ্গে রাত কাটাতেন মহম্মদ সামি। তবে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পিছনে আসল কারণ হল, মহম্মদ সামির গ্রেফতারির দাবি। জানা গিয়েছে, হেনস্থার অভিযোগ এনে সামির গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছিলেন হাসিন। তবে আদালতের তরফে মহম্মদ সামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির উপরে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। পরে কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন জানালে, সেই আবেদনও খারিজ করে দেওয়া হয়। এরপরই মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মহম্মদ সামির গ্রেফতারির আবেদন জানান তাঁর স্ত্রী।      

গত সোমবার আলিপুর আদালতে মহম্মদ সামি ও তাঁর স্ত্রী হাসিন জাহানের বিবাহবিচ্ছেদের মামলার শুনানি চলছিল। আদালতের তরফে খোরপোশ বাবদ মহম্মদ সামিকে প্রতি মাসে তাঁর স্ত্রী হাসিনকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সামির স্ত্রীর দাবি, আরও কড়া শাস্তি পাওয়া উচিত মহম্মদ সামির। সেই কারণেই চলতি বছরের ২৩ মার্চ কলকাতা হাই কোর্টের তরফে মহম্মদ সামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার উপরে স্থগিতাদেশ প্রত্য়াহারের যে আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল, সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান হাসিন জাহান।

জানা গিয়েছে, হাসিন তাঁর কাউন্সিল দীপক প্রকাশ, আইনজীবী নচিকেতা বাজপেয়ী ও আইনজীবী দিব্যাঙ্গনা মালিক বাজপেয়ীর মাধ্যমে আবেদন জানিয়েছেন। শীর্ষ আদালতে মহম্মদ সামির স্ত্রীর আইনজীবীরা অভিযোগ এনেছেন, বিয়ের পর ক্রমাগত পণের জন্য চাপ দিতেন মহম্মদ সামি। এছাড়া একাধিক যৌনকর্মীর সঙ্গে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক ছিল মহম্মদ সামির। বিশেষ করে বিসিসিআই-র ট্যুরে, তাদের তরফে দেওয়া হোটেল রুমেই যৌনকর্মীদের ডেকে আনতেন সামি, এমনটাই অভিযোগ। যৌনকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য সামির কাছে দুটি আলাদা মোবাইলও থাকত। ইতিমধ্যেই ওই মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে কলকাতা পুলিশ।

Leave a Reply