কেন ১৮ নম্বর জার্সিই পরেন? ব্যাখ্যা বিরাটের…


Virat Kohli Jersey Number Reason : বিরাট কোহলি অনূর্ধ্ব ১৯ জাতীয় দল থেকেই ১৮ নম্বর জার্সি পরেন! আইপিএলের সম্প্রচারকারী চ্যানেল স্টার স্পোর্টসে নিজেই সেকথা জানালেন বিরাট কোহলি। তবে এই নম্বর যে অনেক সুখ-দুঃখের সঙ্গী হয়ে যাবে, তা হয়তো ভাবেননি।

Image Credit source: twitter

কলকাতা : বিরাট কোহলির জার্সি নম্বর কারও অজানা নয়। বরং এই জার্সি নম্বর এখন ইমোশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেটে এখনও ১০ নম্বর জার্সির আবেগ অটুট। মাঝে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিড়ম্বনায় পড়েছিল ১০ নম্বর জার্সি নিয়ে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর শার্দূল ঠাকুরকে দেওয়া হয়েছিল এই দশ নম্বর। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক তোলপাড় পড়েছিল এই নিয়ে। সচিন তেন্ডুলকরের ইনিশিয়াল এসটি। তেমনই শার্দূল ঠাকুরেরও। শার্দূল ১০ নম্বর জার্সি পরা ছবি দিয়ে ST10 পোস্ট করতেই বিদ্রুপের শিকার হয়েছিলেন। এরপর ভারতীয় বোর্ড সচিন তেন্ডুলকরের সম্মানে দশ নম্বর জার্সি রিটায়ার করে দেয়। ভারতীয় ক্রিকেটে এই মুহূর্তে মহেন্দ্র সিং ধোনির পাশাপাশি আইকনিক জার্সি নম্বর ১৮। যেটা বিরাট কোহলি পরেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও বিরাটের জার্সি নম্বর সেই ১৮। তিনি কি একাই এই নম্বর ব্যবহার করেন? তা নয়। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের তারকা স্মৃতি মান্ধানাও ১৮ নম্বর জার্সি পরেন। জার্সি নম্বরের ক্ষেত্রে প্রত্যেকেরই কিছু বিশেষ কারণ থাকে। বিরাট কোহলি কেন ১৮ নম্বর জার্সিই পরেন? খোলসা করলেন নিজেই। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

কেরিয়ারের শুরুতে কোনও একটা নম্বরের জার্সি পরলেও অনেকে পরবর্তীতে তা বদল করেন। বিরাট কোহলি অনূর্ধ্ব ১৯ জাতীয় দল থেকেই ১৮ নম্বর জার্সি পরেন! আইপিএলের সম্প্রচারকারী চ্যানেল স্টার স্পোর্টসে নিজেই সেকথা জানালেন বিরাট কোহলি। তবে এই নম্বর যে অনেক সুখ-দুঃখের সঙ্গী হয়ে যাবে, তা হয়তো ভাবেননি। বিরাট বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমার কাছে ১৮-শুধুই একটা নম্বর ছিল। অনূর্ধ্ব ১৯ জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর জার্সি খুলে দেখি, ১৮ নম্বর লেখা। প্রথম বার জার্সিতে নিজের নাম এবং ১৮ নম্বর দেখতে পাই। আমি কোনও দিনই নিজে থেকে এই নম্বরটা চাইনি। আমাকে দেওয়া হয়েছিল।’

তারপর এই ১৮ নম্বর কী ভাবে তাঁর কেরিয়ারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ল! সে কথাও খোলসা করলেন বিরাট। বলেন, ‘এই নম্বরটাই আমার জীবনেও খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দেখা দেয়। ভারতের সিনিয়র দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল ২০০৮ সালের ১৮ অগস্ট। আমার বাবার মৃত্যু হয়, ১৮ ডিসেম্বর ২০০৬ সালে। আমার জীবনের সবচেয়ে দুটি উল্লেখযোগ্য তারিখ হয়ে দাঁড়ায় ১৮ নম্বর। অথচ এই ঘটনা গুলির বহু আগেই এই জার্সি নম্বর পেয়েছিলাম। হতেই পারে এর সঙ্গে কোনও জাগতিক ঘটনা জড়িয়ে রয়েছে। এখনও ভাবতে বসলে পুরো বিষয়টাই আমার কাছে অবাক লাগে। ম্যাচ খেলতে গিয়ে দেখি, প্রচুর মানুষ আমার নাম লেখা ১৮ নম্বর জার্সি পরে আসে। কোনও দিনই ভাবিনি আমার জীবনে এমন দিনও আসতে পারে।’



Leave a Reply