Kolkata Knight Riders vs Punjab Kings Post Match : ম্যাচের নায়ক রিঙ্কু বলছেন, ‘আমি শেষ বল নিয়ে ভাবিনি। এমনকি যে ম্যাচে পাঁচটি ছয় মারলাম, সেদিনও ভাবিনি।’ তার আগের বলে রাসেলের রান আউট প্রসঙ্গে হাসি রিঙ্কুর মুখে। বলছেন, ‘আমার মনে হয়েছিল, যদি দৌঁড়োই ম্য়াচটা অন্তত টাই হতে পারে। রাসেল একটু মন্থর ছিল। এমন পরিস্থিতিতে ব্য়াটিংয়ের জন্য অভ্যস্ত হয়ে উঠছি। বেশির ভাগ সময় ৫-৭ এ নামি। এই পরিস্থিতিগুলো আমার কাছে নতুন নয়।’
দীপঙ্কর ঘোষাল
শেষ ওভারে চাই মাত্র ৬ রান। মনে হতে পারে খুবই সহজ। তার ওপর ক্রিজে আন্দ্রে রাসেল-রিঙ্কু সিং জুটি। কিন্তু উল্টোদিকের বোলারের নাম যখন অর্শদীপ সিং, এই রানটাও অনেক বড়। ডেথ ওভার স্পেশালিস্ট। আইপিএলে ডেথ ওভারে অনবদ্য পারফরম্য়ান্সের জেরেই জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন। মাত্র ৬ রান নিয়েও কলকাতাকে চাপে ফেলেছিলেন অর্শদীপ। তাঁর ইয়র্কার অনেক বড় ব্যাটারকেও চাপে ফেলে। রাসেল বিধ্বংসী ব্যাট করলেও ওর বোলিংয়ে চাপে ছিলেন। পঞ্চম বলে সিঙ্গল নিয়ে রিঙ্কুকে স্ট্রাইক দিচ্ছিলেন রাসেল। কিন্তু রান আউট হন রাসেল। শেষ বলে প্রয়োজন ২ রান। কিন্তু অর্শদীপের জন্যই চাপে কেকেআর শিবির। এ মরসুমে একটি মহাকাব্যিক জয় আনা রিঙ্কু স্ট্রাইকে থাকা কেকেআর ডাগ আউটে স্বস্তির ছিল। শেষ বলে ইয়র্কার ট্রাই করেছিলেন অর্শদীপ। যদিও সেটি লো ফুলটস হল। ডিপ ফাইন লেগে বাউন্ডারি মেরে ঠিক যেন গুজরাট ম্যাচের সেলিব্রেশন। রিঙ্কু এবং সতীর্থরা কী বলছেন? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
শেষ বলের সময় ইডেনের গ্যালারিতে আরও একবার রিঙ্কু-রিঙ্কু ধ্বনি। এ বার অনেক বেশি জোরালো। নীতীশ রানাকে প্রশ্ন করা হয়, আপনার আউটের সময় মনে হয়েছিল, ম্য়াচে এখনও প্রাণ আছে? নীতীশ বলছেন, ‘আমার-ভেঙ্কির লক্ষ্য ছিল এক দুটো বড় ওভারের। দু-একটা এসেওছে। ভেঙ্কির গোড়ালিতে সমস্যা ছিল।’
মরসুমের প্রথম ম্য়াচে মোহালিতে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধেই খেলেছিল কেকেআর। বৃষ্টিবিঘ্নিত সেই ম্য়াচে কলকাতা হারলেও অনবদ্য ইনিংস খেলেছিলেন রাসেল। এর পর থেকে শুধুই অপেক্ষা। রাসেল ঝড় কবে উঠবে! নীতীশের কথায়, ‘রাসেলকে এত দিন থেকে শুধু বলে আসছিলাম, তোমার একটা ভালো ইনিংস প্রয়োজন, তাহলেই ফর্মে ফিরবে। সেটাই আজ করে দেখাল।’ আর রিঙ্কুকে কী পরামর্শ ছিল অধিনায়কের? বলছেন, ‘রিঙ্কুকে বলেছি, নিজের ওপর ভরসা রাখো, তুমি যা করেছ, অনেক বড় প্লেয়ারও হয়তো করে দেখাতে পারবে না।’
দীর্ঘ দিন পর রাসেল একটা ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেললেন। তাঁকে নিয়ে প্রশংসা চলল। একটা ইনিংস অবশেষে এল। রাসেলের মুখেও হাসি ফুটেছে। বলছেন, ‘আমাদের বোলিং-ফিল্ডিং কিছু ভুল হয়েছে। আমরা নিজেদের ওপর ভরসা রেখেছি। একটা ফ্লিক করলাম, ছয় হল, পরপর দুটি ছয়ই আত্মবিশ্বাস দিয়েছিল। আমি ম্য়াচ ফিনিশ করে ফিরতে চাইছিলাম। রিঙ্কু অনবদ্য ফিনিশ করল। রিঙ্কু থাকলে রান নিতে ভয় পাই না। ওর ওপর ভরসা রয়েছে। ও ইয়র্কার খুব ভালো খেলে। মাঠের এমন কোনও জায়গা নেই যেখানে ও বল পাঠাতে পারে না।’
এত দিন রাসেল রাসেল রব উঠত, এখন যোগ হয়েছে রিঙ্কু রিঙ্কু। রাসেল বলছেন, ‘ওর খেলা দেখে এখন শিহরণ জাগে। অনেক বছর ধরেই কেকেআরে রয়েছে। এত শৃঙ্খলাপরায়ণ, খুব মজা করে। ওর সঙ্গ খুব ভালো লাগে। খুব ভালো বন্ধু। রিঙ্কু আমার ভাইয়ের মতো।’
ম্য়াচের নায়ক রিঙ্কু বলছেন, ‘আমি শেষ বল নিয়ে ভাবিনি। এমনকি যে ম্যাচে পাঁচটি ছয় মারলাম, সেদিনও ভাবিনি।’ তার আগের বলে রাসেলের রান আউট প্রসঙ্গে হাসি রিঙ্কুর মুখে। বলছেন, ‘আমার মনে হয়েছিল, যদি দৌঁড়োই ম্য়াচটা অন্তত টাই হতে পারে। রাসেল একটু মন্থর ছিল। এমন পরিস্থিতিতে ব্য়াটিংয়ের জন্য অভ্যস্ত হয়ে উঠছি। বেশির ভাগ সময় ৫-৭ এ নামি। এই পরিস্থিতিগুলো আমার কাছে নতুন নয়।’