IPL 2023 : বহির্বিশ্বে তাঁকে নিয়ে যতই হইচই হোক। রিঙ্কু নিজেকে শান্ত রেখেছেন। ২৫ বছরের আলিগড়ের ব্যাটার এখন থেকেই একরাশ আশা নিয়ে বসে থাকতে চান না।
Image Credit source: Twitter
কলকাতা: জাতীয় দলের হয়ে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুপ্ত বাসনা সব ক্রিকেটারের মধ্যেই থাকে। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলার বাসনা মনে লালন করেন তাঁরা। কেকেআর তারকা রিঙ্কু সিংও তার ব্যতিক্রম নন। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ক্রিকেট কেরিয়ার শুরু করেছেন উত্তরপ্রদেশের ক্রিকেটার রিঙ্কু সিং (Rinku Singh)। ২০১৮ সাল থেকে কেকেআরের (KKR) সদস্য হলেও দলের তাবড় তাবড় ক্রিকেটারদের ছায়ায় ঢাকা পড়ে গিয়েছিলেন। ২০২৩ আইপিএলে যেন রিঙ্কু পুর্নজন্ম হয়েছে। এমনও দিন গিয়েছে যেখানে কেকেআর হারলেও রিঙ্কু হিট। ব্যাটিং অর্ডারে যেখানেই নামানো হোক, দলের প্রয়োজনে ব্যাট হাতে ভরসা দিয়েছেন রিঙ্কু। নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জেতানো রিঙ্কুর কেরিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে এক লহমায়। আইপিএলে (IPL 2023) সুপার হিট রিঙ্কুকে মেন ইন ব্লু জার্সি গায়ে দেখার জন্য মুখিয়ে ক্রিকেট জনতা। তাঁদের বিশ্বাস, জাতীয় দল থেকে রিঙ্কুর ডাক পাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের সঙ্গে খেলতে দেখার অপেক্ষায় তাঁরা। এতো গেল সমর্থকদের কথা। রিঙ্কু নিজে কী ভাবছেন? জাতীয় দলের ডাক পাওয়া নিয়ে তাঁর কী বক্তব্য? বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sports-র এই প্রতিবেদনে।
বহির্বিশ্বে তাঁকে নিয়ে যতই হইচই হোক। রিঙ্কু নিজেকে শান্ত রেখেছেন। ২৫ বছরের আলিগড়ের ব্যাটার এখন থেকেই একরাশ আশা নিয়ে বসে থাকতে চান না। বরং তাঁর কেরিয়ারের পথে ভালো যা কিছু আসবে সেটাকে আপন করে নিতে চান। জাতীয় দলের হয়ে খেলার বাসনা রয়েছে। কিন্তু সেসব নিয়ে বেশি ভাবতে রাজি নন। রিঙ্কু বলেছেন, “আগে দেখি আমাকে ডাকে কী না। ডাকলে তখন দেখা যাবে। আমি এখনও এসব নিয়ে ভাবিনি। কারণ এসব নিয়ে যত ভাব ততই দুশ্চিন্তা বাড়বে। তাই ঈশ্বরের হাতে সব ছেড়ে দিয়েছি।” তিনি আরও বলেন, “কেউ ভাবেনি আমি একদিন এত বড় ক্রিকেটার হব। আমি নিজেও ভাবিনি যে স্টেডিয়াম জুড়ে আমার নামে ধ্বনি উঠবে। ঈশ্বর আমার উপর সহায় হয়েছেন। কারণ আমিই একমাত্র জানি যে কোন জায়গা থেকে আমি উঠে এসেছি। এই খ্যাতির আয়ু খুব কম।”
রিঙ্কু বলছেন, “আমাকে ঝাড়ুদারের কাজ নিতে বলা হয়েছিল। যাতে বাড়ির জন্য কিছু টাকাপয়সা রোজগার করতে পারি। ওই পরিস্থিতি থেকে আমাকে বের করে এনেছে ক্রিকেট। তার জন্য আমি যতটা সম্ভব পারব পরিশ্রম করে যাব। প্রচুর মানুষ বিভিন্ন সময়ে আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমি আজ যেখানে রয়েছি তার পিছনে কেকেআরের অবদান অনস্বীকার্য।”