অন্যতম সেরা ফিনিশার, রিঙ্কু কাকে আদর্শ মানেন?


Kolkata Knight Riders vs Rajasthan Royals : ফিনিশার হিসেবে কাকে আদর্শ মানেন? ধোনির সঙ্গেই বা কী কথা হয়েছিল? রিঙ্কুর কথায়, ‘সে ভাবে কাউকে আদর্শ হিসেবে কী বলি। তবে উত্তরপ্রদেশের হয়েও যেহেতু আমি ৪-৫ নম্বরে ব্য়াট করি, সেদিক থেকে এই চাপ নিতেই হয়। বলতে গেলে, উত্তরপ্রদেশের হয়ে সুরেশ রায়নাও একই ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি আমার আদর্শ। আর মাহি ভাইকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আমি আর কী করতে পারি। (ধোনি) বলেছিল, বোলারকে ওর পরিকল্পনা মতো বোলিং করতে দাও। নিজে বেশি কিছু ভাবলেই সমস্য়া। শুধু টিকে থাকতে হবে।’

দীপঙ্কর ঘোষাল : এক গাল হাসি নিয়ে প্রেস কনফারেন্স রুমে ঢুকলেন রিঙ্কু। এসেই বললেন, সহজ প্রশ্ন করবেন কিন্তু। সাংবাদিক সম্মেলনে হাসির রোল। প্রতিটা প্রশ্নে কার্যত যেন একই রিপ্লাই। সাংবাদিক সম্মেলনে কথা বলার চেয়ে ক্রিজে নেমে কঠিন সিচুয়েশনে ব্য়াটিং করাটা বোধ হয় রিঙ্কুর কাছে অনেক বেশি সহজ কাজ। সেটাতেই বেশি অভ্য়স্ত। প্রতিটি প্রশ্নেই ছোট ছোট উত্তর। ক্রিজে তাঁর শটগুলোর মতোই নিখুঁত। এখানেও স্ট্রাইকরেট ভালো রাখলেন যেন। এ বারের আইপিএলে অন্য়তম সেরা ফিনিশার যে রিঙ্কু সিং, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। বিশ্বের সেরা ফিনিশারের থেকে কি কোনও বিশেষ পরামর্শ পেয়েছিলেন রিঙ্কু? ইডেন গার্ডেন্সে চেন্নাই সুপার কিংস ম্য়াচের পর মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল রিঙ্কুকেও। কী বলেছিলেন বিশ্বের সেরা ফিনিশার? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

ঘরের মাঠে গত ম্য়াচটি এখনও অনেকেই ভুলতে পারছেন না। সামনে রাজস্থান রয়্যালস। এ মরসুমে তারকাদের বিরুদ্ধে আলাদা করে উজ্জ্বল রিঙ্কু সিং। পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে মাত্র ৬ রান প্রয়োজন ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। এমনই শুনে মাত্রই মনে হতে পারে। কিন্তু অর্শদীপ সিংয়ের মতো ডেথ ওভার স্পেশালিস্ট থাকায় এই রানও কঠিন। ৬ রান থেকে শেষ বলে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২ রান। স্ট্রাইকে রিঙ্কু সিং। অর্শদীপের লো ফুলটস বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে ম্য়াচ ফিনিশ করেন রিঙ্কু। ফিনিশারের ভূমিকা পালনে বিশেষ কী করেন রিঙ্কু। বলছেন, ‘ব্য়াটিংয়ে সব কিছু সহজ রাখার চেষ্টা করি। বেশি কিছু ট্রাই করলে সমস্য়া হতে পারে। নিজের শট গুলোর ওপর ভরসা রাখি।’

ফিনিশার হিসেবে কাকে আদর্শ মানেন? ধোনির সঙ্গেই বা কী কথা হয়েছিল? রিঙ্কুর কথায়, ‘সে ভাবে কাউকে আদর্শ হিসেবে কী বলি। তবে উত্তরপ্রদেশের হয়েও যেহেতু আমি ৪-৫ নম্বরে ব্য়াট করি, সেদিক থেকে এই চাপ নিতেই হয়। বলতে গেলে, উত্তরপ্রদেশের হয়ে সুরেশ রায়নাও একই ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি আমার আদর্শ। আর মাহি ভাইকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আমি আর কী করতে পারি। (ধোনি) বলেছিল, বোলারকে ওর পরিকল্পনা মতো বোলিং করতে দাও। নিজে বেশি কিছু ভাবলেই সমস্য়া। শুধু টিকে থাকতে হবে।’

Leave a Reply