সূর্যের শতরানের তেজ নাকি রশিদের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স, কে এগিয়ে?


নেটিজেনদের একাংশে দাবি, হারলেও ম্যাচ সেরার পুরস্কার রশিদ খানের হাতে তুলে দেওয়া উচিত ছিল। অন্যপক্ষের দাবি, সূর্যকুমারের শতরানের কাছে বাকি সবই ফিকে।

Image Credit source: Twitter

কলকাতা: শুক্রবারের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে রীতিমতো রাজত্ব চালালেন। তিনি হলেন সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar yadav)। ওয়াংখেড়ের গ্যালারি জুড়ে SKY-এর নামে জয়ধ্বনি। ডাগ আউটে মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকরের ভঙ্গি বদলে দিচ্ছিল, সূর্যের শতরানের পারফরম্যান্সে কতটা খুশি তিনি (IPL 2023)। ম্যাচ সেরার পুরস্কার সূর্যকুমার যাদবের হাতেই যাবে এতে দ্বিমত ছিল না কারও। অথচ ম্যাচ শেষে তাঁদেরকেই দ্বিধায় ফেলে দিলেন রশিদ খান। গুজরাট টাইটান্সের হয়ে রান তাড়া করতে নেমে সূর্যকুমার যাদবের শতরান যেন ফিকে করে দিচ্ছিলেন রশিদ খান (Rashid Khan)। ৪ উইকেট নিয়ে মুম্বইয়ের ব্যাটিংকে নড়িয়ে দেওয়ার পর ব্যাটকে ছড়ি বানিয়ে ঘোরালেন রশিদ। লেগ স্পিনার রশিদ অবতীর্ণ হন অলরাউন্ডারের ভূমিকায়। গুজরাটকে ম্যাচ জেতাতে পারলেন না ঠিকই, তবে বড় রানের হারের লজ্জা থেকে অবশ্যই বাঁচালেন। রশিদের পারফরম্যান্সেই গুজরাটের রান রেটে তেমন ফারাক পড়েনি। নেটিজেনদের একাংশে দাবি, সূর্যের ইনিংস অসামান্য হলেও ম্যাচ সেরার পুরস্কার রশিদ খানের হাতে তুলে দেওয়া উচিত ছিল। অন্যপক্ষের দাবি, সূর্যকুমারের শতরানের কাছে বাকি সবই ফিকে। বিস্তারিত রইল Tv9 Bangla Sports-র এই প্রতিবেদনে।

স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের গ্যালারি মাতিয়ে দিলেন সূর্যকুমার যাদব। আগ্রাসী ও সাহসী ব্যাটিং। ১৫ বলে ৫০ রান আসে তাঁর ব্যাটে। ১৮তম ওভারে মোহিত শর্মার বলে তিনটি চার ও একটি ছয় হাঁকান। এরপর ১৯তম ওভারে মহম্মদ সামির বিরুদ্ধে হাঁকান একটি ছয় ও দুটি চার। শেষ ওভারে জোড়া ছক্কা হাঁকিয়ে শতরান পূর্ণ করেন সূর্যকুমার যাদব। শতরানের জন্য শেষ বলে সূর্যের প্রয়োজন ছিল তিন রান। আলজারি জোসেফের বল বাউন্ডারির ওপারে ফেলে আইপিএলে প্রথম সেঞ্চুরি ঝুলিতে পুরেছেন কুড়ি বিশের ফরম্যাটের এই সেরা ব্যাটার। এই ফরম্যাটে তিনি কেন সেরা, তার প্রমাণ আরও একবার দিয়েছেন SKY। তাঁর হাতেই উঠেছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

তবে রশিদের কথা ভুললে চলবে কী করে? বোলিং ফিগার ৪-০-৩০-৪। ব্যাটে ৩২ বলে অপরাজিত ৭৯ রান। ১০টি ছয়, স্ট্রাইক রেট ২৪৭। শুক্রবার রাতে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আইপিএলের মঞ্চে অন্যতম সেরা অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন রশিদ খান। গুজরাট টাইটান্সের হয়ে রশিদের ব্য়াট জ্বলে উঠল ঠিক সেইসময়ে যখন তার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল। একটা সময় গুজরাট শিবিরে আশার আলো সঞ্চার করেছিলেন রশিদ। ম্যাচের পর অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াও বলে দিলেন, “মনে হচ্ছিল আমাদের দল থেকে শুধু রশিদ খানই এসেছে, ব্যাটিং এবং বোলিং করেছে অবিশ্বাস্যভাবে। আমরা এই ম্যাচ জেতার থেকে অনেক দূরে ছিলাম। কিন্তু রশিদের কারণে আমাদের নেট রান রেটে এই হারের খুব একটা প্রভাব পড়েনি।” ব্যাটে-বলে অনবদ্য পারফরম্যান্সে নেটিজেনদের মন জয় করে নিয়েছেন রশিদ খান। তাই অনেকের দাবি, ম্যাচ সেরার পুরস্কারের দাবিদার ছিলেন রশিদও।



Leave a Reply