Lucknow Super Giants vs Mumbai Indians Post Match : পাঁচ উইকেটে নিতে মাত্র ৫ রান খরচ করেন আকাশ মাধওয়াল। আইপিএলের ইতিহাসে যুগ্মভাবে সবচেয়ে কম। ২০০৯ সালের আইপিএলে ভারতের কিংবদন্তি লেগ স্পিনার অনিল কুম্বলে ৫ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন।
একটা ম্যাচ, নানা রেকর্ড। প্লে-অফের ম্যাচে একপেশে জয় প্রত্যাশা করাই যায় না। পরিসংখ্যানও দুর্দান্ত ছিল লখনউ সুপার জায়ান্টসের। এলিমিনেটরের আগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে তিন বারের সাক্ষাতে একশো শতাংশ জয়ের রেকর্ড ছিল লখনউয়ের। ঠিক যেমন গুজরাট টাইটান্স এবং চেন্নাই সুপার কিংসের মধ্যে ছিল। প্রথম কোয়ালিফায়ারের আগে তিন বারের সাক্ষাতে একশো শতাংশ জয়ের রেকর্ড ছিল টাইটান্সের। কিন্তু কোয়ালিফায়ারে ১৫ রানে সিএসকের কাছে হার। লখনউয়ের ক্ষেত্রেও পরিসংখ্যান বদলে গেল। হারের ব্যবধান ৮১ রান! মুম্বইয়ের দেওয়া ১৮৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একটা সময় ৬৯-২ ছিল লখনউ। সেখান থেকে ১০১ রানে অলআউট! মুম্বইয়ের পেসার আকাশ মাধওয়াল পাঁচ উইকেট নেন। তেমনই লখনউ ইনিংসে তিনটি রানআউট। এক ম্যাচে নানা রেকর্ডও হল। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
১- আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম বার পাঁচ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়লেন আকাশ মাধওয়াল। প্লে অফে এর আগে সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ডাগ বোলিঞ্জারের। ২০১০ আইপিএলে ১৩ রান দিয়ে চার উইকেট নিয়েছিলেন সিএসকের পেসার।
১০১- মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে লখনউ সুপার জায়ান্টসের এই স্কোর প্লে অফে তৃতীয় সর্বনিম্ন। এর আগে ২০১০ সালে ডেকান চার্জার্স ৮২ রানে অলআউট হয়েছিল, ২০০৮ সালে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস ৮৭ রানে।
৫- পাঁচ উইকেটে নিতে মাত্র ৫ রান খরচ করেন আকাশ মাধওয়াল। আইপিএলের ইতিহাসে যুগ্মভাবে সবচেয়ে কম। ২০০৯ সালের আইপিএলে ভারতের কিংবদন্তি লেগ স্পিনার অনিল কুম্বলে ৫ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন।
৫/৫- আকাশ মাধওয়ালের এই বোলিং পরিসংখ্যান ভারতীয় বোলারদের মধ্যে যুগ্মভাবে সেরা। অনিল কুম্বলেরও একই পরিসংখ্যান ছিল। আইপিএলে সব মিলিয়ে চারজন বোলারের এই পরিসংখ্যান রয়েছে।
৬- মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে দ্বিতীয় এবং সব মিলিয়ে ষষ্ঠ বোলার হিসেবে আইপিএলে টানা দু-ম্যাচে ৪ কিংবা তার বেশি উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন। এ বার লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন আকাশ। মুম্বইয়ের হয়ে ২০১২ সালে এই কীর্তি ছিল মুনাফ প্যাটেলের।
৩২- শেষ সাতটি পার্টনারশিপে মাত্র এই রান জুড়েছে লখনউ। ৬৯-২ থেকে ১০১ রানে অলআউট। আইপিএলের প্লে-অফে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়। সব মিলিয়ে পঞ্চম বার এমন বিপর্যয়।
৮১- মুম্বইয়ের এই জয়ের ব্যবধান আইপিএলের প্লে-অফে তৃতীয় সর্বাধিক। ২০০৮ সালে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে ১০৫ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস।
১৪- লখনউ সুপার জায়ান্টস বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এলিমিনেটর ম্যাচে পেসাররা ১৪ উইকেট নিয়েছেন। চিপকে এর আগে আইপিএলের কোনও ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়েছিলেন পেসাররা। ২০১৫ সালে চেন্নাই সুপার কিংস বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়েছিলেন পেসাররা।